Translate

> > কুরান এবং আধুনিক বিজ্ঞান - 2

কুরান এবং আধুনিক বিজ্ঞান - 2

Posted on Sunday, March 27, 2011 | No Comments

পদার্থ বিজ্ঞানে একটা theory আছে যার নাম ATOMISM পরমানু হলো কনো পদার্থের ক্ষুদ্রতম উপাদান যেটাকে আলাদা করা যায় না এই theory এর কথা প্রথম বলেছিলেন democritus greek (philosopher) ২ হাজার ৩শ্ বছর আগে , আর আরবদেরও এই জ্ঞানটা ছিল । আর পরমানুর আরবি শব্দ হলো জাররা , কিন্তু আজকের দিনে বিজ্ঞান উন্নত হওয়ার ফলে আমরা জানতে পেরেছি যদিও পরমানু হলো কনো পদার্থের ক্ষুদ্রতম উপাদান পদার্থের বৈশিষ্ঠ্যই এর মধ্যে থাকে তারপরও একে আলাদা করা যায় electron, proton ইত্যাদি অংশে তাই লোকে ভাবতে পারে কোরান সেকেলে হয়ে গেছে, পবিত্র কোরান জাররা সর্ম্পকে বলেছে আর বলেছে এটা একটা ক্ষুদ্রতম অংশ কিন্তু কোথাও একথা লেখা নেই একে অালাদা করা যায় না । পবিত্র কোরানে সুরা সাবা এর ৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে বলা হয়েছে যে – যখন কাফিরা বলে আমাদের নিকট কেয়ামত আসিবেনা তাহাদের বলো আসবেই সপথ আমার পতিপালকের নিশ্চয় তোমাদের নিকটও আসিবে , তিনি অর্দৃশ্য বিষয় সমূহ সর্ম্পকে সম্পূর্ন ভাবে জ্ঞাত, আকাশমন্ডলি ও পৃথিবীতে তাহার অগচর নয় অনু পরিমান কিছু কিম্বা তদ অপেক্ষা ক্ষুদ্র বা বৃহত কিছু ।
তাহলে কোরান বলছে অনুর চেয়ে ছোট বা বড়ো উপাদান আছে তাই কোরান আসলে সেকেলে নই এটা আসলে খুবি আধুনিক একি কথা আছে পবিত্র কোরানে সুরা ইউনুস এর ৬১-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে যে – তোমাদের পতিপালকের অগচর নহে কিছু অনু অপেক্ষা ক্ষুদ্র বা বৃহত কিছু ।

এবার ভূগল সর্ম্পকে বলি – আমরা এখন জানবো পানি চক্র সর্ম্পকে যেটা প্রথম বলেছিলেন Sir burner palace ১৫৮০ সালে তিনে ব্যাখ্যা করেছেন কি ভাবে সমুদ্র থেকে বাষ্প হয়ে যায় , কি ভাবে মেঘ তৈরী হয় , কি ভাবে মেঘ উপরে উঠে যায় , কি ভাবে সেখান থেকে বৃষ্টি হয় , বৃষ্টির পানি তারপর সমুদ্রে যায় এভাবে পানি চক্র সম্পূর্ন হয় । আগেকার দিনে মানুষ ভাবতো খূষ্ট-পূর ৭ম শতকে sage of maltese তিনি বলেছেন সমুদ্রর পানি বাতাসের সাথে মিশে যায় আর এই পানে পরবর্তীতে র্বষ্টি হয়ে পড়ে , মানুষ আগে বুঝতে পারতো না মাটির নিচের পানি আসলে কিভাবে আসে তাই তারা ভাবতো পানির ওপর বাতাসের প্রচন্ড চাপের কারনে , বাতাস যে প্রচন্ড চাপ দেয় এই কারনে উপরে বৃষ্টিপাত হতে পারে । এই পানি মাটির ওপর পড়ে তার পর সমুদ্রর দিকে যায় একটা লুকানো পথে যার নাম abyss আর Plato এর সময় এটাকে বলা হতো stares এই মতবাদে পৃথিবীর মানুষ বিশ্বাস করে এসেছে সপ্তদশ শতাব্দী পযন্ত আর Aristotle এর theory সহ বিভিন্ন দর্শন মেনে চলা হয়েছে উনবিংশ শতাব্দী পযন্ত যে মাটি থেকে পানি বাষ্প হয়ে উপরে উঠে এটা তারপর পাহাড়ের ওপর জমা হয় আর এই পাহাড় গুলোর ওপর তৈরি হয় র্রদ এখান থেকে মাটির নিচে পানি জমে , এখন আমরা জানি মাটির নিচে যে পানি সেটা চুয়ে চুয়ে মাটির নিচে চলে যায় পবিত্র কোরানে আছে সুরা জুমার এর ২১-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে – তোমরা কি দেখোনা যে আল্লাহ-তাঅালা আকাশ হইতে বারি বষন করেন অত:পর উহা ভূমিতে প্রবাহিত করেন নির্ঝর রুপে প্রবাহিত করেন এবং ত্বদদারা বিভিন্ন বর্নের ফসল উৎপন্ন করেন । এছাড়াও পবিত্র কোরানে সুরা রুম এর ২৪-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে – আল্লাহ আকাশ হইতে বারি বর্ষন করেন এবং ত্বদ্বারা ভূমিকে পূনরজীবিত করেন পবিত্র কোরানে সুরা মুমিনুন এর ৪৮-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে যে – আমি আকাশ হইতে বারি বর্ষন করি পরিমিত ভাবে অত:পর উহা মৃতিকায় সংরক্ষন করি উহাকে অপসারন করিতেও সক্ষম । পবিত্র কোরানে সুরা আল-হিজর এর ২২-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে যে – আমি বৃষ্টি গর্ভ বায়ু প্রেরন করি যে বায়ুতে বৃষ্টি থাকে অত:পর আকাশ হইতে বারি বর্ষন করি উহা তোমাদিগকে পান করিতে দিই । এখানে আরবি শব্দটা লাওয়াকি এটা হলো লাকি শব্দটার বহু বচন যার মূল শব্দ লাকাহা , যার অর্থ গর্ভে ধারন করা অথবা শরীরে ধারন করা । বাতাস চারিদিক হতে এশে মেঘ গুলোকে বৃষ্টি গর্ভে রুপান্তরিত করে , তারপরে বৃষ্টিপাত হয় । বাতাসের কারনে মেঘ গুলো একত্রিত হয় , প্রচন্ড চাপের সৃষ্টি হয় , বজ্রপাতের সৃষ্টি হয় তারপর মেঘ থেকে বৃষ্টিপাত হয় । পবিত্র কোরান সম্পূর্ন পানি চক্রের কথা বলেছে কিভাবে পানি বাষ্প হয় , কিভাবে মেঘ তৈরি হয়, কিভাবে ঘনীভূত হয়, কিভাবে বৃষ্টিপাত হয়, কিভাবে পানি সমুদ্রে ফেরে । অনেক জায়গায় বলা আছে সুরা নূর এর ৪৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা , সুরা নাবার ১২-১৩ -নং আয়াতে আর এছাড়াও সুরা রুম এর ৪৮-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে । পবিত্র কোরানে সুরা নূর এর ৪৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে আল্লাহ সঞ্চালিত করেন মেঘ মালাকে এটাকে কোরান কি বোঝাচ্ছে যে আল্লাহ সঞ্চালিত করেন মেঘ মালাকে এখন কার দিনে যারা এরোপ্লেনে চরে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন তারা বলতে পারবেন যখন এরোপ্লেন মেঘের ওপর দিয়ে চলে যায় তখন যদি মেঘের দিকে তাকান নিচে তিনি দেখতে পাবেন মেঘ গুলোকে দেখাচ্ছে একটা বিশাল ঢেউএর মতো কোরান একথা বলেছে ১৪০০ বছর আগে । ১৪০০ বছর আগে কোনো এরোপ্লেন ছিলো না । পবিত্র কোরান Hydrology এবং পানি চক্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিস্তারিত বর্ননা দিয়েছে পবিত্র কোরানে সুরা আরাফের ৫৭-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে , সুরা রদ এর ১৭-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে , সুরা ফুরকানের ৪৮ এবং ৪৯-নং আয়াতে , সুরা ফাতির ৯-নং আয়াতে একথা বলা হয়েছে, সুরা ইয়াসিনের ৩৪-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে, সুরা জাসিয়ার ৫-নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, সুরা কাফ ৯ এবং ১০-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে, সুরা ওয়াকিয়াহ্ এর ৬৮ নং আয়াত থেকে ৭০ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে । আর এছাড়াও কোরানে সুরা মূলক এর ৩০-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে । পবিত্র কোরান Hydrology এবং পানি চক্রের বিস্তারিত বর্ননা আছে ।

এবার আসুন আমরা ভূ-তত্ব বিদ্যা (Geology) সম্র্পকে দেখব । এখনকার দিনে ভূ-তত্ব বিদ তারা আমাদের বলেন আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি বাইরের ভূ-ত্বক এটা শক্ত ও কঠিন আর ভেতরের অংশ খুবি গরম ও তরল আর সেখানে কোনো প্রানীর পক্ষে বেচে থাকা সম্ভব না । ভূ-তত্ব বিদরা বলেন পৃথিবীর উপরের স্তরটি খুবি পাতলা , বেশি হলে ৮-১০ মাইল যেটা পৃথিবীর ব্যার্সাধের ১% এরও কম , পৃথিবীর ব্যার্সাধ ৩৭৫০ মাইল । এখন বাইরের স্তরটি খুব পাতলা তাই স্তরটি নড়াচড়া করার সম্ভাবনাও খুব বেশী । ভূ-তত্ব বিদরা বলেন যে এই স্তরটা ভাজ হয়ে যায় , সেজন্যই তৈরি হয় বিভিন্ন রকম পাহাড় পরবোত । এই পাহাড় গুলো এগুলোর কারনে পৃথিবী বেশি নড়াচড়া করে না এগুলো কিলোকের মতো কাজ করে খুটির মতো পবিত্র কোরানে সুরা নাভা এর ৬নং ও ৭নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে আমি এই ভূমিকে করিয়াছি সজ্জ্যা وَالْجِبَالَ أَوْتَادًا এবং পরবোত সমূহকে করিয়াছি কিলোক এখানে আরবি শব্দ আওতাদ অর্থ কিলোক অর্থ খুটি এটা আমরা সেদিন আবিষ্কার করেছি । পবিত্র কোরানে সুরা গাসিয়ার ১৯নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে , এছাড়াও পবিত্র কোরানে সুরা নাজিয়াতের ৩২নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে وَالْجِبَالَ أَرْسَاهَا পবত মালাকে স্থাপন করা হইয়াছে সুদৃড় ভাবে ।

Geography এর ওপর একটা বই আছে The Earth বইটা খুবি বিখ্যাত, আর পৃথিববীর অনেক university তে Geography এর জন্য বইটা পড়ানো হয়ে থাকে অনেক দেশে , এই বইটার লেখকদের মধ্যে একজন হলেন Frank ঢ়res আর তিনি এই বইটার ভেতরে পাহাড় পর্ববতের উপর বেশ কিছু ছবি দিয়েছিলেন এগুলো ছিলো নিচের দিকে সোচাঁলো, তার মতে পাহাড় পর্ববতের কাজ হলো পৃথিববীর উপরের স্তরকে স্বাভিক রাখা । কোরানেও এই একি কথা বলা আছে একি তথ্য দেওয়া আছে সুরা আম্বিয়ার ৩১নং আয়াতে একথা বলা হয়েছে, এছাড়াও সুরা লোকমানের ১০নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, এছাড়াও সুরা নাহাল এর ১৫নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে – পৃথিবীতে স্থাপন করিয়াছেন সুদৃড় পর্ববোত মালা যাহাতে পৃথিবী আন্দোলিত না হয় । পবিত্র কোরানে পাহাড় পর্ববতের কাজের কথা বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে । যেটা আমরা আবিষ্কার করলাম সেদিন । সমুদ্র সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পবিত্র কোরানে আছে সুরা ফুরকানের ৫৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে – আল্লাহ সুবাহানা তাআলা দুই দরিয়াকে মিলিত ভাবে প্রবাহিত করিয়াছেন । একটা মিষ্টি ও সুপেয় ও ওপরটি লোনা ও খর , এবং উভয়ের মধ্যে রাখিয়া দিয়াছেন এক বারজাক অন্তরায় যাহা অতিক্রম করা নিষিদ্ধ কোরানে আরোও বলা আছে সুরা রহমানের ১৯ এবং ২০ নং আয়াতে বলা হয়েছে যেبَيْنَهُمَا بَرْزَخٌ لَّا يَبْغِيَانِ । مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ يَلْتَقِيَانِ আল্লাহ তাআলা প্রবাহিত করেন দুই দরিয়া যাহারা পরষ্পর মিলিত হয় এবং উহাদের মধ্যে রহিয়াছে এক অন্তরায় যা তাহারা অতিক্রম করিতে পারেনা । এখানে আরবি শব্দ বারযাক অর্থ একটা অন্তরায় আর বলা হয়েছে مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ يَلْتَقِيَانِ অর্থাৎ দুই দরিয়ার প্রবাহিত পানি পরষ্পর মিলিত হয় । আগেকার দিনে বিশেষ্গরা তারা বুঝতে পারতেন না দুই দরিয়ার পানিকে নিয়ে এমন দুই কথা বলা হচ্ছে কেন । বলা হচ্ছে তারা পরষ্পর মিলিত হয় আবার বলা হচ্ছে তাদের মধ্যে অন্তরায় আছে । কোরান সর্ম্পকে বিশেষ্গরা আসলে বুঝতে পারতো না এখানে কি বোঝানো হচ্ছে । বর্তমানে আমরা আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্যে জানতে পেরেছি যে এদের মধ্যে একটা তিরযোক অন্তরায় অাছে , এই দুই দরিয়ার পানি, মিষ্টি পানি আর লোনা পানি এদের মধ্যে একটা অন্তরায় অাছে , আর যখোনি এই পানি এক সমুদ্র থেকে আরক সমুদ্রে প্রবাহিত হয় এই পানির চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্য তখন বদলে যায় আর তারপর সেই সমুদ্রের পানির সঙ্গে মিলিত হয়। অন্তরায় আছে এই অন্তরায়কে বলা হয় একটা transitional Homogenizing space বা area । দুই দরিয়ার পানি যদিও পরষ্পর মিলিত কিন্তু এদের বৈশিষ্ঠ্য তারপরও আলাদা থাকে , লোনা পানি তখোনো লোনা থাকে আর মিষ্টি পানি মিষ্টি থাকে । আর এই ধরনের ঘটনা দেখতে পাবেন kept point এ দক্ষিন আফ্রিকার kept town শহরে দক্ষিন উপকূলে যেখানে লোনা ও মিষ্টি পানি পরষ্পর মিলিত হয় , কিন্তু তারা আলাদাই থাকে পরষ্পর মেশে না । আর যখন পানি প্রবাহিত হয় এই পানির বৈশিষ্ঠ্য বদলে যায় । একি ঘটনা আপনারা দেখতে পাবেন মিশরে যেখানে নীল নদের পানি ভূ-মধ্য সাগরে গিয়ে পড়ে , একি ঘটনা দেখতে পাবেন উত্তর আমেরিকায় সেখানে Gulf of Mexico থেকে শুরু করে দুই দরিয়ার পানি হাজার মাইল একসাথে অতিক্রম হয়েছে , দুই ধরনের পানি মিষ্টি পানি ও লোনা পানি তারপরও তারা আলাদা থেকেছে । যদি এখানে নৌকায় করে যান আর আপনারা নৌকার এক পাশ হতে পানি তোলেন আর ওপর পাশ হতেও পানি তোলেন আপনি দেখবেন যে দুই পাশের পানিই আলাদা , এব পাশের পানি মিষ্টি আর অন্য পাশেরটা লোনা , এমনকি তাপমাত্রাও আলাদা থাকে এছাড়াও zibranka প্রনালীর কাছে এপাশে Atlantic অন্যপাশে ভূ-মধ্য সাগর এদের মধ্যে একটা অন্তরায় আছে , আর কোরানের এই কথাটার সত্যতা প্রমান করেছেন প্রফেসর Hey যিনি আমেরিকার একজন বিখ্যাত সমুদ্র বিজ্ঞানী ।

পবিত্র কোরান আমাদের প্রশ্ন করছে তোমরা তোমাদের প্রতি পালকের কোন অনুগ্রহ অস্বিকার করিবে । শুধু মাত্র আছে সূরা রহমানে ২৭নং পাড়ায় সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতি পালকের কোন অনুগ্রহকে অস্বিকার করিবে , একথাটা বলা হয়েছে সব মিলিয়ে ৩১ বার। এখানে আল্লাহ-তা’আলার নির্দশনের কথা বলা হচ্ছে , গাছের কথা, আকাশ মন্ডলীর কথা তার পর প্রশ্ন করা হচ্ছে তোমরা তোমাদের প্রতি পালকের কোন অনুগ্রহকে অস্বিকার করিবে , এখানে পানি চক্রের কথা বলা হচ্ছে তার পর মিষ্টি পানি আর নোনা পানির মধ্যে অন্তরায় এর কথা বলা হচ্ছে তারপর বলা হচ্ছে তোমাদের প্রতি পালকের কোন অনুগ্রহকে অস্বিকার করিবে । পবিত্র কোরান একটি সূরার মধ্যে পাঠকদের প্রশ্ন করা হচ্ছে তোমাদের প্রতি পালকের অর্থাৎ সরবো-শক্তীমানের কোন অনুগ্রহকে অস্বিকার করিবে । পাঠকদের প্রশ্ন করা হচ্ছে যে এই সব নির্দশন এগুলো কথা হতে এসেছে কোন অনুগ্রহকে অস্বিকার করিবে । এছাড়াও জীব বিদ্দ্যার ক্ষেত্রে পবিত্র কোরানে আছে সুরা আম্বিয়ার ৩০-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاء كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ আমি প্রানবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করিলাম পানি হতে তবুও কি তারা ইমান আনিবেনা । চিন্তা করেন সেই আরবের মরু ভূমিতে যেখানে পানি পাওয়াটা খুব কষ্টের আর কোরান বলছে সমস্ত জীব জন্তু পানি থেকে সৃষ্টি হয়েছে । কে এই কথা বিশ্বাস করবে কোরানে অন্য কোনো কিছু লেখা থাকলে হয়তো কেউ বিশ্বাস করতো , পানি যেখানে পানির অভাব সেখানে কোরান বলছে ১৪০০ বছর আগে সমস্ত জীব জন্তু সৃষ্টি হয়েছে পানি থেকে । এখন আমরা জানি যে সাইটোপ্লাজম হলো যে কোন প্রানী কোষের সবচেয়ে মৌলিক উপাদান এর ৮০% হলো পানি , প্রত্যেক জীব-জন্তুর শরীরে ৫০-৭০ ভাগ থাকে পানি ,আর পানি ছাড়া কোনো জীব-জন্তু বাঁচতে পারে না এটা হবেই । কোরান প্রশ্ন করছে وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاء كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ প্রানবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করিলাম পানি হতে তবুও কি তোমরা ইমান আনিবেনা । আল্লাহ বলছেন সব জীব-জন্তু পানি হতে তৈরি আর আমরা জানলাম সেদিন । কোরান একথা বলছে ১৪০০ বছর আগে তবু কি তোমরা ইমান আনিবেনা ? কোরান একটা প্রশ্ন করছে একটা উত্তর চাইছে । পবিত্র কোরানে আছে সুরা নূর এর ৪৫-নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে - আল্লাহ সমস্ত জীব সৃষ্টি করিয়াছেন পানি হতে । পবিত্র কোরানে আছে সুরা ফুকান এর ৫৪-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – আল্লাহ তা’আলা মানুষ জাতিকে সৃষ্টি করিয়াছেন পানি হতে । চিন্তা করেন ১৪০০ বছর আগে কোরানে একথা বলছে হয়েছে ।



উদ্ভিদ বিদ্যার ক্ষেত্রে আমরা এই কিছুদিন আগে জেনেছি যে গাছ-পালারো লিঙ্গ থাকে পুরুষ এবং স্ত্রী আমরা আগে এটা জানতাম না এমন কি উভলিঙ্গ গাছ , সেই গাছ গুলোর মধ্যে পুরুষ এবং স্ত্রী অংশ আলাদা থাকে । এছাড়াও পবিত্র কোরানে আছে সুরা তা’হার ৫৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা অাছে– আল্লাহ সুবাহানা তা’আলা আকাশ হতে বারি বর্ষন করেন এবং ইহা দ্বারা বিভিন্ন উদ্ভিদ উৎপন্ন করেন একটি আরেকটির তুলনায় পৃথক । তার মানে গাছ-পালারো লিঙ্গ আছে । পবিত্র কোরানে আছে সুরা রদের ৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে – তিনি প্রত্যেক প্রকারের ফল সৃষ্টি করিয়াছেন জোড়াই­- জোড়াই । সব জায়গায় জোড়া গাছ পালারো লিঙ্গ আছে পুরুষ এবং স্ত্রী

প্রানী বিদ্যার ক্ষেত্রে পবিত্র কোরানে আছে সুরা আনামের ৩৮-নং আয়াতে উল্লেখ করা অাছে যে – এই পৃথিবীর ওপরে বিচরনশীল এমন কনো জীর নেই অথবা নিজ ডানার সাহায্যে উড়ে এমন কনো পাখি নেই , যাহারা তোমাদের মতো একটি সম্প্রদায় । আজকের দিনে বিজ্ঞান জেনেছে এমন কি জীর-জন্তু ও পাখিরাও মানুষের মতো সমষ্টিগতো হয়ে বাস করে । পবিত্র কোরানে পাখির ওড়ার কথাও বলা হয়েছে সুরা নাহালের ৭৯-নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে – তাহারা কি বিহঙ্গের দিকে লক্ষ্য করে না যাহারা আকাশের শূন্য গর্ভে নিয়র্ন্ত্যনাধীন , অন্য কেহ তাহাদের স্থীর রাখে না শুধু মাত্র আল্লাহ তা’আলাই তাহাদের স্থীর রাখেন । এছাড়াও পবিত্র কোরানে সুরা মূলকের ১৯-নং আয়াতে উল্লেখ করা অাছে – উহারা কি লক্ষ করে না ঊর্ধ দেশে বিহঙ্গ কুলের প্রতি যাহারা তাহাদের বক্ষ বিস্তার করে ও সংকুচিত করে কেহই তাহাদের স্থীর রাখে না এক মাত্র আল্লাহ তা’আলাই তাহাদের স্থীর রাখেন এবং তিনি সকল বিষয়ে সম্পূর্ন অবগত । কোরানের এই কথার সাথে আধুনিক বিজ্ঞানের সামপ্রতিক আবিষ্কারের এক অভাবনীয় মিল পাওয়া গেছে যে পাখিদের মাথার মধ্যে উড়ে বেড়ানোর প্রগামিং করা আছে, নার্ভাস সিসটেম আছে আর এই কারনে ছোট ছোট পাখি আগে কনো রকম অভিঙ্গতা না থাকলেও হাজার হাজার মাইল উড়ে বেড়াতে পারে । কনো রকম গাইড ছাড়াই, তাড়া আগের জায়গায় ফিরেও আসতে পারে । আর এটার একটা সুন্দর উদাহারন দিয়েছেন প্রফেসর Ham Burger তার বই power and Tragedy তে প্রসান্ত-মহাসাগরে এক ধরনের পাখি আছে এই পাখিটা ১৫ হাজারেরও বেশি মাইল উড়ে , আর এর সময় লাগে ছয় মাস পাখিটা আবারো আগের জায়গায় ফিরে আসে , সময়ের হের ফের হয় খুব বেশি হলে এক সপ্তাহ । এটা কি ভাবে সম্ভব বিজ্ঞানীরা বলেন এই পাখিদের মধ্যে নিশ্চয় একটা প্রগামিং আছে , কে তাদের এই প্রগামিং করেছেন ? উত্তর পবিত্র কোরানে আছে আল্লাহ সুবাহানা তা’আলা তাহাদের স্থীর রাখেন । এখানে আরবি শব্দ আনসাকা অর্থাৎ থামিয়ে রাখা বা স্থীর রাখা । পবিত্র কোরানে সুরা নাহালের ৬৮এবং ৬৯-নং আয়াতে উল্লেখ করা অছে যে – তোমদের প্রতিপালক মৌমাছিকে নির্দেশ দিয়েছেন তোমাদের গৃহ নির্মান করো পাহাড়ে, বৃক্ষে ও মানুষের গৃহে এবং ইহার পর প্রত্যেক ফল হইতে কিছু কিছু আহার করো এবং তোমাদের প্রতি পালকের সহজ পথ অনুসরন করো তোমাদের সামথ্য দিয়ে । পবিত্র কোরান এখানে কি বোঝাচ্ছে যে আল্লাহ সুবাহানা তা’আলা মৌমাছিদের কেন বলেছেন যে তোমাদের প্রতি পালকের সহজ পথ অনুসরন করতে । Front Fres একজন বিজ্ঞানী যিনি ১৯৭৩ সালে নোবেল প্রাইজ পেয়ে ছিলেন , তিনি পশু-পাখির আচার ব্যাবহার নিয়ে গোবেষনা করেছিলেন বিশেষ করে মৌমাছির যোগা যোগ করার পদ্ধতি নিয়ে । আর এখন আমরা জানি যখনি কনো কর্মি মৌমাছি কনো নতুন ফুল খুজে পায় অথবা নতুন বাগান যেখান থেকে তারা মধু নিতে পারে সেই মৌমাছিটা তখন অন্য মৌমাছিদের গিয়ে বলে । সেই নতুন ফুল বা বাগানে যাওয়ার সঠিক যেই পথ বা ম্যাপ এটাকে বলা হয় the damps এই কিছু দিন আগে আমরা জানতে পেরেছি উন্নত মানের ফোটোগ্রাফির মাধ্যমে কিভাবে মৌমাছিরা যোগা যোগ করে । কোরানের এই আয়াতে মৌমাছির যে লিঙ্গের কথা বলা হয়েছে সুরা নাহালের ১৪নং পাড়ায় ৬৮ এবং ৬৯ নং আয়াতে সেটা হলো স্ত্রী মৌমাছি , كُلِِّ فَاسْلُكِي যার অর্থ একটা স্ত্রী মৌমাছি আগে আমরা জানতাম যে কর্মী মৌমাছি আসলে পুরুষ লিঙ্গের মৌমাছি আর সেজন্য সেক্র্সপিয়ার তার নাটক হেন্ড্রি দা ফোথ এ লিখেছেন যে – সৈনিক মৌমাছি , পুরুষ মৌমাছি তারা তাদের রাজার কাছে গেল । আজকে আমরা জানতে পেরেছি মৌমাছিদের কনো রাজা নেই তাদের আছে রানী , আর কর্মী মৌমাছি কনো পুরুষ মৌমাছি নই এরা আসলে স্ত্রী মৌমাছি । চিন্তা করেন পবিত্র কোরান মৌমাছির লিঙ্গ সর্ম্পকে বলেছে ১৪০০ বছর আগে যেটা আমরা আবিষ্কার করলাম মাত্র কয়েক দিন আগে । পবিত্র কোরানে আছে সুরা আনকাবুট এর ৪১-নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে – যাহারা আপরকে অভিভাবক রুপে গ্রহন করে আল্লাহ সুবাহানা তা’আলার পরিবর্তে তাহাদের দৃষ্টান্ত হলো সেই মাকরোসার মতো যাহারা নিজের জন্য ঘর বানাই এবং ঘরের মধ্যে মাকরোসার ঘর হলো ভঙ্গুর দুর্বলোতম । যদি কেউ আল্লাহ সুবাহানা তা’আলাকে ত্যাগ করে অন্য ইশ্বসরের উপাসনা করে , তাদের কে বোঝানোর জন্য মাকরোসার ঘরের কথা বলা হয়েছে ভঙ্গুর, দুর্বল, পাতলা । এখানে মাকরোসার জীবন ধারন সর্ম্পকেও কথা বলা হচ্ছে আমরা কিছু দিন আগে জানতে পেরেছি যে অনেক সময়ই স্ত্রী মাকড়োসা পুরুষ মাকড়োসাকে মেরে ফেলে । পবিত্র কোরানে আছে সুরা নামূল এর ১৭ এবং১৮ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – সুলাইমানের সম্মুখে যখন জ্বিন , মানুষ ও বিহঙ্গ (মানে সুলাইমানের বাহিনি) যখন পিপিলিকা অর্ধূশিত এলাকায় এসে পৌছালো ,তখন এক পিপিলিকা বলিল তোমরা তোমাদরে গৃহে প্রবেশ করো , যেন সুলাইমান ও তাহার বাহিনি তাহাদের অগ্গতাসরে তোমাদের পদতলে পিষিয়া না ফেলে । লোকে হইতো ভাববে কোরানে এই সমস্ত রুপ কথার গল্প লেখা কেনো । এখানে এই পবিত্র কোরানে পিঁপড়ার কথা বলছে , পিঁপরারা নিজেদের মধ্যে কথা বলছে এটা একটা রুপ কথার বই । কিছু দিন আগে আমরা জানতে পেরেছি যে কনো প্রানী অথবা কনো কিট যার সাথে মানুষ জাতির সবচেয়ে বেশি মিল আছে তা হলো পিঁপরা , মানুষের মতো পিঁপরাও তাদের মৃত দেহ কবর দেয় , তাদের সমাজে সব ধরনের কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়, তাদের আছে ম্যানেজার ,সুপারভাইজার , শ্রমিক ইত্যাদি । তারা নিজেদের মধ্যে কথা বার্তাও বলে এমনকি তারা বেশ উন্নত উপায়ে যোগা-যোগ করে , তারা বাজারের মতো জায়গায় পন্য বিনিময় করে , শীত কালের জন্য শস্য মজুত করে আর এই শস্য দানায় যদি কুড়ি গজায় , পিঁপরারা এই কুঁড়ি গুলো কেটে ফেলে যেন তারা জানে যে এই কুঁড়ি গুলোর কারনে শস্য পঁচে যায়। আর গ্রীষ্ম কালে শস্য দানা গুলো ভিজে গেলে তারা শস্য দানা গুলো বাইরে রোদে এনে শুকাতে দেয় । অনেকে হইতো দেখছেন পিঁপরারা বাইরে রোদে আলোর কাছে শস্য দানা গুলো আনছে শুকানোর জন্য , যেন তারা জানে বাতাস আদ্র হলে শস্য দানা গুলো ভিজে যায় এতে করে শস্য দানা গুলো পঁচে যায় । তাহলে পবিত্র কোরান পিঁপরার উন্নত প্রকৃতি সর্ম্পকে বলেছে ১৪০০ বছর আগে ।
----------------------------------------------------------------------------------
এই লেখা ডক্টর জাকির নায়েক এর লেকচার থেকে নেওয়া হয়েছে

Leave a Reply

Powered by Blogger.