কুরান এবং আধুনিক বিজ্ঞান - পর্ব ১
কুরান এবং আধুনিক বিজ্ঞান বিরোধ না কি সাদৃশ্য পূন্য । পবিত্র কোরান হলো সবশষে আসমানী কিতাব, আল্লাহ তাআলার সর্বশেষ আসমানী কিতাব যে টা নাযিল হয়েছিল সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর ওপর । যদি দাবি করা হয় কোনো একটা বই সেটা আল্লাহ তাআলার আসমানী কিতাব , যদি দাবি করা হয় সেই বইয়ের কথা গুলো সর্ব শক্তীমান ইশ্বরের বইটাকে তাহলে সময়ের পরীক্ষায় পাশ করাতে হবে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যুগে এটা বার বার প্রমানিত হবে যে এটা আল্লাহ তাআলার বানী। আগেকার দিনে সময়টাকে বলা হতো অলৌকিক কাজের যুগ মোজেযা । অলৌকিক কাজ হলো কোনো অস্ভাবিক ঘটনা যার কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না । মোজেযা হলো কোনো অস্ভাবিক ঘটনা যার পেছনে রয়েছে কোনো অতি প্রাকিতিক শক্তী যেমন সর্ব শক্তীমান ইশ্বর । পবিত্র কোরান হলো সব চেয়ে শ্রেষ্ঠ অলৌকিক । কিন্তু আধুনিক কোনো মানুষ যদি অলৌকিক কিছু বিশ্বাস করতে চান তাহলে ভালো করে সেটা পরীক্ষ করে নেন । আল-হামদুলিল্লাহ্ পবিত্র কোরান বার বার প্রমান করেছে এটা ইশ্বরের বানী ১৪০০ বছর আগে এমন কি আজকের দিনেও আপনি এটা পরীক্ষ করে দেখতে পারেন , আর ভবিসতেও দেখতে পারেন । আর এটা সব সময় প্রমানীত হবে যে এটা আল্লাহ তাআলার বানী । কোরান সব সময়ের জন্য একটা অলৌকিক । ধরুন কোনো লোক যদি সে দাবী করে যে সে অলৌকিক কাজ করতে পারে , আপনাকে একটা ঘটনা বলি বাবা পাইলটের ঘটনা সে বলেছিল পানির নিচে একটা ট্যাঙ্কের ভেতর তিন দিন ছিলো আর যখোন খবরের কাগজের রিপোটাররা সেই ট্যাঙ্ক টা পরীক্ষা করতে চাইলো তখন সে বল্লো মায়ের জরায়ু তে আপারা কি কখোনো পরীক্ষা করেন । এখানে তো সন্তানের জন্ম হয় । আর তখোন সে ওই রিপোটারদের আর ট্যাঙ্ক টা পরীক্ষা করতে দেইনি । কনো আধুনিক মানুষ কি এমোন অলৌকিক কাজ মেনে নেবে । যদি পরীক্ষা করা এমোন অলৌকিক নিয়ে তাহলে আপনারাও একমত হবেন , যে “পিসি সরকার” যিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাদুকর দের মধ্যে একজন । তাহলে তাকেই বলা হতো এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আর জীবিত ইশ্বর ও মানোব ।পরবর্তীতে আসল সাহিত্য আর কবিতার যুগ । মুসলিম এবং অমুসলিম উভয়েই স্বীকার করতো যে পবিত্র কোরান হলো পৃথিবীতে আসা সব চেয়ে শ্রেষ্ঠ সাহিত্য গ্রহন্ত । আর পবিত্র কোরানেই challenge করা হয়েছে সূরা আল-বাকারায় ২৩ ও ২৪ নাম্বার আয়াতেই উল্লেখ করা আছে “ আমি আমার বান্দার যাহা নাযিল করেছি তাহাতে তোমাদের কোনো সন্দেহ থাকিলে তোমরা ইহার অনুরুপ কোনো সুরা আনয়ন করো এবং তোমরা যদি সত্যবাদী হও তাহলে আল্লাহ ব্যাতীত তোমার সকল সাহায্য কারীকে আহবান করো যদি তোমাদের সন্দেহ থাকে এবং সত্যবাদী হও যদি আনয়ন না কর এবং কখোনোই তা করিতে পারিবে না তবে সেই আগুনকে ভয় কর কাফিরদের জন্য যাহা প্রস্তুত করা রহিয়াছে মানুষ ও পাথর হইবে যাহার ইন্ধন“ যদি কনো লোক এই challenge টা গ্রহন করে চেষ্টা করে তবে একটা কথা যে সুরাটা লেখা হবে সেটা হবে আরবীতে । কিছু সুরা আছে যেটাতে আয়াতের সংখ্যা মাএ ৩টা অথবা মাএ ৩টা বাক্য । যে সুরাটা লেখা হবে সেটা হবে আরবীতে আর ভাষা হবে পবিত্র কোরানের মতোই পবিত্র , ভাষা হবে মহান পবিত্র কোরানের মতো । পবিত্র কোরানের ভাষা হলো একটা অলৌকিক , অনতিক্রম ব্যাখ্যার মতো । কোরানে রয়েছে সর্বোচ্চো অলংকার আর একি সাথে কোরানে একটা ছন্দ আছে । যখন আমরা কেউ অন্য কারো প্রশংসা করতে চায় তখন আমরা সত্য থেকে দুরে সরে যায় আর এ কথার সুন্দর একটা উদাহারন হলো আমরা যখোন হিন্দি সিনেমা গুলো দেখে থাকি তখোন নায়োক তার নায়িকার প্রশংসা করে তখন খুশি করে বলে আমি তোমার জন্য আকাশের চাদ নিয়ে আসব তারা নিয়ে আসবো। যতোই কনো মানুষের প্রশংসা করতে যাবেন ততই আপনি সত্য থেকে দূরে সরে যাবেন । আল-হামদুলিল্লাহ্ যদিও কোরানে প্রুচুর ছন্দ আছে কোরান কখোনো সত্যি থেকে দূরে সরে যায়নি । পৃথিবীর অনেক মানুষই কোরআনের সুরার মতো সুরা লেখতে চেয়েছিল কিন্তু তারা চরম ভাবে ব্যার্থ হয়েছে ।এখোন পর্যন্ত কেউ এটা করতে পারেনি আর ভবিষ্যতেও কেউ ইনশা-আল্লাহ পবিত্র কোরানের মতো কনো সূরা সচনা করতে পারবে না ।কিন্তু ধরুন আমি আপনাদের একটা ধর্ম গ্রহন্থের কথা যেখানে খুব ক্যাবিক ভাবে বলা আছে যে পৃথিবী হচ্ছে সমতল কোনো আধুনিক মানুষ কি সেটা বিশ্বাস করবে , না কি করবে না । কারন এখোন কার যুগ সাহিত্য ও ক্যাব্যের যুগ নই ।বর্তমানে পৃথিবীতে চলছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ । তাই আজকে আমরা দেখবো পবিত্র কোরান আর আধুনিক বিজ্ঞানের মধ্যে কোনো বিরোধ রয়েছে নাকি সাদৃশ্য । পবিত্র কোরান আর আধুনিক বিজ্ঞান এরা কি পরষ্পর বিরোধি নাকি সামন্জস্যপূন্য । একজোন বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী Albert IenStine যিনি নবেল পুরুষ্কার পেয়েছিলেন তিনি বলেছেন , “ ধর্ম ছারা যে বিজ্ঞান সেটা হলো পঙ্গু আর বিজ্ঞান ছারা যে ধর্ম সেটা হলো অন্ধ ” আমি কথাটা আবারো বলছি যে “ধর্ম ছারা যে বিজ্ঞান সেটা হলো পঙ্গু আর বিজ্ঞান ছারা যে ধর্ম সেটা হলো অন্ধ ” আপনাদের মনে করিয়ে দিই পবিত্র কোরান কনো সাইন্স এর বই না SCIENCE । এতে রয়েছে নির্দশন বা SIGNS । আর এ্র্রই বইয়ে রয়েছে আয়াত পবিত্র কোরানে আছে ৬০০০ হাজারেরও বেশি আয়াত বা ৬০০০ হাজারেরও বেশি নির্দশন ।এদের মধ্যে এক হাজারেরও বেশি আয়াতে বিজ্ঞানের কথা বলা হয়েছে । কিছু কিছু মানুষ আছে যারা বিশ্বাস করে মাএ কোরানের একটি আয়াত শুনেই , কিছু কিছু মানুষ হয়তো দশটা নির্দশন দেখে বিশ্বাস করে কারো লাগে হয়তো একশোটা আর কোনো কোনো মানুষকে হয়তো আপনি হাজারটা নির্দশন দেখাবেন তারপরও সে সেটা বিশ্বাস করবে না । আজকের কোরান ও বিজ্ঞান নিয়ে এই আলোচনা অনুষ্ঠানে আমি শুধু সেই বৈজ্ঞানিক তথ্য নিয়ে কথা বলবো য়েটা শুধু প্রতিষ্ঠিত সত্য । আমি এমোন কোনো বৈজ্ঞানিক theory নিয়ে কথা বলবো না য়েগুলোর ভিত্তি হলো অনুমান বা কল্পনা ।কারন আমরা ভালো করে জানি যে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক theory য়েগুলোর ভিত্তি হলো অনুমান বা কল্পনা সেগুলো তাদের সিদ্ধান্ত বদলায় । জোতির বিদ্যা সম্পর্কে আপনাদের বলি, যদি কোনো বিজ্ঞানিকে আপনি বলেন কি ভাবে বিশ্বস্ব জগৎ সৃষ্টি হয়েছে তিনি তখন বলবেন big bang এর theory কথা । প্রথমে এই বিশ্বস্ব জগতের সব উপাদান ছিলো একটা বিন্দুতে তারপরে সেখানে একটা বিস্ফোরন হলো এথেকেই তৈরি হলো ছায়া পথ যেটা আবারো খন্ড বিখন্ড হয়ে তৈরি হলো বিভিন্ন সৌর জগৎ সেখানে তৈরি হলো বিভিন্ন গ্রহ, সূর্য়, নক্ষত্র । আর আমরা যে গ্রহে বাস করি সটো হলো পৃথিবী, আমি অামার লেকচারের শুরুতেই পবিত্র কোরানের একটি আয়াতের উর্দ্থিতি দিয়ে ছিলাম সুরা আল-আম্বিয়ার ৩০-নং আয়াতে একথা উল্লেখ আছে যে
أَوَلَمْ يَرَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنَاهُمَا وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاء كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ أَفَلَا يُؤْمِنُونَ
30
অবিশ্বাসিরা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশিয়া ছিল অতপ্রত ভাবে, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?
পবিত্র কোরানের এই আয়াতে big bang এর theory কথা বলা হয়েছে খুব সঙ্খেপে, চিন্তা করেন আমরা যে কথাটা জানলাম মাত্র আজকে পবিত্র কোরানে এই কথাটা বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে ।
এছাড়াও পবিত্র কোরানে আছে সুরা ফসিলতের ১১-নং এআয়াতে একথা উল্লেখ করা আছে যে,
অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন যাহা ছিল ধুম্রকুঞ্জ বিশেষ, অনত্বর দিকে উহাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তাহারা বলিল, আমরা আসিলাম একান্ত অত্যনত্ব অনুগত হইয়া ।
যে আরবি শব্দ এখানে ব্যাবহারিত হয়েছে দুখান যার অর্থ ধোয়া কোনো বিজ্ঞানীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলবেন এই বিশ্বস্ব জগৎ এটা তৈরির আগে মহা বিশ্বেসের বিভিন্ন উপাদান ছিল বায়বীয়
অবস্থায় । আরবি শব্দ দুখান যার অর্থ ধোয়া এটাকে আরো সঠিক ভাবে বলল্লে বলা হবে বায়বীয় । বর্তমানের খুব বিখ্যাত বিজ্ঞানী “Stephens Hawkins” এর মতে তিনি বলেছেন মহাশূন্যের যে বিভিন্ন উপাদান আবিষ্কার করা গেছে সেটাই হলো গত শত্বাদীতে সবচেয়ে বড় আবিষ্কার । আর এগুলোর ওপর ভিত্তি করে আমরা নিশ্চিত ভাবে জানতে পেরেছি big bang এর theory সত্যতা আর এই বিশ্বস্ব জগৎ তৈরী হওয়ার রহস্য ।
আগে কার দিনে মানুষ মনে করতো আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি , সেটা সমতল আর তারা খুব বেশি দুর দৃরে যেতে ভয় পেত হঠাৎ করে যদি নিচে পড়ে যায় সে জন্য । এর পর ১৫৫৭ খৃষ্টাব্দে sir francis da জাহাজে করে গোটা পৃথিবী ঘুরে আসলেন, আর প্রমান করলেন পৃথিবী আসলে বর্তুলাকার । পবিত্র কোরানে সুরা লোকমানের ২৯-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَسَخَّرَ
আল্লাহ তাআলা রাত্রির ভিতর দিবকে অন্তভুক্ত করেন এবং রাত্রিকে দিবসের ভিতর অন্তভুক্ত করেন
অন্তভুক্ত করা একটি ধির গতির চলমান পক্রিয়া । রাত ধীরে ধীরে চলমান পক্রিয়া দিনে পরিনত হয় , আর দিন ধীরে ধীরে চলমান পক্রিয়া রাতে পরিনত হয় । এটা শুধু মাত্র তখোনি সম্ভব হবে যদি পৃথিবী বর্তুলাকার হয় । সমতল হলে এটা সম্ভব হবে না , পৃথিবী সমতল হলে দিন-রাত হঠাৎ করে বদলে যেত ।
পবিত্র কোরানে সুরা আল-জুমার ৫-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে
خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ يُكَوِّرُ اللَّيْلَ عَلَى النَّهَارِ وَيُكَوِّرُ النَّهَارَ عَلَى اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي لِأَجَلٍ مُسَمًّى أَلَا هُوَ الْعَزِيزُ الْغَفَّارُ
তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সুর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।
এখানে যে আরবি শব্দটি ব্যাবহার করা হয়েছে সেটা হলো কা-ওয়ারা যার অর্থ কনো কিছু আচ্ছাদন করা, যে ভাবে আমরা অামাদের মাথায় পাগড়ী পরি , আমরা যে ভাবে আমাদের মাথায় পাগড়ী পরি, এই মতবাদটা যে রাত দিনকে এবং দিন রাতকে আচ্ছাদন করছে এটা শুধু তখোনি সম্ভব হবে , যদি পৃথিবী বর্তুলাকার হয়, যদি পৃথিবী সমতল হয় তাহলে এটা সম্ভব হবে না । দিন-রাত তখন হঠাৎ করে বদলে যেত ।
এরপর পবিত্র কোরানে আছে সুরা নাযিয়াতে ৩০-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে -
وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهَا
এবং ইহার পর তিনি পৃথিবীকে করেছেন ডিম্বাকৃতির । এখানে আরবি শব্দ দা-হা-হা এটার মূল শব্দ দুইয়া, যার অর্ধ ডিম্বাকৃতির আর শব্দ দারা কোনো সাধারন ডিমকে বোঝানো হয় না, শব্দটা দিয়ে বিশেষ করে বোঝানো হয় উট পাখির ডিমকে । আর এখোন আমরা জানি আমাদের এই পৃথিবী পুরো পুরি ফুটবলের মতো গোল নই , এটা আসলে বর্তুলকার এটা উপরে ও নিচে কিছুটা চাপানো আর দুই পাশে কিছুটা ফোলানো এটা হলো বর্তুলকার । আর আপনারা যদি ভালো করে উঠ পাখির ড়িম দেখেন , এই ড়িমটাও বর্তুলকার, উপরে ও নিচে কিছুটা চাপানো আর দুই পাশে কিছুটা ফোলানো । তাহলে পবিত্র কোরানে পৃথিবীর আকার সঠিক ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে ।
আগে আমরা মনে করতাম চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো । কিছু দিন আগে আমরা জানতে পেরেছি চাঁদের আলো আসলে সূযের প্রতিফলিত আলো ।
পবিত্র কোরানে আছে সুরা ফুরকানের ৬১-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে –
কতো মহান তিনি যিনি নভোমন্ডলে সৃষ্টি করেছেন রাশি চক্র , এবং উহাতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ এবং চাঁদ যাহার রইয়াছে ঋন করা আলো ।
পবিত্র কোরানে আছে সুরা ইউনুস এর ৫-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে –
আল্লাহ সুবাহানা-তায়ালাই সূযকে করেছেন তেজষ্কর আর চন্দ্রকে করিয়াছেন প্রতিব্মিত আলো ।
একি কথা সুরা নূহ এর ১৫-১৬-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে –
সূযের আরবি শব্দ হলো শাম্স এটাকে সবসময় বলা হয়ে থাকে সিরাজ অর্থাৎ একটা প্রদিপ, নয়তো উহাজ একটা প্রজ্বলিত প্রদিপ, অথবা দিয়া উজ্জল দুতি । চাঁদের আরবি শব্দ হলো কামার এটাকে সব সময় মুনির অর্থাৎ ধার করা আলো্ অথবা নূর যেটা হলো প্রতিফলিত আলো , চাঁদ বোঝাতে গিয়ে এখানে কখোনো বলা হয়নি যে সিরাজ, ওহাজ অথবা দিয়া , এখানে বলা হয়েছে মুনির, নূর কোনো ধার করা আলো অথবা কোনো প্রতিফলিত আলো
পবিত্র কোরানে সুরা তারিক এর ৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে –
النَّجْمُ الثَّاقِبُ
এখানে নক্ষত্র এর আরবি হলো নাজাম এটাকে বলা হয়েছে সাকিব এর আলোকে বলা হয়েছে সাকিব এটা অন্ধকারকে ছিদ্র করে আর নিজের শক্তি গ্রহন করে । আগেকার দিনে ইউরোপিয়ানরা মনে করতো যে পৃথিবী এই বিশস্ব জগতের কেন্দ্রে একেবারে স্থীর হয়ে বসে আছে , আর সূয সহো অন্য সব গ্রহ নক্ষত্র পৃথিবীর চার পাশে প্রদক্ষীন করছে এই মতবাদ কে বলা হতো “Theory of GEOCENTRISM” এই মতবাদে বিশ্বাস করতেন Tolami খৃষ্ট-পূব দ্বিতীয় শতকে এবং তার পরবর্তীতে এই মতবাদে টিকে ছিল ষোঢ়শ শত্বাদী পযন্ত , যতদিন না copper nikas বলল্লেন পৃথিবীর সহ অন্যান্য গ্রহ সূযের চার পাশে প্রদক্ষীন করছে। আর পরবর্তীতে ১৬০৯ খৃষ্টাব্দে Youhanes Kaplar তিনি তার বই astronomy novae তে লিখেছেন যে এই সৌর-জগতে পৃথিবী আর অন্যান্য গ্রহ শুধু সূযের চার পাশে প্রদক্ষীন করে না , তারা নিজ অক্ষের সূযের চার পাশেও প্রদক্ষীন করে । আমি যখন স্কুলে ছিলাম তখন পড়ে ছিলাম , পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ নিজ অক্ষের পাশে প্রদক্ষীন করে । তখন আমি পড়ে ছিলাম যে সূয স্থীর থাকে , সূয তার নিজ অক্ষের পাশে প্রদক্ষীন করে না ।
কিন্তু পবিত্র কোরানে আছে সুরা আল-আম্বিয়ার এর ৩৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ আর অল্লাহ-তা’আলা সৃষ্টি করিয়াছেন রাত্রি এবং দিবস وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ আর সূযঁ ও চন্দ্র كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ প্রত্রেকেই নিজ নিজ কক্ষ পথে বিচরন করিতেছে তাহাদের নিজস্ব গতিতে । এখানে আরবি শব্দটা يَسْبَحُونَ এটা এসেছে মূল শব্দ সাবাহা থেকে যেটা দিয়ে চলন্ত কোনো কিছুর গতিকে বোঝানো হয় । যদি আমি বলি একজন মানুষ মাটির ওপর সাবাহা করছে তার মানে এই নই যে সে মাটিতে গড়া গড়ি করছে এর অর্থ সে হাটছে অথবা দৌড়াচ্ছে , যদি আমি বলি একজন মানুষ পানিতে সাবাহা করছে তার মানে এই নই যে সে ভেসে আছে এটার অর্থ সে সাতাঁর কাটছে একি ভাবে পবিত্র কোরানে যখন বলা হচ্ছে ইয়াসবাহুন যার মূল শব্দ সাবাহা গ্রহ নক্ষএ সম্র্পকে তখন এটা উড়ে যাওয়া বোঝায় না নিজ অক্ষের চারিদিকে প্রদক্ষীন করা বোঝায় । আর এখন বিজ্ঞানের কল্যানে উন্নত প্রযুক্তি ব্যাবহার করে সূযের ইমেজ ঘরে বসে পরীক্ষা করা যায় , দেখা যাবে বেশ কিছু কালো রংগের বিন্দু আছে , আর এই কালো বিন্দু গুলো আনুমানিক ২৫ দিনের মধ্যে একবার নিজ অক্ষকে প্রদক্ষীন করবে । যার অর্থ সূয আনুমানিক ২৫ দিনের মধ্যে নিজ অক্ষের চার পাশে প্রদক্ষীন করে । একবার চিন্তা করেন পবিত্র কোরানে সূযের গতি আর নিজ অক্ষের চার পাশে প্রদক্ষীনের কথা বলেছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে যেটা বিজ্ঞান অাবিষ্কার করেছে কিছু দিন আগে ।
পবিত্র কোরানে সুরা ইয়াসিন এর ৪০-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে –
সূযের পক্ষে সম্ভব নয় চন্দ্রের নাগাল পাওয়া এবং রজনী দিবসকে অতিক্রম করা وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ এবং প্রত্যকেই নিজ নিজ কক্ষ পথে সংকরন করে তাহাদের নিজস্ব গতিতে পবিত্র কোরানে এই কথাটা দারা কি বোঝানো হয়েছে যে সূযের পক্ষে সম্ভব নয় চন্দ্রের নাগাল পাওয়া , আগেকার দিনে মানুষ মনে করতো সূয এবং চন্দ্রের কক্ষ পথ একটাই
আর পবিত্র কোরানে বলছে না সূয আর চাঁদের কক্ষ পথ আলাদা তাই একটার পক্ষে আরেকটার নাগাল পাওয়া সম্ভব নয় । আর এরা দুটোই সূয এবং চাঁদ গতিশীল আর নিজ অক্ষেকে প্রদক্ষীন করে
পবিত্র কোরানে সুরা ইয়াসিন এর ৩৮-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে –
وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَا যে সূয ভ্রমন করে উহার নির্দিষ্ট পথে নির্দিষ্ট গর্ন্তব্যের দিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এখানে আরবি শব্দ مُسْتَقَرّ অর্থ একটি নির্দিষ্ট গর্ন্তব্য অথবা একটি নির্দিষ্ট সময়। আজকের দিনে বিজ্ঞান জানতে পেরেছে যে সূয এই সৌর জগতকে নিয়ে বিশ্ব জগতের দিকে একটি নির্দিষ্ট পয়েন্টে এগিয়ে যাচ্ছে যে পয়েন্টাকে বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন Solar Apex এই পয়েন্টের দিকে সূয যাচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ১২ মাইল গতিতে , আর এভাবে সূয যে পয়েন্টের দিকে এগুচ্ছে সেটার নাম consolation of Hercules এই একি কথা বলা হয়েছে পবিত্র কোরানে সুরা রদ এর ২-নং আয়াতে আর এছাড়াও সূরা ফাতির এর ১৩-নং আয়াতে, সূরা লোকমানের এর ২৯-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর অাছে এছাড়াও সূরা জুমার এর ৫-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে যে – সূয এবং চন্দ্র উহারা প্রত্যকেই পরিক্রম করে এক নির্দিষ্ট কাল পরযন্ত । পবিত্র কোরানে সুরা যারিয়াতি এর ৪৭-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে যে – একমাত্র আমি এই আকাশ নির্মান করিয়াছি আমার ক্ষমতা বলে এবং আমি অবশ্যই এই বিশ্বস্ব জগতকে করিয়াছি মহা সম্প্রসারনকারি আরবি শব্দ مُوسِعُونَ অর্থ সম্প্রসারনকারি মহা বিশ্বস্ব , বিশ্বস্ব জগতের অসীমতা । orvey naho একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছেন যে আর বলেছেন এই বিশ্বস্ব জগত সম্প্রসারিত হচ্ছে , Galaxy গুলো একটা আরেকটা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে যে কথাটা কোরান বলে গিয়েছে ১৪০০ বছর আগে । এটা এমন কনো ব্যাপার না যে কোরানে জ্যোতিষ বিদ্যা সর্ম্পকে বলা হয়েছে , কারন আরবরাসিরা তারা জ্যোতিষ বিদ্যার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরা বরি উন্নত ছিল, আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চায় পবিত্র কোরান নাযিল হওয়ার কয়েকশ বছর পরে আরবরা জ্যোতির বিদ্যায় বেশ উন্নত সাধন করে , তাই পবিত্র কোরান থেকেই আরবরা জ্যোতির বিদ্যা সম্পকে জেনেছিল এর উলটো টা হয়নি