Translate

> > কুরান এবং আধুনিক বিজ্ঞান - ৩

কুরান এবং আধুনিক বিজ্ঞান - ৩

Posted on Sunday, March 27, 2011 | No Comments

চিকিৎসা বিদ্যার ক্ষেত্রে পবিত্র কোরানে আছে আছে সুরা সাহাল এর ৬৮ এবং ৬৯ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – মৌমাছির উদর হইতে নির্গত হয় বিবিধ বর্নের পানি যাহাতে মানুষের জন্য রহিয়াছে আরগ্য । আমরা মাত্র কিছু দিন আগে জানতে পেরেছি মৌমাছির শরীর থেকেই মধু বের হয় । মৌমাছি শরীর থেকে যে মধু পাওয়া যায় আগে আমরা একথা জানতাম না , এখন আমরা জানি মধুর মধ্যে আছে প্রচুর খাদ্য গুন , মধুতে আছে প্রচুর ভিটামিন k আর ফ্রুকটস আর এতে মাঝারি এনটিসেপটিক এর বৈশিষ্ঠ্য রয়েছে এর জন্য রাশিয়ান সৈন্যরা তারা কেটে যাওয়া যায়গায় মধু লাগিয়ে রাখতো , একারনে সেখানে কনো ইনফেকসন হতো না । আর তারা তাড়ি তা সখুয়ে যেত , যদি কনো মানুষ ভোগেন কনো এর্লাজিতে , গাছের ব্যাপারে এর্লাজি , যদি সেই গাছের মধু সেই লোককে খাওয়ানো হয় তাহলে তার এই এর্লাজি আস্তে আস্তে কমে যাবে ।



শরীর বিদ্যার সর্ম্পকে ইবনে নাফিস এর কথা বলি যিনি পবিত্র কোরান নাযিল হওয়ার ছয়শো বছর পরে , রক্ত সজঞ্চালন পক্রিয়া আবিষ্কার করেন । আর কোরান নাযিল হওয়ার এক হাজার বছর পরে মানে ইবনে নাফিস এর চারশো বছর পরে উইলিয়াম হারভি তিনি ইউরোপে এই আবিষ্কারটা প্রচার করলেন । আমরা যে খাবার গুলো খায় সেগুলো পাকস্খলিতে যায়, বিভিন্ন অন্ত্রে যায় , বিভিন্ন অন্ত্রে থেকে এই খাদ্য উপাদান রক্ত কষে যায় আর রক্ত প্রবাহের ভিতর প্রবেশ করে আর রক্ত প্রবাহের এই খাদ্যের উপাদান কে বিভিন্ন আংশে যেমন স্তন্য গ্রহন্থী যেখানে দুধ উৎপন্ন হয়। পবিত্র কোরানে রক্তের প্রবাহ আর দুধের উৎপাদন সংক্ষেপে বলা হয়েছে । পবিত্র কোরানে আছে সুরা নাহাল এর ৬৬ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে – অবশ্যই গবাদি পশুর মধ্যে তোমাদের জন্য শিক্ষা রহিয়াছে , তাহাদের শরীর হইতে আমি তোমাদের পান করায় , উহাদের উদর হইতে, উহাদের উদরে আবস্থিত বিভিন্ন অন্ত্র হতে এবং রক্তের মধ্য হইতে আমি তোমাদের পান করায় বিশুদ্ধ দুগদ্হ যাহা সু-স্বাদু । পবিত্র কোরানে আছে সুরা মুমিনুল এর ২১ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে - অবশ্যই তোমাদের জন্য শিক্ষনিয় বিষয় রহিয়াছে আনামে , তোমাদিগকে পান করাই উহাদের উদরের দুগ্ধ , উহাতে রহিয়াছে তোমাদের জন্য প্রচুর উপকারিতা এবং উহাদের গোশ্ত তোমরা আহার করো। পবিত্র কোরানে রক্তের প্রবাহের কথা আর দুধের উৎপাদনের কথা সংক্ষেপে বলেছে ১৪০০ বছর আগে ।

প্রজনন বিদ্যার ক্ষেত্র একবার কয়েজন আর দেশীয় ছাত্র , তারা সবাই কোরানে প্রজনন বিদ্যা নিয়ে যে সব আয়াত আছে সেগুলো সব একজায়গায় করলো তার পর তারা পবিত্র কোরানে নির্দেশ মানলো আর সুরা ফুরকানের এর ৫৯ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে – তাহার সমন্ধে যে অবগোত আছে তাহাকে জিগগাসা করিয়া দেখ , জিগগাসা করো সেই ব্যাক্তিকে জিনি জানেন । তো এই ছাত্র গুলো কোরানে প্রজনন বিদ্যা নিয়ে সব আয়াত গুলো জড়ো করলো এই সব গুলো নিয়ে গেল প্রফেসর কিত মুরের কাছে , প্রফেসর কিত মুর হলেন Toronto university এর anatomy বিভাগ এর head of the department কানাডায় । আর তিনি এই পৃথিবীতে প্রজনন বিদ্যা বিষয়ে এক জন বিখ্যাত বিশেষগ্গ্য । প্রফেসর কিত মুরের কাছে প্রজনন বিদ্যা নিয়ে কোরানের বিভিন্ন আয়াতের অনুবাদ দেখলেন । তারপরে বল্লেন কোরানের প্রজনন তত্ব্য নিয়ে যে কথা গুলো বলা আছে তার মধ্যে বেশির ভাগই আমরা যা কিছু জানি প্রজনন তত্ব্যের উপরে তার সাথে মিলে যায় , তবে এখানে কয়েকটি বিষয় আছে যেগুলোকে আমি সঠিক বলতে পারি না আবার বলতেও পারি না ভুল , কারন এগুলো সর্ম্পকে আমি নিজেই কিছু জানি না । এই আয়াত গুলোর একটা সূরা ইকরা বা আলাক । সূরা ইকরার এক ও দুই নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে - اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ । خَلَقَ الْإِنسَانَ مِنْ عَلَقٍ পাঠ করো পড়ো তোমার প্রতিপালকের নামে , তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করিয়াছেন, তিনি মানুষকে সৃষ্টি করিয়াছেন ঝুলন্ত একটি বস্তু হতে জোকের মতো দেখতে । তখন প্রফেসর কিত মুর বল্লেন আমি জানি না ভ্রুনের আকার কখোনো জোকের মতো হয় কি না, তখন তিনি ল্যাবরেটরিতে গেলেন আর খুব শক্তি শালী মাইক্রোসকোপ দিয়ে মানব ভ্রুনের প্রাথমিক অবস্থা পর্যবেক্ষন করতে লাগলেন তারপরে তিনি এই দুটোর সাদৃশ্য দেখে অবাক হয়ে গেলেন । একবার তাকে প্রজনন তত্বের উপর আশিটা প্রশ্ন করা হয়েছিল , কোরান এবং সহিই হাদিস থেকে। তিনি বল্লেন যদি ৩০ বছর আগে আমাকে এই প্রশ্ন গুলো করতেন তাহলে এগুলোর অর্ধকেরও উত্তর আমি দিতে পারতাম না । কারন প্রজনন তত্ব মানুষের প্রজনন বিদ্যার উন্নতি খুব বেশি দিন হয়নি মাত্র ৩০-৪০ বছর হবে । প্রফেসর কিত মুরের একটা বই লিখেছেন the development human আর তিন নম্বর সংস্করে তিনি কোরান এবং হাদিস থেকে পাওয়া কিছু তথ্য জুড়ে দিয়েছেন, এজন্য তিনি পুরুষ্কারও পেয়েছেন বইটি ছিল সেই বছরে কোন লেখকের লেখা শ্রেষ্ঠ্য মেডিকেল বই। আর আমি যখন MBBS পড়ছিলাম যখন ফার্স্ট ইয়ারে তখন আমরা এই বইটা পড়েছি কিত মুরের development human যদি কেউ প্রজনন বিদ্যাই ভালো নম্বর পেতে চায় তাহলে কিত মুরের বইটা পড়তে হবে আর যদি পাশ মার্ক পেতে চায় তাহলে ইন্দর শিং এর বই যথেষ্ট, ভালো নম্বর পেতে চায়লে সবাইকে কিত মুরের বইটা পড়তেই হবে। পরবর্তীতে এই বইটা পৃথিবীর অনেক গুলো ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে । প্রফেসর কিত মুরের বলেছেন একথা মানতে আমার কনো আপত্তি নেই যে হযরত মুহাম্মদ (সা:) ইশ্বরের প্রেরিত দুধ আর পবিত্র কোরান হচ্ছে ইশ্বর প্রেরিত একটি আসমানি কিতাব । পবিত্র কোরানে আছে সুরা ত্বারিক এর ৫-৭ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – মানুষ ভাবুক কি হইতে তাহাকে সৃষ্টি করা হইয়াছে সে সৃষ্টি করা হইয়াছে স্থলিত পানি হতে যাহা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও পঞ্জরাস্থীর মধ্য হইতে , আজকে আমরা জানতে পেরেছি জননান্দ্রিয় পুরুষদের শুক্রাশয় আর মহিলাদের ডিম্বাশয় ভ্রুন গঠনে প্রাথমিক পর্যায়ে এই অঙ্গ প্রতঙ্গ গুলো থাকে যেখানে কিডনির অবস্থান , এগুলো থাকে মেরুদন্ড আর পাজরের হারের মাঝখানে । পরবর্তীতে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই শুক্রাশয় আস্তে আস্তে পরিনত হয় স্ক্রোটাম আর মহিলাদের ডিম্বাশয় পরিনত হয় পেলভিসে , কিন্তু ভ্রুন গঠনের সময় এগুলো কোরান যে ভাবে বলেছে ঠিক সে ভাবে থাকে , এগুলো থাকে মেরুদন্ড , স্পাইনাল কলাম আর পাজরের হারের মাঝখানে । এমনকি বড় হয়ে গেলেও যখন সব জনন্দ্রীয় তৈরী হয়ে যায় তখনোও রক্তের প্রবাহ, স্নায়ু প্রবাহ, বিভিন্ন রকম রস এগুলো আসে স্পাইনাল কলাম আর পাজরের হারের মধ্য দিয়ে । পবিত্র কোরানে আছে সুরা মূমিনূন এর ১৩ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে , এছাড়াও সুরা হাজ্ এর ৫ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে – আমি মানুষ জাতিকে সৃষ্টি করিয়াছি লুৎফা হতে । এখানে আরবি শব্দ লুৎফা যে মানুষ জাতি সৃষ্টি হয়েছে লুৎফা হতে একথা কোরানে সব মিলিয়ে বলা হয়েছে ১১ বার আর লুৎফা শব্দটা বলা হয়েছে ১২ বার। তবে মানুষ যে লুৎফা হতে সৃষ্টি হয়েছে একথা আছে ১১ বার। আরবি ভাষায় লুৎফা শব্দটার

অর্থ সামান্য পরিমান তরল পদার্থ । পবিত্র কোরানে এটা আছে সুরা সাজদাহ্ এর ৮ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – অতপর: তিনি বংশ উৎপন্ন করেন তুচ্ছ তরল পদার্থের নির্জাস হতে । এখানে আরবি শব্দটা سُلَالَ যার অর্থ সামান্য পরিমান অথবা কনো কিছুর সবচেয়ে সেরা অংশ । আজকে আমরা জানতে পেরেছি শুধু মাত্র একটা শুক্রানুই ডিম্বানুর সাথে মিলিত হয় আর পুরুয়ের শরীর থেকে নির্গত হওয়া লক্ষ লক্ষ শুক্রানুর মধ্যে একটি শুক্রানুই ডিম্বানুর সাথে মিলিত হয়ে ভ্রুন গঠন হয়। পবিত্র কোরান এটাকে বলছে سُلَالَ সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ্য অংশ অথবা লুৎফা খুব সামান্য পরিমান। পবিত্র কোরানে সুরা ইনসান এর ২ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে - إِنَّا خَلَقْنَا الْإِنسَانَ مِن نُّطْفَةٍ أَمْشَاجٍ এখানে আরবিতে আছে نُّطْفَةٍ أَمْشَاجٍ অর্থাৎ আমি মানুষকে সৃষ্টি করিয়াচি তুচ্ছ তরল পদার্থের নির্জাস হতে । نُّطْفَةٍ أَمْشَاجٍ তুচ্ছ তরল পদার্থের নির্জাস হতে। এরপর যেটা হয় শুক্রানু ডিম্বানুর সাথে মিলিত হয়ে ভ্রুন গঠন হয় তখনো এটা লুৎফাই থাকে তুচ্ছ তরল পদার্থ এটাকে আরো বোঝানো যায় শুক্রানুর তরল পদার্থকে যেখানে বিভিন্ন গ্রহন্থি থেকে মিশ্রিত রস থাকে – যেমন শুক্রাশয় থেকে রস নির্গত হয় স্পারমাটোজোয়া , এখানে আরো রস নির্গত হয় সেমাইনাল ভেসিকাল থেকে সেমাইনাল রস এর মধ্যেই থাকে স্পারমাটোজোয়া কিন্তু এখানে উর্বর করার কনো এজেন্ট থাকে না । তা ছাড়াও এর সাথে মুত্র গ্রন্থির সংযোগ রয়েছে একারনে শুক্রানু তরল হয় এবং এতে বিশেষ ঘ্রান পাওয়া যায় । এছাড়াও মুত্র নালির সাথে যে গ্রন্থির গুলি রয়েছে কুপার অথবা লিটার স্লাং একারনে পুরুষের নিশ্রিত শুক্রানু কিছুটা আঠালো হয় । পবিত্র কোরান এখান বলছে نُّطْفَةٍ أَمْشَاجٍ তুচ্ছ তরল পদার্থের নির্জাস হতে। শুক্রানু এবং ডিম্বানু এই তরল পদার্থে আবৃত থাকে আর এভাবে মানব শিশুর ভ্রুন উৎপন্ন হয় পবিত্র কোরানে সুরা জুমা এর ৬ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – আমি তোমাদের সৃষ্টি করিয়াছি মাতৃ গর্ভের ভেতর বিভিন্ন স্তরে একটার পর আরেকটা তিন প্রকার অন্ধরের ভেতর । প্রফেসর কিতমুর বলেছেন মাতৃ গর্ভের ভেতর এই তিনটি অন্ধকার Anterolateral Abdominal Wall, utorian wall, membrane wall (inferior epigastric vessels) । পবিত্র কোরান এছাড়াও কথা বলছে Genetics নিয়ে । পবিত্র কোরানে সুরা নাজামের ৪৫-৪৬ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – তিনি মানুষকে সৃষ্টি করিয়াছেন এবং উহাদের তৈরি করেন পুরুষ এবং নারী রুপে সামান্য পরিমান শুক্র বিন্দু হতে যখন উহা স্থলিত হয়। এখানে এটাই স্বাভাবিক যেটা স্থলিত হচ্ছে সেটা পুরুষের শুক্র। কোরান বলছে পুরুষের শুক্র দিয়েই সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারিত হয়। কোরানে একথাটা আবারো বলা হয়েছে সুরা ক্বেয়ামাহ ৩৭-৩৯ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – আমি মানুষ জাতিকে সৃষ্টি করিয়াছি খুব সামান্য পরিমান শুক্র বিন্দু হইতে অতপর: সে পরিনত হয় আলাকাই জোকের মতো একটি বস্তু , অতপর: তাকে আমি আকৃতি দান করি , তারপর সৃষ্টি হয় যুগল পুরুষ ও নারী । এখানে আরবি শব্দ نُطْفَةً مِّن مَّنِيٍّ يُمْنَى অর্থাৎ খুব সামান্য পরিমান শুক্র বিন্দু , কোরান বলছে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারনের জন্য সামান্য শুক্র বিন্দুর প্রয়োজন । আজকের দিনে বিজ্ঞানের সাহায্যে আমরা জানি সন্তানের লিঙ্গ কি হবে তা নির্ভর করে ২৩ তম ক্রমজমের জোড়ার ওপরে । আর পুরুষে নির্গত শুক্রানুই নির্ধারন করে সন্তানের লিঙ্গ আসলে কি হবে যদি এটা হয় xx তাহলে নারী আর যদি হয় xy তাহলে পুরুষ । কোরান একথা বলে গেছে ১৪০০ বছর আগে। আমাদের সমাজে দেখবেন বিশেষ করে ইন্ডিয়ার সমাজে দেখবেন মানুষ আশা করে তাদের ছেলে হবে , আর যদি কনো লোকের স্ত্রীর মেয়ে হয় তাহলে সেই মেয়ের শাশুরী মেয়েকে দোষ দেই । শাশুরীর যদি কাউকে দোষ দিতে হয় তাহলে নিজের ছেলেকে দিতে হরে ছেলের বউকে না । কারন পবিত্র কোরান ও বিজ্ঞান আমাদের বলে পুরুষে শুক্রানুই নির্ধারন করে সন্তানের লিঙ্গ কি হবে নারীর ডিম্বানু নই । পবিত্র কোরান মানব ভ্রুনের কথা একে বারে বিস্তারিত ভাবে বলেছে সুরা মূমিনুনের ১২-১৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে – আমিতো মানুষকে সৃষ্টি করিয়াছি সামান্য মৃতিকার উপাদান হইতে অতপরঃ আমি উহাকে শুক্রানু রুপে স্থানান্তরিত করি قَرَارٍ مَّكِينٍ এক নিরাপদ আধাঁরে, পরে একে পরিনত করি আলাকে যে বস্তুটা ঝুলে থাকে জোকের মতো বস্তু অতপরঃ আলাককে পরিনত করি মুদগায় জিবানু মাংশ পিন্ডের মতো, মুদগাকে পরিনত করি অস্থি তারপর এই অস্থিপঞ্জরকে ঢাকিয়া দিই মাংশ দিয়ে । অতপরঃ উহাকে গড়িয়া তুলি অন্য এক সৃষ্টি রুপে , অতএব সর্বতম স্রষ্টা আল্লাহ্ কতো মহান। পবিত্র কোরানে এই সুরা মূমিনুনের ১২-১৪ নং আয়াত মানব ভ্রুনের বিস্তারিত কথা বলেছে । প্রথমে বলা হচ্ছে আল্লাহ্ نُّطْفَةٍ কে রাখেন সামান্য পরিমান তরল পদাথ্যকে রাখেন قَرَارٍ مَّكِينٍ এক নিরাপদ আধাঁরে । আধুনিক প্রজনন বিদ্যা বলে যে মানব শিশুর ভ্রুনকে মায়ের গর্ভে রক্ষা করে মেরুদন্ড আর প্রোষ্টেরিওর ওয়াল রক্ষা করে , প্রথমে রক্ষা করে ইনটেরিওর এবডোনোমিয়াল ওয়াল , কিউটেরিয়ান ওয়াল আর এম্বিও করডিওনিক মেমব্রেন তিনটি স্তরে তার পর উহাকে পরিনত করি আলাকাই জোকের মতো একটি বস্তু , যে বম্তুটা ঝুলে থাকে এখানে আরবি শব্দ আলাকা এর তিনটি অর্থ আছে যে বম্তুটা ঝুলে থাকে, জোকের মতো একটি বস্তু আর একটি হলো রক্ত পিন্ড আলহামদুলিল্লাহ এখানে তিনটি অর্থ প্রয়োগ করা যায় । কারন প্রাথমিক ভাবে মানব ভ্রুন তার মায়ের জরায়ুর ভিতর ঝুলে থাকে একে দেখায় অনেকটা জোকের মতো আর প্রফেসর মুর পরীক্ষা করে বলেছেন এর ব্যাবহারও জোকের মতো । এগুলো তখন রক্ত চোষে এই ভ্রুন তখন মায়ের শরীর থেকে রক্ত আর খাদ্য গ্রহন করে । আর এই পর্যায়ে যদি গর্ভ পাত ঘটানো হয় তখন এই ভ্রুনকে দেখায় রক্ত পিন্ডের মতো । তাহলে কোরান এই একটি শব্দ দিয়ে তিনটি অর্থ প্রকাশ করছে , আর এই তিনটি অর্থই প্রয়োগ করা যায় । কোরানে এই আলাকা শব্দটি ব্যাবহার করা হয়েছে সব মিলিয়ে ছয় বার , দুই বার সূরা মূমিনুন এর ১২-১৪ নং আয়াতে , সূরা হাজ্‌ এর ৫ নং আয়াতে এক বার, সূরা গাফির এর ৬৭ নং আয়াতে এক বার , সূরা ক্বেয়ামাহ এর ৩৮ নং আয়াতে এক বার , সবশেষে সূরা ইকরার ২ নং আয়াতে এক বার সব মিলিয়ে ছয়বার বলা হয়েছে । আগেকার দিনে সপ্তদশ শতাব্দীতে মানুষ ভাবতো যে শুক্রানু এর মাথায় খুব ছোট্ট একটা মানুষ থাকে যা পরবর্তীতে মায়ের জরায়ুর মধ্যে বড় হয় । এভাবে মানব শিশুর জন্ম নেই এই মতবাদে বিশ্বাস করতেন “জ্যাম সমআর ড্যাম” যিনি পারফর্মেসন থিওরির প্রবর্তক । পরে তারা দেখল যে ডিম্বানুর আকার শুক্রানুর চেয়ে অনেক বড় তখন ডিগ্রাফ ও অন্যান্য বিজ্ঞানীরা বল্লেন পুরুষের শুক্রানু এই ছোট্ট মানুষটিকে ঢেকেঁ রাখেনা বরং মায়ের ডিম্বানুর ভেতরে এই ক্ষুদ্র মানুষটি থাকে । পরবর্তীতে “মোপ এ্যালটিস“ অষ্টদশ শতাব্দীতে প্যারেন্টিস থিওরির কথা বল্লেন যে দুজনেরই অবদান আছে যে ডিম্বানু ও শুক্রানু এই দুটো মিলেই ভ্রুন গঠন হয় কোরানোও এই একি কথা বলছে যে ডিম্বানু ও শুক্রানু এই দুটো মিলেই ভ্রুন গঠন হয় । কোরান বলছে এই আলাকা পরবর্তীতে পরিনত হয় মুদগায় , মুদগা অর্থ চিবানু মাংশের মতো অথবা এমন কনো বস্তু যেটা মুখে দেওয়া যায় । প্রফেসর কিতমুর বলেছেন এই দুটো অর্থই প্রয়োগ করা যায় কারন

চিবানু যায় এমন ব্স্তু মুখেও তোলা যায় । আর পরবর্তীতে তিনি প্লাস্টিকের একটি অংশ নিয়ে দাঁত দিয়ে একটা কাঁমড় দিলেন যাতে মুদগার মতো দেখায় চিঁবানু মাংশের মতো তিনি অবাক হয়ে গেলেন যে দাঁতের ছাবটা দেখালো সোমায়েকের মতো যেখান থেকে উৎপন্ন হয় স্পাইনাল কলাম । কোরান বলছে পরে মুদগা পরিনত হয় ইজামান বা অস্থিতে তারপর এই ইজামান বা অস্থিকে ঢাকিয়া দেন লাহেম দ্বারা বা মাংশ দ্বারা । আল্লাহ বলছেন অতপর: আমি উহাকে গড়িয়া তলি অন্য এক নতুন সৃষ্টি রুপে । কোরান এখানে “নতুন সৃষ্টি রুপে” বলতে কি বোঝাচ্ছে , বিজ্ঞান আমাদের বলে যে ভ্রুন তৈরি হওয়ার বিভিন্ন স্তরে একে বারে প্রাথমিক পর্যায়ে খরগোশের ক্ষেত্রে , মাছের ক্ষেত্রে, অন্যান্য প্রানীর ক্ষেত্রে যা হয় মানুষরে ক্ষেত্রেও তাই হয়। শুধু মাত্র ভ্রুন গঠনের এই সময় মানব শরীরের বিভিন্ন অংশ স্পষ্ট ভাবে দেখানো হয় যেমন – মাথা , হাত, পা ইত্যাদি । তাহলে কোরান বলছে “এক নতুন সৃষ্টি রুপে” , অতএব সর্বত্তম সর্তা তিনি কতো মহান । চিন্তা করেন কোরানে ভ্রুনের গঠনের কথা বলা আছে বিস্তারিত ভাবে । অনেকে বলেন এটা এমন কনো কিছু না হয়তো কনো আরব কনো গর্ভবতীর পেট কেঁটে এসব দেখেছিল । তারপর কোরানে এইসব লিখেছে তারা আসলে বোঝেনা কোরানে যেই স্তরের কথা বলা আছে তা আসলে খালি চোখে দেখান যায় না , দেখতে হলে শক্তিশালী মাইক্রোস্কোপের প্রয়োজন । একবার প্রফেসর মার্শসাল জন কে কোরানের এই আয়াতের ওপর মন্তব্য করতে বলা হয়েছিল, তিনি এনাটনি হেড অফ দ্যা ডিপার্টমেন্ট ড্যানিয়েল ইনুস্টিউটে সেটা থর্মাস রের্ফাসসন হসপিটালে আমেরিকার ফিলাডেল এ তিনি বল্লেন এটা হতে পারে মুহাম্মদ (সা:) এসব কনো মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখেছিল , তাকে বলা হলো যে ১৪০০ বছর আগে কনো মাইক্রোস্কোপ আবিষ্কার করা হয়নি তখন প্রফেসর মার্শসাল খুব জোরে হেসে উঠলেন আর বল্লেন হা আমি জানি , আর প্রথম আবিষ্কিরিত মাইক্রোস্কোপটি আমি নিজে দেখেছি খুব বেশি হলে দশ গুন বড় দেখা যায়। আর সেটা তেমন পরিষ্কারও দেখা যায় না । তখন তিনি বল্লেন কোরানের এই আয়াত গুলো অবশ্যই ইশ্বরের বানী । এর পর তাকে বলা হলো মন্তব্য করতে কোরানের সূরা হ্বাজ এর ৫নং আয়াত নিয়ে যে , আমি মানুষ সূষ্টি করিয়াছি মৃতিকা হইতে তাহার পর আলাকা হইতে , তাহার পর মুদগা হইতে পূর্নাকৃতি বা অপূর্নাকৃতি । যদি এই পর্যায়ে ভ্রুনকে ব্যাবচ্ছেদ করা হয় আর ভালো ভাবে পর্যবেক্ষন করা হয় । আপনারা দেখতে পাবেন ভ্রুনের ভেতর কিছু কিছু অঙ্গ- পতঙ্গ পুরো পুরি তৈরি হয়েছে , কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অপরিপূর্ন্য । তখন প্রফেসর মার্শসাল বল্লেন , আমি যদি বলি এটা একটা নতুন সৃষ্টি তখন পূর্নাকৃতির অঙ্গ- পতঙ্গ কথা বলছি , আর যদি বলি অপূর্নাকৃতির সৃষ্টি তখন আমি বলছি অপরিপূর্ন্য অঙ্গ- পতঙ্গ নিয়ে । পবিত্র কোরানের বর্ননাটা এখানে সবচেয়ে সুন্দর যে পূর্নাকৃতি - অপূর্নাকৃতির অঙ্গ-পতঙ্গ । কারন কিছু অঙ্গ তখন স্পষ্ট কিছু অঙ্গ তখন স্পষ্ট না । প্রফেসর কিতমুর বলেছেন আজকের প্রজনন বিদ্যার মধ্যে আমরা ভ্রুন গঠনের বেশ কিছু স্তরের কথা বলেছি কিন্তু স্তর গুলা বোঝা খুবি কঠিন , ১ম ,২য় ৩য় স্তর । কোরান আকৃতির উপর নির্ভর করে স্তর গুলি ভাগ করেছে আর এই স্তর গুলি আধুনিক প্রজনন বিদ্যার স্তরের চেয়ে অনেক সঠিক ও সহজ । যদি প্রজনন বিদরা কোরানের স্তর গুলোকেবর্ননা করেন তাহলে তারা অনেক সহজে ভ্রুন গঠনের স্তর গুলো বর্ননা দিতে পারেন , আধুনিক প্রজনন বিদ্যা অনেক কঠিন ১ম ,২য় ৩য় স্তর । পবিত্র কোরানের সূরা আবাসার ১৯-২০নং আয়াতে আছে – তিনি মানুষ কে সৃষ্টি করিয়াছেন সামান্য পরিমান শুক্র বিন্দু হতে অতপর: তিনি উহার জন্ম গ্রহনের পথ সহজ করিয়াদেন । মানুষ অবাক হয়ে লক্ষ্য করে সন্তান বের হওয়ার যে পথ খুব বেশি হলে তিন চারটি আঙ্গুল যায় সেখান থেকে সন্তান বের হয় কি ভাবে , হারের গঠনও খুব শক্ত । এখানে লিগামিন্ট রয়েছে এটা কি ভাবে সম্ভব । কোরান বলছে আল্লাহ এই পথ সহজ করিয়াদেন। আর এখন আমরা জানতে পেরেছি “ওভারিয়া প্রেসেন্টিয়া” থেকে এক প্রকার রস বের হয় যেটা পেলভিক জয়েন্টর লিগামিন্টকে ঢিলা করে দেই আর সার্ভিকস কে নরম করে তখন মানব শিশু প্রসবের পথ দিয়ে ধীরে ধীরে বের হতে থাকে । কোরান একথা বলছে আল্লাহ এই পথ সহজ করিয়াদেন। কোরান এখানে নিদর্শন দিচ্ছে মানব ভ্রুন গঠনের বিভিন্ন স্তর সর্ম্পকে, আর কে এগুলি বর্ননা দিতে পারে । কোরান আমাদের প্রশ্ন করছে তারপর কি তোমরা ইমান আনবেনা , তারপর কি তোমরা পবিত্র কোরান বিশ্বাস আনবেনা । পবিত্র কোরানে সূরা সাজদাহ্‌ এর ৯নং আয়াতে বলা হচ্ছে – পরে আমি মানুষকে দিয়াছি চক্ষু ও কর্নু । পবিত্র কোরানে সূরা ইনসানের এর ২নং আয়াতে বলা হচ্ছে – এজন্য আমি মানুষকে করিয়াছি শ্রবন ও দৃষ্টি শক্তি সম্পন্ন । আজকের দিনে আমরা জানতে পেরেছি মানুষের যে ইন্দ্রীয়টা আগে গঠিত হয় সেটা হলো শ্রবন ইন্দ্রিয় । কোরান বলছে প্রথমে কান তার পরে চোখ । গর্ভে ৫ মাস থাকার পর ভ্রুনের কান গঠিত হয়, পরবর্তীতে ৭ মাসের সময় চোখ গঠিত হয় । প্রফেসর দূর্গা রাও মেরিন জিওলজির ওপরে যিনি একজন বিশেজ্ঞ তিনি কিং আজিজ ইউনি র্ভার্সিটির একজন শিক্ষক জেদ্দায় । তাকে একবার কোরানের আয়াত নিয়ে মন্তব্য করতে বলা হলো , সূরা নুরের ২৪নং আয়াতে যে কথাটা বলা আছে, বলা আছে – যাহারা কুফরি করে তাহাদের কর্ম গভীর সমুদ্র তলের অন্ধকার সদৃশ । যাহাকে আচ্ছন্ন করে তরঙ্গের উপর তরঙ্গ, যাহার ঊধ্বে থাকে মেঘপুঞ্জ সেই অন্ধকারপুঞ্জে থাকে স্তরের পর স্তর , এমনকি সে হাত বের করিলে তাহা দেখিতে পাইবেনা । আল্লাহ্‌ যাহাকে জ্‌তি দান করেন না তাহার জন্য কনো জ্‌তিই নাই। প্রফেসর দূর্গা রাও তিনি বল্লেন পবিত্র কোরানে এই আয়াতে কনো সাধারন সমুদ্রের কথা বলা হচ্ছে না এখানে বলা হচ্ছে গভীর সমুদ্রের কথা আজকের দিনে বিভিন্ন প্রকার প্রযুক্তির সাহায্যে যেমন সাবমেরিন , আমরা জানতে পেরেছি সমুদ্রের নিচে অন্ধকার থাকে আগে এটা আমরা জানতাম না । কারন কোনো মানুষ যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া ২০-৩০ মিটারের বেশি নিচে নামতে পারে না । যদি সে যন্ত্র ছাড়া যায় তাহলে সে মারা যাবে । আজকের দিনে আমরা জানতে পেরেছি বিভিন্ন প্রকার প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা জানতে পেরেছি সমুদ্রের নিচে অন্ধকার থাকে । প্রফেসর দূর্গা রাও বল্লেন এই অন্ধকারের দুটো কারন আছে , প্রথমটা হলো সমুদ্রের বিভিন্ন স্তর এক একটা রং সুষে নেই । আমরা সকলেই জানি আলোর সাতটা রং আছে আমরা স্কুলে পরেছি বেনিআসহকলা , রং ধনুর রং । প্রফেসর দূর্গা রাও বল্লেন যখন আলো সমুদ্রের মধ্যে প্রবেশ করে তখন প্রথম ১৫-২০ মি. এর মধ্যে সমুদ্র লাল রং শুষে নেই । যদি কনো মানুষ সমুদ্রের নিচে ৩০ মি. এর নিচে যায় আর যদি কেঁটে যায় আর যদি রক্ত পরে তাহলে সে তার রক্তের লাল রং দেখতে পাবেনা কারন সেই গভিরতাই সমুদ্র লাল রং শুষে নেই । এর পরে ৩০-৫০ মি. এর মধ্যে সমুদ্র শুষে নেই কমলা রং,তারপরে ৫০-১০০ মি. এর মধ্যে হলুদ রং শুষে নেই , সবুজ ১০০-২০০ মিটারে আর নীল রং ২০০ মিটারের পরে এর পর বেগুনী ও আসমানী ২০০ মি. এর নিচে শুষে নেই । তাহলে সমুদ্রের তলার অন্ধকারের কারন সমুদ্রের বিভিন্ন স্তর আলোর বিভিন্ন রং শুষে নেই । আর এই অন্ধকারের দ্বিতীয় কারন হলো প্রফেসর দূর্গা রাও বলেছেন , এটা বিভিন্ন অন্তরায়ের কারন যেমন মেঘ , সূর্যের আলো যখন মেঘের উপরে পরে তখন মেঘ সূর্যের আলো শুষে নেই, তাই মেঘের নিচের দিকে অন্ধকার থাকে , এই আলো তখন চারদিকে ছড়িয়ে পরে । এই আলো যখন চারদিকে ছড়িয়ে পরে তখন এটা সমুদ্রের পানির উপরে পরে সমুদ্রের পানি তখন আলোকে প্রতিফলিত করে উপরের দিকে । এখানে যেই আলো গুলো প্রতিফলিত হয় না সেগুলো সমুদ্রের ভিতর প্রবেশ করে এই কারনে সমুদ্রের পানিতে দুই ধরনের স্তর রয়েছে । স্রোতের উপরের স্তর আর গভীরের স্তর , উপরের স্তরের পানি গরম ও স্বচ্ছ আর নিচের স্তরগুলো অন্ধকার । আর সমুদ্রের এই উপরের স্তর আর গভীরের স্তরের পানি এই দুই স্তর মধ্যবর্তী স্রত দ্বারা আলাদা থাকে । আমরা আগে এটা জানতাম না যে মধ্যবর্তী স্রত এদের আলাদা রাখে, আমরা শুধু জানতাম উপরেরে স্রতের কথা , কিছু দিন আগে বিংশ শত্বাদীতে জানতে পেরেছি সমুদ্রের পানির ভেতরেও কিছু স্রত থাকে । এটাকে বলা হয় মধ্যবর্তী স্রত এটা দ্বারা নিচের পানি আর উপরের পানি আলাদা করে থাকে । চিন্তা করেন কোরান একথা বলেছে যারা কূফরি করে তাদের কাজ কর্ম গুলো গভীর সমুদ্রের অন্ধকারের মতো তাকে আচ্ছন করে তরঙ্গের পর তরঙ্গ । তার মানে গভিরের স্তর রয়েছে, মধ্যবর্তী স্তর রয়েছে আর উপরের স্রতও রয়েছে , তারপর আরো রয়েছে উপরে আছে অন্ধকার মেঘ, মেঘ অন্তরায়ের কাজ করে , মেঘের মধ্যেও স্তর রয়েছে যদি কেউ তার হাত বের করে সে কিছুই দেখতে পাবে না । আল্লাহ যাকে জ্ব্‌তি দান করে শুধু সেই দেখতে পাই । এমনকি যে মাছ গুলো সমুদের গভীরে থাকে তারাও নিজের আলো ছাড়া কিছুই দেখতে পাই না , তাদের নিজেদেরই আলোর ব্যাবস্থা রয়েছে। এমনকি সাবমেরিন যখন সমুদ্রের নিচে যায় সেখানেও আলোর ব্যবস্থা থাকে তাছাড়া সেখানে কিছুই দেখা যায় না। প্রফেসর দূর্গা রাওকে বলা হলো কি ভাবে কোরানে ১৪০০-বছর আগে এই কথা গুলো বলেছে, তিনি বল্লেন কনো মানুষের পক্ষে এই কথা গুলো লেখা অসম্ভব পবিত্র কোরান তাহলে অবশ্যই ইশ্বরের বানী । পবিত্র কোরানে সূরা ক্বেয়ামাহ ৩-৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে – অবিশ্বাসীরা প্রশ্ন করে কি ভাবে আল্লাহ তা-আলা আমাদের অস্থি সমূহ একত্র করিবেন । আল্লাহ বলেছেন আমি কেবল মাত্র তাদের অস্থি সমূহ একত্র করিব না বস্তুতো আমি তাদের অঙ্গুলির অগ্র ভাগ পর্যন্ত সু-বিন্যাস করিতে সক্ষম ।

অবিশ্বাসীরা বলে কবর দেওয়া হলে আমাদের হার-গোর সব আলাদা হয়ে গেলে কিভাবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা-আলা তা একত্রিত করবেন । আল্লাহ বলেছেন তিনি শুধু তাদের হার-গোরই একত্রিত করবেন না তাদের প্রত্যক মানুষের অঙ্গুলির অগ্র ভাগ সঠিক ভাবে পূনর-বিন্যাস করিবেন । এখানে মানুষের আঙ্গুলের ছাপের কথা বলা হচ্ছে যেটা আবিষ্কার করেছেন স্যার ফ্রান্সিস গ্যালটন ১৮৮০ সালে তিনি বলেছিলেন দুই জন মানুষের আঙ্গুলের ছাপ কনো দিন কনো সময় একি রকম হবে না । আর এজন্য পুলিশ সি.আই.ডি, এফ.বি.আই. তারা অপরাধীদের ধরার জন্য আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা করে । পবিত্র কোরান একথা বলেছে ১৪০০ বছর আগে , আল্লাহ্‌ কেবল মাত্র তাদের হার-গোরই একত্রিত করবেন না তাদের প্রত্যক মানুষের অঙ্গুলির অগ্র ভাগ সঠিক ভাবে পূনর-বিন্যাস করিবেন। আল্লাহ্‌ সুবাহানা তা-আলা প্রশ্ন করেছেন সূরা নিসার ৮২ নং আয়াতে বলেছেন أَفَلاَ يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِندِ غَيْرِ اللّهِ لَوَجَدُواْ فِيهِ اخْتِلاَفًا كَثِيرًا তবে কি তাহারা কোরান সম্বন্ধে অনুধাবন করে না , তাহারা কি কোরান সর্ম্পকে এই সত্যটা বুঝিতে পারে না , যদি ইহা আল্লাহ্‌ ব্যাতিত অন্য কাহারো নিকট হতে আসিত তবে উহাতে অনেক অসঙ্গতি থাকিত, অনেক অসামঞ্জস্য থাকিত । পবিত্র কোরান আপনাদের চ্যালেঞ্জ করছে যদি পারেন তবে একটা অসঙ্গতি খুজে দেখান , যদি পারেন একটা ভুল দেখান । কোরান আপনাদের চ্যালেঞ্জ করছে কেন আপনারা বুঝতে পারছেন না যদি ইহা আল্লাহ্‌ ব্যাতিত অন্য কাহারো নিকট হতে আসিত তবে উহাতে অনেক অসঙ্গতি থাকিত । আমার লেকচার শেষ করার আগে আমি প্রফেসর তাগাদাদা সনের কথা বলবো আগেকার দিনে ডাক্তাররা ভাবতো শুধু মাত্র ব্রেনের কারনেই আমরা ব্যাথা অনুভব করি , এখন আমরা জানি আমাদের চামরার নিচে কিছু রিসেকটোর আছে যেগুলোকে বলা হয় ,পেইন রেসেকটর যেগুলোর কারনে আমরা ব্যাথা অনুভব করি । যখন কনো রুগি পোঁড়া জায়গা নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসে তখন ডাক্তার একটা পিন নিয়ে পোঁড়া জায়গায় খোঁচাতে থাকে যদি রুগি ব্যাথা অনুভব করে তবে ডাক্তার খুব খুশি হন তার মানে শুধু মাত্র চাঁমরার উপরের অংশ পুঁড়েছে , পেইন রেসেকটরের কনো ক্ষতি হয়নি । আর যদি রুগি ব্যাথা না অনুভব তবে ক্ষতটা অনেক গভীর পেইন রেসেকটর নষ্ট হয়ে গেছে । পবিত্র কোরান সূরা নিসার ৫৬ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যাহারা আমার আয়াতকে প্রত্যাখ্খান করে তাহাদের আমি দোযখের আগুনে দগ্ধ করিব আর যখনিই তাহাদের চর্ম আগুনে দগ্ধ হইবে তখনি উহার স্থলে নতুন চর্ম সৃষ্টি করিব যাহাতে তারা শাস্তি অনুভব করে । কোরান বলছে যদি আপনার চাঁমরা দগ্ধ হয় তাহলে আপনাকে নতুন চাঁমড়া দেয়া হবে যাতে আপনি ব্যাথা অনুভব করেন । তার অর্থ এই আমাদের চাঁমড়াই একটা কিছু আছে যার সাহায্যে আমরা ব্যাথা অনুভব করি বলা হচ্ছে পেইন রেসেকটরের কথা । প্রফেসর তাগাদাদা সন যিনি থাইল্যান্ডের চিই্যাংমাই উনির্ভাসিটির এনাটনি বিভাগের হেড অফ দা ডির্পাটমেন্ট । তাকে কোরানের এই আয়াতের অনুবাদ দেয়া হয়েছিল তারপর তিনি পেইন রেসেকটর নিয়ে অনেক গবেষনা করলেন , তিনি বল্লেন এটা অসম্ভব যে কোরানে এটা লেখা আছে , আমরা কিছুদিন আগে এটা জানলাম এটা কি ভাবে সম্ভব , তিনি এটা মানলেন না । পরবর্তীতে পবিত্র কোরান নিয়ে ভালো ভাবে পরীক্ষা করলেন ভাল ভাবে পড়লেন তার পর একমত হলেন । অতপর: অষ্টম মেডিক্যাল কনফারেন্স রিয়াদে তিনি সেই কনফারেন্সে সাক্ষ দিলেন লা ইলাহা ইল্লাললাহু মুহামাদুর রাসূলুল্লাহ । আল্লাহ ব্যাতীত কনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ সা: আল্লাহ্ প্রেরিত দূত । ওয়া আখেরদানা ওয়াল হামদুল্লিল্লা হিরব্বিল আলামিন ।

Leave a Reply

Powered by Blogger.