Translate

Home > March 2011

March 2011

Fish Medicine For Asthama

Sunday, March 27, 2011 Category : 0


প্রশ্ন-উত্তর

Category : 0

১: আমার প্রশ্ন হলো কোরানে বেশ কিছু যায়গায় বলা হয়েছে আকাশ মন্ডলি ও পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে ছয় দিনে । কিন্তু সূরা ফূসিলতে বলা হয়েছে আকাশ ও পৃথিবী তৈরী হয়েছে আটদিনে । এই কথাটা কি পরষ্পর বিরোধি এই আয়াতে আরো আছে যে পৃথিবী তৈরী হয়েছে ছয়দিনে আর আকাশ তৈরী হয়েছে দুই দিনে এই কথাটা বিগ-ব্যাংঙ থিওরির বিরুদ্ধে । কারন আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে একি সাথে ?



ভাই খুব গুরুত্ব্যপুন্য প্রশ্ন করেছেন যে কোরান বলছে আকাশ মন্ডলি ও পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে ছয় দিনে আর সূরা ফূসিলতে বলছে আটদিন । এটা কি পরষ্পর বিরোধী এটা কি বিগ-ব্যাংঙ থিওরির বিরুদ্ধে কিনা – আমি আপনার সাথে একমত কোরান অনেক জায়গায় বলেছে আকাশ মন্ডলি ও পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে ছয় দিনে অনেক জায়গায় সূরা আরাফের ৫৪নং আয়াতে একথা বলা হয়েছে তারপর সূরা ইউনুসের ৩নং আয়াতে বলা হয়েছে , সূরা হুদ এর ৭নং আয়াতে বলা হয়েছে, সূরা ফুরকানের ৫৯নং আয়াতে বলা হয়েছে, সূরা সাজ্‌দাহর ৪নং আয়াতে বলা হয়েছে আর সূরা হাদিত ৪নং আয়াতে বলা হয়েছে । এমনকি অনেক জায়গায় কোরান বলছে আকাশ মন্ডলি ও পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে ছয় দিনে । এটা পার্থিব দিন নই এটা হলো ইয়াম খুব একটা লম্বা সময় কাল , একথার ব্যাপারে আমার কনো আপত্তি নেই । আর এ ব্যাপারে আমি একমত যে পবিত্র কোরানে আকাশ মন্ডলি ও পৃথিবীর সৃষ্টি কথা বলা হয়েছে, সূরা ফুসিলতে আপনি যে আয়াতের কথা বলেছেন সেটা হলো ৯-১২ নং আয়াত বলা হচ্ছে যে – তাহাকে কি অস্বিকার করিবেই যিনি এই পৃথিবী সৃষ্টি করিয়াছেন দুই দিনে তোমরা কি তাহার সমকক্ষ দাঁড় করাইতেছ , তোমরা কি কাহাকেউ তাহার শরীক করাইতেছ তিনিতো জগত সমূহের প্রতি পালক । দশ নং আয়াতে আছে তিনি ভূ-পৃষ্ঠে স্থাপন করেছেন অটল পর্বত মালা পৃথিবীতে খ্যাদ্যের ব্যাবস্থা করেছেন চার দিনে । এগারো নং আয়াতে বলা হচ্ছে অতপর: তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করিলেন যাহাছিল ধুম্র বিশেষ । অতপর: তিনি উহাকে ও পৃথিবী কে বলিলেন তোমরা উভয়েই আসো ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় অতপর: তারা উভেয়ই বলিল আমরা আসিলাম একান্ত অনুগত হইয়া তিনি ইহা করেন দুই দিনে । তাই আপনি যদি পরেন চিন্তা না যে ২ + ৪+ ২ = ৮ দিন । কোরান এখানে শুরুতেই উত্তর দিয়েছে যে যারা এর মধ্যে ভুল খুজতে যাবে তারা হবে সেই লোকগুলোর সমান যারা আল্লাহ্‌র সাথে কাউকে শরীক করে । আল্লাহ্‌ সুবাহানা তা-আলা যানতেন কিছু লোক থাকবে যারা কোরানের এই আয়াত গুলোর ভুল বের করার চেষ্টা করবে তারা হবে মুশরিক । এখন র্খষ্টান মিশোনারিরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে এই আয়াত গুলো প্রচার করে যদি আশে পাশে দেখেন আমি অনেক দেশে গিয়েছি এই প্রশ্নটা আমাকে সেখানেও করা হয়েছিল । এখানে প্রথম দুটো আয়াত মানে সূরা ফসিলতের ৯-১০ নং আয়াতে বলছে যে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে দুই দিনে তারপর পাহাড় পর্বত ও খাদ্যের ব্যাবস্থা করা হয়েছে যথাযথ ভাবে চার দিনে সব মিলিয়ে ছয় দিন তার পর এগারো নং আয়াতে প্রথম আরবি শব্দ সুমমা এর তিনটি আলাদা অর্থ আছে একটা হলো তারপর, একটা হলো তখনি আরেকটা হলো একিসাথে । আমি মেনে নিচ্ছি কোরানে অনেক আয়াতেই সুমমার অনুবাদ করা আছে তারপর যদি সুমমার অনুবাদ করেন “তারপর “ তাহলে কথাটা পরষ্পর বিরোধী । অনুবাদ করেছে তারপর তবে এখানে সঠিক অনুবাদ হবে তখনই অথবা একিসাথে । আবদুল্লাহ ইউসুফ আলহামদুলিল্লাহ এই আয়াতে সুমমা শব্দটির সঠিক অনুবাদ করেছেন (হাতের বই দেখিয়ে) অর্থাৎ একিসাথে যদি সুমমার অনুবাদ করে একিসাথে তখন এর অর্থ দাড়াঁবে যখন পৃথিবী ও পাহাড়পর্বত সৃষ্টি হলো ছয় দিনে তখন আকাশ সৃষ্টি হলো দুই দিনে । যেমন ধরেন কনো একজন নির্মাতা তিনি বল্লেন আমার কোম্পানি একটা দশ তলা বাড়ি বানিয়েছে একি সাথে বাড়ির চারপাশে দেয়ালটাও বানিয়েছে মোট ছয় মাস সময়ে । এরপর কনো একজন লোক ফ্লাট কিনতে গেলেন , তারপর সেই নির্মাতার সাথে কথা বল্লেন বাড়িটার সর্ম্পকে বিস্তারিত কিছু জানতে চাইলেন । নির্মাতা বল্লেন বেইজমেন্ট তৈরি করতে দুই মাস সময় লেগেছে আর পরের চার মাসে দশতলা বাড়িটা বানিয়েছি আর যখন আমি বেইজমেন্ট ও দশতলা বাড়িটা বানাচ্ছিলাম তখন আমি বাড়ির চারপাশের দেয়ালটা বানিয়েছি দুই মাসে । এটা সম্ভব কথাটা পরষ্পর বিরোধি নই এরপরও মোট সময় ছয় মাস । একি ভাবে সূরা ফসিলতের ৯-১০ নং আয়াতে বলছে যে পৃথিবী ও পর্বত ছয় দিনে সৃষ্টি হলো একি সাথে আকাশ মন্ডলি সৃষ্টি হয়েছে দুই দিনে এটা পরষ্পর বিরোধি নই। আর একি ভাবে যদি অনুবাদ করেন তারপর তাহলে কথাটা বিজ্ঞান সম্মত হয় না ,এটা পরষ্পর বিরোধি । এছাড়াও পবিত্র কোরানে সূরা বাকারার ২৯নং আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহ্‌ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন সুমমা আকাশ মন্ডলি তবে দূর্ভাগজনক আবদুল্লাহ ইউসুফ এখানে সুমমার অনুবাদ করেছেন “তারপর” । আল্লাহ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তারপর আকাশ মন্ডলি তখন কথাটা পরষ্পর বিরোধি । এখানে সুমমা শব্দটার সঠিক অনুবাদ হবে একিসাথে তখন কথাটা পরষ্পর বিরোধি না , কারন বিগ-ব্যাং এর থিওরি আমাদের বলে আকাশ ও পৃথিবী একিসাথে সৃষ্টি হয়েছে । সেজন্যই পবিত্র কোরানে অনেক জায়গায় বলা আছে আমি আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করলাম । সবশেষে আমি পবিত্র কোরানে সূরা আম্বিয়ার ৩০ নং আয়াতের কথা উল্লেখ করছি -



أَوَلَمْ يَرَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنَاهُمَا وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاء كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ أَفَلَا يُؤْمِنُونَ




আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশিয়া ছিল আমি উহাদের পৃথক করিলাম

কুরান এবং আধুনিক বিজ্ঞান - ৩

Category : 0

চিকিৎসা বিদ্যার ক্ষেত্রে পবিত্র কোরানে আছে আছে সুরা সাহাল এর ৬৮ এবং ৬৯ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – মৌমাছির উদর হইতে নির্গত হয় বিবিধ বর্নের পানি যাহাতে মানুষের জন্য রহিয়াছে আরগ্য । আমরা মাত্র কিছু দিন আগে জানতে পেরেছি মৌমাছির শরীর থেকেই মধু বের হয় । মৌমাছি শরীর থেকে যে মধু পাওয়া যায় আগে আমরা একথা জানতাম না , এখন আমরা জানি মধুর মধ্যে আছে প্রচুর খাদ্য গুন , মধুতে আছে প্রচুর ভিটামিন k আর ফ্রুকটস আর এতে মাঝারি এনটিসেপটিক এর বৈশিষ্ঠ্য রয়েছে এর জন্য রাশিয়ান সৈন্যরা তারা কেটে যাওয়া যায়গায় মধু লাগিয়ে রাখতো , একারনে সেখানে কনো ইনফেকসন হতো না । আর তারা তাড়ি তা সখুয়ে যেত , যদি কনো মানুষ ভোগেন কনো এর্লাজিতে , গাছের ব্যাপারে এর্লাজি , যদি সেই গাছের মধু সেই লোককে খাওয়ানো হয় তাহলে তার এই এর্লাজি আস্তে আস্তে কমে যাবে ।



শরীর বিদ্যার সর্ম্পকে ইবনে নাফিস এর কথা বলি যিনি পবিত্র কোরান নাযিল হওয়ার ছয়শো বছর পরে , রক্ত সজঞ্চালন পক্রিয়া আবিষ্কার করেন । আর কোরান নাযিল হওয়ার এক হাজার বছর পরে মানে ইবনে নাফিস এর চারশো বছর পরে উইলিয়াম হারভি তিনি ইউরোপে এই আবিষ্কারটা প্রচার করলেন । আমরা যে খাবার গুলো খায় সেগুলো পাকস্খলিতে যায়, বিভিন্ন অন্ত্রে যায় , বিভিন্ন অন্ত্রে থেকে এই খাদ্য উপাদান রক্ত কষে যায় আর রক্ত প্রবাহের ভিতর প্রবেশ করে আর রক্ত প্রবাহের এই খাদ্যের উপাদান কে বিভিন্ন আংশে যেমন স্তন্য গ্রহন্থী যেখানে দুধ উৎপন্ন হয়। পবিত্র কোরানে রক্তের প্রবাহ আর দুধের উৎপাদন সংক্ষেপে বলা হয়েছে । পবিত্র কোরানে আছে সুরা নাহাল এর ৬৬ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে – অবশ্যই গবাদি পশুর মধ্যে তোমাদের জন্য শিক্ষা রহিয়াছে , তাহাদের শরীর হইতে আমি তোমাদের পান করায় , উহাদের উদর হইতে, উহাদের উদরে আবস্থিত বিভিন্ন অন্ত্র হতে এবং রক্তের মধ্য হইতে আমি তোমাদের পান করায় বিশুদ্ধ দুগদ্হ যাহা সু-স্বাদু । পবিত্র কোরানে আছে সুরা মুমিনুল এর ২১ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে - অবশ্যই তোমাদের জন্য শিক্ষনিয় বিষয় রহিয়াছে আনামে , তোমাদিগকে পান করাই উহাদের উদরের দুগ্ধ , উহাতে রহিয়াছে তোমাদের জন্য প্রচুর উপকারিতা এবং উহাদের গোশ্ত তোমরা আহার করো। পবিত্র কোরানে রক্তের প্রবাহের কথা আর দুধের উৎপাদনের কথা সংক্ষেপে বলেছে ১৪০০ বছর আগে ।

প্রজনন বিদ্যার ক্ষেত্র একবার কয়েজন আর দেশীয় ছাত্র , তারা সবাই কোরানে প্রজনন বিদ্যা নিয়ে যে সব আয়াত আছে সেগুলো সব একজায়গায় করলো তার পর তারা পবিত্র কোরানে নির্দেশ মানলো আর সুরা ফুরকানের এর ৫৯ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে – তাহার সমন্ধে যে অবগোত আছে তাহাকে জিগগাসা করিয়া দেখ , জিগগাসা করো সেই ব্যাক্তিকে জিনি জানেন । তো এই ছাত্র গুলো কোরানে প্রজনন বিদ্যা নিয়ে সব আয়াত গুলো জড়ো করলো এই সব গুলো নিয়ে গেল প্রফেসর কিত মুরের কাছে , প্রফেসর কিত মুর হলেন Toronto university এর anatomy বিভাগ এর head of the department কানাডায় । আর তিনি এই পৃথিবীতে প্রজনন বিদ্যা বিষয়ে এক জন বিখ্যাত বিশেষগ্গ্য । প্রফেসর কিত মুরের কাছে প্রজনন বিদ্যা নিয়ে কোরানের বিভিন্ন আয়াতের অনুবাদ দেখলেন । তারপরে বল্লেন কোরানের প্রজনন তত্ব্য নিয়ে যে কথা গুলো বলা আছে তার মধ্যে বেশির ভাগই আমরা যা কিছু জানি প্রজনন তত্ব্যের উপরে তার সাথে মিলে যায় , তবে এখানে কয়েকটি বিষয় আছে যেগুলোকে আমি সঠিক বলতে পারি না আবার বলতেও পারি না ভুল , কারন এগুলো সর্ম্পকে আমি নিজেই কিছু জানি না । এই আয়াত গুলোর একটা সূরা ইকরা বা আলাক । সূরা ইকরার এক ও দুই নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে - اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ । خَلَقَ الْإِنسَانَ مِنْ عَلَقٍ পাঠ করো পড়ো তোমার প্রতিপালকের নামে , তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করিয়াছেন, তিনি মানুষকে সৃষ্টি করিয়াছেন ঝুলন্ত একটি বস্তু হতে জোকের মতো দেখতে । তখন প্রফেসর কিত মুর বল্লেন আমি জানি না ভ্রুনের আকার কখোনো জোকের মতো হয় কি না, তখন তিনি ল্যাবরেটরিতে গেলেন আর খুব শক্তি শালী মাইক্রোসকোপ দিয়ে মানব ভ্রুনের প্রাথমিক অবস্থা পর্যবেক্ষন করতে লাগলেন তারপরে তিনি এই দুটোর সাদৃশ্য দেখে অবাক হয়ে গেলেন । একবার তাকে প্রজনন তত্বের উপর আশিটা প্রশ্ন করা হয়েছিল , কোরান এবং সহিই হাদিস থেকে। তিনি বল্লেন যদি ৩০ বছর আগে আমাকে এই প্রশ্ন গুলো করতেন তাহলে এগুলোর অর্ধকেরও উত্তর আমি দিতে পারতাম না । কারন প্রজনন তত্ব মানুষের প্রজনন বিদ্যার উন্নতি খুব বেশি দিন হয়নি মাত্র ৩০-৪০ বছর হবে । প্রফেসর কিত মুরের একটা বই লিখেছেন the development human আর তিন নম্বর সংস্করে তিনি কোরান এবং হাদিস থেকে পাওয়া কিছু তথ্য জুড়ে দিয়েছেন, এজন্য তিনি পুরুষ্কারও পেয়েছেন বইটি ছিল সেই বছরে কোন লেখকের লেখা শ্রেষ্ঠ্য মেডিকেল বই। আর আমি যখন MBBS পড়ছিলাম যখন ফার্স্ট ইয়ারে তখন আমরা এই বইটা পড়েছি কিত মুরের development human যদি কেউ প্রজনন বিদ্যাই ভালো নম্বর পেতে চায় তাহলে কিত মুরের বইটা পড়তে হবে আর যদি পাশ মার্ক পেতে চায় তাহলে ইন্দর শিং এর বই যথেষ্ট, ভালো নম্বর পেতে চায়লে সবাইকে কিত মুরের বইটা পড়তেই হবে। পরবর্তীতে এই বইটা পৃথিবীর অনেক গুলো ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে । প্রফেসর কিত মুরের বলেছেন একথা মানতে আমার কনো আপত্তি নেই যে হযরত মুহাম্মদ (সা:) ইশ্বরের প্রেরিত দুধ আর পবিত্র কোরান হচ্ছে ইশ্বর প্রেরিত একটি আসমানি কিতাব । পবিত্র কোরানে আছে সুরা ত্বারিক এর ৫-৭ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – মানুষ ভাবুক কি হইতে তাহাকে সৃষ্টি করা হইয়াছে সে সৃষ্টি করা হইয়াছে স্থলিত পানি হতে যাহা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও পঞ্জরাস্থীর মধ্য হইতে , আজকে আমরা জানতে পেরেছি জননান্দ্রিয় পুরুষদের শুক্রাশয় আর মহিলাদের ডিম্বাশয় ভ্রুন গঠনে প্রাথমিক পর্যায়ে এই অঙ্গ প্রতঙ্গ গুলো থাকে যেখানে কিডনির অবস্থান , এগুলো থাকে মেরুদন্ড আর পাজরের হারের মাঝখানে । পরবর্তীতে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই শুক্রাশয় আস্তে আস্তে পরিনত হয় স্ক্রোটাম আর মহিলাদের ডিম্বাশয় পরিনত হয় পেলভিসে , কিন্তু ভ্রুন গঠনের সময় এগুলো কোরান যে ভাবে বলেছে ঠিক সে ভাবে থাকে , এগুলো থাকে মেরুদন্ড , স্পাইনাল কলাম আর পাজরের হারের মাঝখানে । এমনকি বড় হয়ে গেলেও যখন সব জনন্দ্রীয় তৈরী হয়ে যায় তখনোও রক্তের প্রবাহ, স্নায়ু প্রবাহ, বিভিন্ন রকম রস এগুলো আসে স্পাইনাল কলাম আর পাজরের হারের মধ্য দিয়ে । পবিত্র কোরানে আছে সুরা মূমিনূন এর ১৩ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে , এছাড়াও সুরা হাজ্ এর ৫ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে – আমি মানুষ জাতিকে সৃষ্টি করিয়াছি লুৎফা হতে । এখানে আরবি শব্দ লুৎফা যে মানুষ জাতি সৃষ্টি হয়েছে লুৎফা হতে একথা কোরানে সব মিলিয়ে বলা হয়েছে ১১ বার আর লুৎফা শব্দটা বলা হয়েছে ১২ বার। তবে মানুষ যে লুৎফা হতে সৃষ্টি হয়েছে একথা আছে ১১ বার। আরবি ভাষায় লুৎফা শব্দটার

অর্থ সামান্য পরিমান তরল পদার্থ । পবিত্র কোরানে এটা আছে সুরা সাজদাহ্ এর ৮ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – অতপর: তিনি বংশ উৎপন্ন করেন তুচ্ছ তরল পদার্থের নির্জাস হতে । এখানে আরবি শব্দটা سُلَالَ যার অর্থ সামান্য পরিমান অথবা কনো কিছুর সবচেয়ে সেরা অংশ । আজকে আমরা জানতে পেরেছি শুধু মাত্র একটা শুক্রানুই ডিম্বানুর সাথে মিলিত হয় আর পুরুয়ের শরীর থেকে নির্গত হওয়া লক্ষ লক্ষ শুক্রানুর মধ্যে একটি শুক্রানুই ডিম্বানুর সাথে মিলিত হয়ে ভ্রুন গঠন হয়। পবিত্র কোরান এটাকে বলছে سُلَالَ সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ্য অংশ অথবা লুৎফা খুব সামান্য পরিমান। পবিত্র কোরানে সুরা ইনসান এর ২ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে - إِنَّا خَلَقْنَا الْإِنسَانَ مِن نُّطْفَةٍ أَمْشَاجٍ এখানে আরবিতে আছে نُّطْفَةٍ أَمْشَاجٍ অর্থাৎ আমি মানুষকে সৃষ্টি করিয়াচি তুচ্ছ তরল পদার্থের নির্জাস হতে । نُّطْفَةٍ أَمْشَاجٍ তুচ্ছ তরল পদার্থের নির্জাস হতে। এরপর যেটা হয় শুক্রানু ডিম্বানুর সাথে মিলিত হয়ে ভ্রুন গঠন হয় তখনো এটা লুৎফাই থাকে তুচ্ছ তরল পদার্থ এটাকে আরো বোঝানো যায় শুক্রানুর তরল পদার্থকে যেখানে বিভিন্ন গ্রহন্থি থেকে মিশ্রিত রস থাকে – যেমন শুক্রাশয় থেকে রস নির্গত হয় স্পারমাটোজোয়া , এখানে আরো রস নির্গত হয় সেমাইনাল ভেসিকাল থেকে সেমাইনাল রস এর মধ্যেই থাকে স্পারমাটোজোয়া কিন্তু এখানে উর্বর করার কনো এজেন্ট থাকে না । তা ছাড়াও এর সাথে মুত্র গ্রন্থির সংযোগ রয়েছে একারনে শুক্রানু তরল হয় এবং এতে বিশেষ ঘ্রান পাওয়া যায় । এছাড়াও মুত্র নালির সাথে যে গ্রন্থির গুলি রয়েছে কুপার অথবা লিটার স্লাং একারনে পুরুষের নিশ্রিত শুক্রানু কিছুটা আঠালো হয় । পবিত্র কোরান এখান বলছে نُّطْفَةٍ أَمْشَاجٍ তুচ্ছ তরল পদার্থের নির্জাস হতে। শুক্রানু এবং ডিম্বানু এই তরল পদার্থে আবৃত থাকে আর এভাবে মানব শিশুর ভ্রুন উৎপন্ন হয় পবিত্র কোরানে সুরা জুমা এর ৬ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – আমি তোমাদের সৃষ্টি করিয়াছি মাতৃ গর্ভের ভেতর বিভিন্ন স্তরে একটার পর আরেকটা তিন প্রকার অন্ধরের ভেতর । প্রফেসর কিতমুর বলেছেন মাতৃ গর্ভের ভেতর এই তিনটি অন্ধকার Anterolateral Abdominal Wall, utorian wall, membrane wall (inferior epigastric vessels) । পবিত্র কোরান এছাড়াও কথা বলছে Genetics নিয়ে । পবিত্র কোরানে সুরা নাজামের ৪৫-৪৬ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – তিনি মানুষকে সৃষ্টি করিয়াছেন এবং উহাদের তৈরি করেন পুরুষ এবং নারী রুপে সামান্য পরিমান শুক্র বিন্দু হতে যখন উহা স্থলিত হয়। এখানে এটাই স্বাভাবিক যেটা স্থলিত হচ্ছে সেটা পুরুষের শুক্র। কোরান বলছে পুরুষের শুক্র দিয়েই সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারিত হয়। কোরানে একথাটা আবারো বলা হয়েছে সুরা ক্বেয়ামাহ ৩৭-৩৯ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – আমি মানুষ জাতিকে সৃষ্টি করিয়াছি খুব সামান্য পরিমান শুক্র বিন্দু হইতে অতপর: সে পরিনত হয় আলাকাই জোকের মতো একটি বস্তু , অতপর: তাকে আমি আকৃতি দান করি , তারপর সৃষ্টি হয় যুগল পুরুষ ও নারী । এখানে আরবি শব্দ نُطْفَةً مِّن مَّنِيٍّ يُمْنَى অর্থাৎ খুব সামান্য পরিমান শুক্র বিন্দু , কোরান বলছে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারনের জন্য সামান্য শুক্র বিন্দুর প্রয়োজন । আজকের দিনে বিজ্ঞানের সাহায্যে আমরা জানি সন্তানের লিঙ্গ কি হবে তা নির্ভর করে ২৩ তম ক্রমজমের জোড়ার ওপরে । আর পুরুষে নির্গত শুক্রানুই নির্ধারন করে সন্তানের লিঙ্গ আসলে কি হবে যদি এটা হয় xx তাহলে নারী আর যদি হয় xy তাহলে পুরুষ । কোরান একথা বলে গেছে ১৪০০ বছর আগে। আমাদের সমাজে দেখবেন বিশেষ করে ইন্ডিয়ার সমাজে দেখবেন মানুষ আশা করে তাদের ছেলে হবে , আর যদি কনো লোকের স্ত্রীর মেয়ে হয় তাহলে সেই মেয়ের শাশুরী মেয়েকে দোষ দেই । শাশুরীর যদি কাউকে দোষ দিতে হয় তাহলে নিজের ছেলেকে দিতে হরে ছেলের বউকে না । কারন পবিত্র কোরান ও বিজ্ঞান আমাদের বলে পুরুষে শুক্রানুই নির্ধারন করে সন্তানের লিঙ্গ কি হবে নারীর ডিম্বানু নই । পবিত্র কোরান মানব ভ্রুনের কথা একে বারে বিস্তারিত ভাবে বলেছে সুরা মূমিনুনের ১২-১৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে – আমিতো মানুষকে সৃষ্টি করিয়াছি সামান্য মৃতিকার উপাদান হইতে অতপরঃ আমি উহাকে শুক্রানু রুপে স্থানান্তরিত করি قَرَارٍ مَّكِينٍ এক নিরাপদ আধাঁরে, পরে একে পরিনত করি আলাকে যে বস্তুটা ঝুলে থাকে জোকের মতো বস্তু অতপরঃ আলাককে পরিনত করি মুদগায় জিবানু মাংশ পিন্ডের মতো, মুদগাকে পরিনত করি অস্থি তারপর এই অস্থিপঞ্জরকে ঢাকিয়া দিই মাংশ দিয়ে । অতপরঃ উহাকে গড়িয়া তুলি অন্য এক সৃষ্টি রুপে , অতএব সর্বতম স্রষ্টা আল্লাহ্ কতো মহান। পবিত্র কোরানে এই সুরা মূমিনুনের ১২-১৪ নং আয়াত মানব ভ্রুনের বিস্তারিত কথা বলেছে । প্রথমে বলা হচ্ছে আল্লাহ্ نُّطْفَةٍ কে রাখেন সামান্য পরিমান তরল পদাথ্যকে রাখেন قَرَارٍ مَّكِينٍ এক নিরাপদ আধাঁরে । আধুনিক প্রজনন বিদ্যা বলে যে মানব শিশুর ভ্রুনকে মায়ের গর্ভে রক্ষা করে মেরুদন্ড আর প্রোষ্টেরিওর ওয়াল রক্ষা করে , প্রথমে রক্ষা করে ইনটেরিওর এবডোনোমিয়াল ওয়াল , কিউটেরিয়ান ওয়াল আর এম্বিও করডিওনিক মেমব্রেন তিনটি স্তরে তার পর উহাকে পরিনত করি আলাকাই জোকের মতো একটি বস্তু , যে বম্তুটা ঝুলে থাকে এখানে আরবি শব্দ আলাকা এর তিনটি অর্থ আছে যে বম্তুটা ঝুলে থাকে, জোকের মতো একটি বস্তু আর একটি হলো রক্ত পিন্ড আলহামদুলিল্লাহ এখানে তিনটি অর্থ প্রয়োগ করা যায় । কারন প্রাথমিক ভাবে মানব ভ্রুন তার মায়ের জরায়ুর ভিতর ঝুলে থাকে একে দেখায় অনেকটা জোকের মতো আর প্রফেসর মুর পরীক্ষা করে বলেছেন এর ব্যাবহারও জোকের মতো । এগুলো তখন রক্ত চোষে এই ভ্রুন তখন মায়ের শরীর থেকে রক্ত আর খাদ্য গ্রহন করে । আর এই পর্যায়ে যদি গর্ভ পাত ঘটানো হয় তখন এই ভ্রুনকে দেখায় রক্ত পিন্ডের মতো । তাহলে কোরান এই একটি শব্দ দিয়ে তিনটি অর্থ প্রকাশ করছে , আর এই তিনটি অর্থই প্রয়োগ করা যায় । কোরানে এই আলাকা শব্দটি ব্যাবহার করা হয়েছে সব মিলিয়ে ছয় বার , দুই বার সূরা মূমিনুন এর ১২-১৪ নং আয়াতে , সূরা হাজ্‌ এর ৫ নং আয়াতে এক বার, সূরা গাফির এর ৬৭ নং আয়াতে এক বার , সূরা ক্বেয়ামাহ এর ৩৮ নং আয়াতে এক বার , সবশেষে সূরা ইকরার ২ নং আয়াতে এক বার সব মিলিয়ে ছয়বার বলা হয়েছে । আগেকার দিনে সপ্তদশ শতাব্দীতে মানুষ ভাবতো যে শুক্রানু এর মাথায় খুব ছোট্ট একটা মানুষ থাকে যা পরবর্তীতে মায়ের জরায়ুর মধ্যে বড় হয় । এভাবে মানব শিশুর জন্ম নেই এই মতবাদে বিশ্বাস করতেন “জ্যাম সমআর ড্যাম” যিনি পারফর্মেসন থিওরির প্রবর্তক । পরে তারা দেখল যে ডিম্বানুর আকার শুক্রানুর চেয়ে অনেক বড় তখন ডিগ্রাফ ও অন্যান্য বিজ্ঞানীরা বল্লেন পুরুষের শুক্রানু এই ছোট্ট মানুষটিকে ঢেকেঁ রাখেনা বরং মায়ের ডিম্বানুর ভেতরে এই ক্ষুদ্র মানুষটি থাকে । পরবর্তীতে “মোপ এ্যালটিস“ অষ্টদশ শতাব্দীতে প্যারেন্টিস থিওরির কথা বল্লেন যে দুজনেরই অবদান আছে যে ডিম্বানু ও শুক্রানু এই দুটো মিলেই ভ্রুন গঠন হয় কোরানোও এই একি কথা বলছে যে ডিম্বানু ও শুক্রানু এই দুটো মিলেই ভ্রুন গঠন হয় । কোরান বলছে এই আলাকা পরবর্তীতে পরিনত হয় মুদগায় , মুদগা অর্থ চিবানু মাংশের মতো অথবা এমন কনো বস্তু যেটা মুখে দেওয়া যায় । প্রফেসর কিতমুর বলেছেন এই দুটো অর্থই প্রয়োগ করা যায় কারন

চিবানু যায় এমন ব্স্তু মুখেও তোলা যায় । আর পরবর্তীতে তিনি প্লাস্টিকের একটি অংশ নিয়ে দাঁত দিয়ে একটা কাঁমড় দিলেন যাতে মুদগার মতো দেখায় চিঁবানু মাংশের মতো তিনি অবাক হয়ে গেলেন যে দাঁতের ছাবটা দেখালো সোমায়েকের মতো যেখান থেকে উৎপন্ন হয় স্পাইনাল কলাম । কোরান বলছে পরে মুদগা পরিনত হয় ইজামান বা অস্থিতে তারপর এই ইজামান বা অস্থিকে ঢাকিয়া দেন লাহেম দ্বারা বা মাংশ দ্বারা । আল্লাহ বলছেন অতপর: আমি উহাকে গড়িয়া তলি অন্য এক নতুন সৃষ্টি রুপে । কোরান এখানে “নতুন সৃষ্টি রুপে” বলতে কি বোঝাচ্ছে , বিজ্ঞান আমাদের বলে যে ভ্রুন তৈরি হওয়ার বিভিন্ন স্তরে একে বারে প্রাথমিক পর্যায়ে খরগোশের ক্ষেত্রে , মাছের ক্ষেত্রে, অন্যান্য প্রানীর ক্ষেত্রে যা হয় মানুষরে ক্ষেত্রেও তাই হয়। শুধু মাত্র ভ্রুন গঠনের এই সময় মানব শরীরের বিভিন্ন অংশ স্পষ্ট ভাবে দেখানো হয় যেমন – মাথা , হাত, পা ইত্যাদি । তাহলে কোরান বলছে “এক নতুন সৃষ্টি রুপে” , অতএব সর্বত্তম সর্তা তিনি কতো মহান । চিন্তা করেন কোরানে ভ্রুনের গঠনের কথা বলা আছে বিস্তারিত ভাবে । অনেকে বলেন এটা এমন কনো কিছু না হয়তো কনো আরব কনো গর্ভবতীর পেট কেঁটে এসব দেখেছিল । তারপর কোরানে এইসব লিখেছে তারা আসলে বোঝেনা কোরানে যেই স্তরের কথা বলা আছে তা আসলে খালি চোখে দেখান যায় না , দেখতে হলে শক্তিশালী মাইক্রোস্কোপের প্রয়োজন । একবার প্রফেসর মার্শসাল জন কে কোরানের এই আয়াতের ওপর মন্তব্য করতে বলা হয়েছিল, তিনি এনাটনি হেড অফ দ্যা ডিপার্টমেন্ট ড্যানিয়েল ইনুস্টিউটে সেটা থর্মাস রের্ফাসসন হসপিটালে আমেরিকার ফিলাডেল এ তিনি বল্লেন এটা হতে পারে মুহাম্মদ (সা:) এসব কনো মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখেছিল , তাকে বলা হলো যে ১৪০০ বছর আগে কনো মাইক্রোস্কোপ আবিষ্কার করা হয়নি তখন প্রফেসর মার্শসাল খুব জোরে হেসে উঠলেন আর বল্লেন হা আমি জানি , আর প্রথম আবিষ্কিরিত মাইক্রোস্কোপটি আমি নিজে দেখেছি খুব বেশি হলে দশ গুন বড় দেখা যায়। আর সেটা তেমন পরিষ্কারও দেখা যায় না । তখন তিনি বল্লেন কোরানের এই আয়াত গুলো অবশ্যই ইশ্বরের বানী । এর পর তাকে বলা হলো মন্তব্য করতে কোরানের সূরা হ্বাজ এর ৫নং আয়াত নিয়ে যে , আমি মানুষ সূষ্টি করিয়াছি মৃতিকা হইতে তাহার পর আলাকা হইতে , তাহার পর মুদগা হইতে পূর্নাকৃতি বা অপূর্নাকৃতি । যদি এই পর্যায়ে ভ্রুনকে ব্যাবচ্ছেদ করা হয় আর ভালো ভাবে পর্যবেক্ষন করা হয় । আপনারা দেখতে পাবেন ভ্রুনের ভেতর কিছু কিছু অঙ্গ- পতঙ্গ পুরো পুরি তৈরি হয়েছে , কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অপরিপূর্ন্য । তখন প্রফেসর মার্শসাল বল্লেন , আমি যদি বলি এটা একটা নতুন সৃষ্টি তখন পূর্নাকৃতির অঙ্গ- পতঙ্গ কথা বলছি , আর যদি বলি অপূর্নাকৃতির সৃষ্টি তখন আমি বলছি অপরিপূর্ন্য অঙ্গ- পতঙ্গ নিয়ে । পবিত্র কোরানের বর্ননাটা এখানে সবচেয়ে সুন্দর যে পূর্নাকৃতি - অপূর্নাকৃতির অঙ্গ-পতঙ্গ । কারন কিছু অঙ্গ তখন স্পষ্ট কিছু অঙ্গ তখন স্পষ্ট না । প্রফেসর কিতমুর বলেছেন আজকের প্রজনন বিদ্যার মধ্যে আমরা ভ্রুন গঠনের বেশ কিছু স্তরের কথা বলেছি কিন্তু স্তর গুলা বোঝা খুবি কঠিন , ১ম ,২য় ৩য় স্তর । কোরান আকৃতির উপর নির্ভর করে স্তর গুলি ভাগ করেছে আর এই স্তর গুলি আধুনিক প্রজনন বিদ্যার স্তরের চেয়ে অনেক সঠিক ও সহজ । যদি প্রজনন বিদরা কোরানের স্তর গুলোকেবর্ননা করেন তাহলে তারা অনেক সহজে ভ্রুন গঠনের স্তর গুলো বর্ননা দিতে পারেন , আধুনিক প্রজনন বিদ্যা অনেক কঠিন ১ম ,২য় ৩য় স্তর । পবিত্র কোরানের সূরা আবাসার ১৯-২০নং আয়াতে আছে – তিনি মানুষ কে সৃষ্টি করিয়াছেন সামান্য পরিমান শুক্র বিন্দু হতে অতপর: তিনি উহার জন্ম গ্রহনের পথ সহজ করিয়াদেন । মানুষ অবাক হয়ে লক্ষ্য করে সন্তান বের হওয়ার যে পথ খুব বেশি হলে তিন চারটি আঙ্গুল যায় সেখান থেকে সন্তান বের হয় কি ভাবে , হারের গঠনও খুব শক্ত । এখানে লিগামিন্ট রয়েছে এটা কি ভাবে সম্ভব । কোরান বলছে আল্লাহ এই পথ সহজ করিয়াদেন। আর এখন আমরা জানতে পেরেছি “ওভারিয়া প্রেসেন্টিয়া” থেকে এক প্রকার রস বের হয় যেটা পেলভিক জয়েন্টর লিগামিন্টকে ঢিলা করে দেই আর সার্ভিকস কে নরম করে তখন মানব শিশু প্রসবের পথ দিয়ে ধীরে ধীরে বের হতে থাকে । কোরান একথা বলছে আল্লাহ এই পথ সহজ করিয়াদেন। কোরান এখানে নিদর্শন দিচ্ছে মানব ভ্রুন গঠনের বিভিন্ন স্তর সর্ম্পকে, আর কে এগুলি বর্ননা দিতে পারে । কোরান আমাদের প্রশ্ন করছে তারপর কি তোমরা ইমান আনবেনা , তারপর কি তোমরা পবিত্র কোরান বিশ্বাস আনবেনা । পবিত্র কোরানে সূরা সাজদাহ্‌ এর ৯নং আয়াতে বলা হচ্ছে – পরে আমি মানুষকে দিয়াছি চক্ষু ও কর্নু । পবিত্র কোরানে সূরা ইনসানের এর ২নং আয়াতে বলা হচ্ছে – এজন্য আমি মানুষকে করিয়াছি শ্রবন ও দৃষ্টি শক্তি সম্পন্ন । আজকের দিনে আমরা জানতে পেরেছি মানুষের যে ইন্দ্রীয়টা আগে গঠিত হয় সেটা হলো শ্রবন ইন্দ্রিয় । কোরান বলছে প্রথমে কান তার পরে চোখ । গর্ভে ৫ মাস থাকার পর ভ্রুনের কান গঠিত হয়, পরবর্তীতে ৭ মাসের সময় চোখ গঠিত হয় । প্রফেসর দূর্গা রাও মেরিন জিওলজির ওপরে যিনি একজন বিশেজ্ঞ তিনি কিং আজিজ ইউনি র্ভার্সিটির একজন শিক্ষক জেদ্দায় । তাকে একবার কোরানের আয়াত নিয়ে মন্তব্য করতে বলা হলো , সূরা নুরের ২৪নং আয়াতে যে কথাটা বলা আছে, বলা আছে – যাহারা কুফরি করে তাহাদের কর্ম গভীর সমুদ্র তলের অন্ধকার সদৃশ । যাহাকে আচ্ছন্ন করে তরঙ্গের উপর তরঙ্গ, যাহার ঊধ্বে থাকে মেঘপুঞ্জ সেই অন্ধকারপুঞ্জে থাকে স্তরের পর স্তর , এমনকি সে হাত বের করিলে তাহা দেখিতে পাইবেনা । আল্লাহ্‌ যাহাকে জ্‌তি দান করেন না তাহার জন্য কনো জ্‌তিই নাই। প্রফেসর দূর্গা রাও তিনি বল্লেন পবিত্র কোরানে এই আয়াতে কনো সাধারন সমুদ্রের কথা বলা হচ্ছে না এখানে বলা হচ্ছে গভীর সমুদ্রের কথা আজকের দিনে বিভিন্ন প্রকার প্রযুক্তির সাহায্যে যেমন সাবমেরিন , আমরা জানতে পেরেছি সমুদ্রের নিচে অন্ধকার থাকে আগে এটা আমরা জানতাম না । কারন কোনো মানুষ যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া ২০-৩০ মিটারের বেশি নিচে নামতে পারে না । যদি সে যন্ত্র ছাড়া যায় তাহলে সে মারা যাবে । আজকের দিনে আমরা জানতে পেরেছি বিভিন্ন প্রকার প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা জানতে পেরেছি সমুদ্রের নিচে অন্ধকার থাকে । প্রফেসর দূর্গা রাও বল্লেন এই অন্ধকারের দুটো কারন আছে , প্রথমটা হলো সমুদ্রের বিভিন্ন স্তর এক একটা রং সুষে নেই । আমরা সকলেই জানি আলোর সাতটা রং আছে আমরা স্কুলে পরেছি বেনিআসহকলা , রং ধনুর রং । প্রফেসর দূর্গা রাও বল্লেন যখন আলো সমুদ্রের মধ্যে প্রবেশ করে তখন প্রথম ১৫-২০ মি. এর মধ্যে সমুদ্র লাল রং শুষে নেই । যদি কনো মানুষ সমুদ্রের নিচে ৩০ মি. এর নিচে যায় আর যদি কেঁটে যায় আর যদি রক্ত পরে তাহলে সে তার রক্তের লাল রং দেখতে পাবেনা কারন সেই গভিরতাই সমুদ্র লাল রং শুষে নেই । এর পরে ৩০-৫০ মি. এর মধ্যে সমুদ্র শুষে নেই কমলা রং,তারপরে ৫০-১০০ মি. এর মধ্যে হলুদ রং শুষে নেই , সবুজ ১০০-২০০ মিটারে আর নীল রং ২০০ মিটারের পরে এর পর বেগুনী ও আসমানী ২০০ মি. এর নিচে শুষে নেই । তাহলে সমুদ্রের তলার অন্ধকারের কারন সমুদ্রের বিভিন্ন স্তর আলোর বিভিন্ন রং শুষে নেই । আর এই অন্ধকারের দ্বিতীয় কারন হলো প্রফেসর দূর্গা রাও বলেছেন , এটা বিভিন্ন অন্তরায়ের কারন যেমন মেঘ , সূর্যের আলো যখন মেঘের উপরে পরে তখন মেঘ সূর্যের আলো শুষে নেই, তাই মেঘের নিচের দিকে অন্ধকার থাকে , এই আলো তখন চারদিকে ছড়িয়ে পরে । এই আলো যখন চারদিকে ছড়িয়ে পরে তখন এটা সমুদ্রের পানির উপরে পরে সমুদ্রের পানি তখন আলোকে প্রতিফলিত করে উপরের দিকে । এখানে যেই আলো গুলো প্রতিফলিত হয় না সেগুলো সমুদ্রের ভিতর প্রবেশ করে এই কারনে সমুদ্রের পানিতে দুই ধরনের স্তর রয়েছে । স্রোতের উপরের স্তর আর গভীরের স্তর , উপরের স্তরের পানি গরম ও স্বচ্ছ আর নিচের স্তরগুলো অন্ধকার । আর সমুদ্রের এই উপরের স্তর আর গভীরের স্তরের পানি এই দুই স্তর মধ্যবর্তী স্রত দ্বারা আলাদা থাকে । আমরা আগে এটা জানতাম না যে মধ্যবর্তী স্রত এদের আলাদা রাখে, আমরা শুধু জানতাম উপরেরে স্রতের কথা , কিছু দিন আগে বিংশ শত্বাদীতে জানতে পেরেছি সমুদ্রের পানির ভেতরেও কিছু স্রত থাকে । এটাকে বলা হয় মধ্যবর্তী স্রত এটা দ্বারা নিচের পানি আর উপরের পানি আলাদা করে থাকে । চিন্তা করেন কোরান একথা বলেছে যারা কূফরি করে তাদের কাজ কর্ম গুলো গভীর সমুদ্রের অন্ধকারের মতো তাকে আচ্ছন করে তরঙ্গের পর তরঙ্গ । তার মানে গভিরের স্তর রয়েছে, মধ্যবর্তী স্তর রয়েছে আর উপরের স্রতও রয়েছে , তারপর আরো রয়েছে উপরে আছে অন্ধকার মেঘ, মেঘ অন্তরায়ের কাজ করে , মেঘের মধ্যেও স্তর রয়েছে যদি কেউ তার হাত বের করে সে কিছুই দেখতে পাবে না । আল্লাহ যাকে জ্ব্‌তি দান করে শুধু সেই দেখতে পাই । এমনকি যে মাছ গুলো সমুদের গভীরে থাকে তারাও নিজের আলো ছাড়া কিছুই দেখতে পাই না , তাদের নিজেদেরই আলোর ব্যাবস্থা রয়েছে। এমনকি সাবমেরিন যখন সমুদ্রের নিচে যায় সেখানেও আলোর ব্যবস্থা থাকে তাছাড়া সেখানে কিছুই দেখা যায় না। প্রফেসর দূর্গা রাওকে বলা হলো কি ভাবে কোরানে ১৪০০-বছর আগে এই কথা গুলো বলেছে, তিনি বল্লেন কনো মানুষের পক্ষে এই কথা গুলো লেখা অসম্ভব পবিত্র কোরান তাহলে অবশ্যই ইশ্বরের বানী । পবিত্র কোরানে সূরা ক্বেয়ামাহ ৩-৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে – অবিশ্বাসীরা প্রশ্ন করে কি ভাবে আল্লাহ তা-আলা আমাদের অস্থি সমূহ একত্র করিবেন । আল্লাহ বলেছেন আমি কেবল মাত্র তাদের অস্থি সমূহ একত্র করিব না বস্তুতো আমি তাদের অঙ্গুলির অগ্র ভাগ পর্যন্ত সু-বিন্যাস করিতে সক্ষম ।

অবিশ্বাসীরা বলে কবর দেওয়া হলে আমাদের হার-গোর সব আলাদা হয়ে গেলে কিভাবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা-আলা তা একত্রিত করবেন । আল্লাহ বলেছেন তিনি শুধু তাদের হার-গোরই একত্রিত করবেন না তাদের প্রত্যক মানুষের অঙ্গুলির অগ্র ভাগ সঠিক ভাবে পূনর-বিন্যাস করিবেন । এখানে মানুষের আঙ্গুলের ছাপের কথা বলা হচ্ছে যেটা আবিষ্কার করেছেন স্যার ফ্রান্সিস গ্যালটন ১৮৮০ সালে তিনি বলেছিলেন দুই জন মানুষের আঙ্গুলের ছাপ কনো দিন কনো সময় একি রকম হবে না । আর এজন্য পুলিশ সি.আই.ডি, এফ.বি.আই. তারা অপরাধীদের ধরার জন্য আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা করে । পবিত্র কোরান একথা বলেছে ১৪০০ বছর আগে , আল্লাহ্‌ কেবল মাত্র তাদের হার-গোরই একত্রিত করবেন না তাদের প্রত্যক মানুষের অঙ্গুলির অগ্র ভাগ সঠিক ভাবে পূনর-বিন্যাস করিবেন। আল্লাহ্‌ সুবাহানা তা-আলা প্রশ্ন করেছেন সূরা নিসার ৮২ নং আয়াতে বলেছেন أَفَلاَ يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِندِ غَيْرِ اللّهِ لَوَجَدُواْ فِيهِ اخْتِلاَفًا كَثِيرًا তবে কি তাহারা কোরান সম্বন্ধে অনুধাবন করে না , তাহারা কি কোরান সর্ম্পকে এই সত্যটা বুঝিতে পারে না , যদি ইহা আল্লাহ্‌ ব্যাতিত অন্য কাহারো নিকট হতে আসিত তবে উহাতে অনেক অসঙ্গতি থাকিত, অনেক অসামঞ্জস্য থাকিত । পবিত্র কোরান আপনাদের চ্যালেঞ্জ করছে যদি পারেন তবে একটা অসঙ্গতি খুজে দেখান , যদি পারেন একটা ভুল দেখান । কোরান আপনাদের চ্যালেঞ্জ করছে কেন আপনারা বুঝতে পারছেন না যদি ইহা আল্লাহ্‌ ব্যাতিত অন্য কাহারো নিকট হতে আসিত তবে উহাতে অনেক অসঙ্গতি থাকিত । আমার লেকচার শেষ করার আগে আমি প্রফেসর তাগাদাদা সনের কথা বলবো আগেকার দিনে ডাক্তাররা ভাবতো শুধু মাত্র ব্রেনের কারনেই আমরা ব্যাথা অনুভব করি , এখন আমরা জানি আমাদের চামরার নিচে কিছু রিসেকটোর আছে যেগুলোকে বলা হয় ,পেইন রেসেকটর যেগুলোর কারনে আমরা ব্যাথা অনুভব করি । যখন কনো রুগি পোঁড়া জায়গা নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসে তখন ডাক্তার একটা পিন নিয়ে পোঁড়া জায়গায় খোঁচাতে থাকে যদি রুগি ব্যাথা অনুভব করে তবে ডাক্তার খুব খুশি হন তার মানে শুধু মাত্র চাঁমরার উপরের অংশ পুঁড়েছে , পেইন রেসেকটরের কনো ক্ষতি হয়নি । আর যদি রুগি ব্যাথা না অনুভব তবে ক্ষতটা অনেক গভীর পেইন রেসেকটর নষ্ট হয়ে গেছে । পবিত্র কোরান সূরা নিসার ৫৬ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যাহারা আমার আয়াতকে প্রত্যাখ্খান করে তাহাদের আমি দোযখের আগুনে দগ্ধ করিব আর যখনিই তাহাদের চর্ম আগুনে দগ্ধ হইবে তখনি উহার স্থলে নতুন চর্ম সৃষ্টি করিব যাহাতে তারা শাস্তি অনুভব করে । কোরান বলছে যদি আপনার চাঁমরা দগ্ধ হয় তাহলে আপনাকে নতুন চাঁমড়া দেয়া হবে যাতে আপনি ব্যাথা অনুভব করেন । তার অর্থ এই আমাদের চাঁমড়াই একটা কিছু আছে যার সাহায্যে আমরা ব্যাথা অনুভব করি বলা হচ্ছে পেইন রেসেকটরের কথা । প্রফেসর তাগাদাদা সন যিনি থাইল্যান্ডের চিই্যাংমাই উনির্ভাসিটির এনাটনি বিভাগের হেড অফ দা ডির্পাটমেন্ট । তাকে কোরানের এই আয়াতের অনুবাদ দেয়া হয়েছিল তারপর তিনি পেইন রেসেকটর নিয়ে অনেক গবেষনা করলেন , তিনি বল্লেন এটা অসম্ভব যে কোরানে এটা লেখা আছে , আমরা কিছুদিন আগে এটা জানলাম এটা কি ভাবে সম্ভব , তিনি এটা মানলেন না । পরবর্তীতে পবিত্র কোরান নিয়ে ভালো ভাবে পরীক্ষা করলেন ভাল ভাবে পড়লেন তার পর একমত হলেন । অতপর: অষ্টম মেডিক্যাল কনফারেন্স রিয়াদে তিনি সেই কনফারেন্সে সাক্ষ দিলেন লা ইলাহা ইল্লাললাহু মুহামাদুর রাসূলুল্লাহ । আল্লাহ ব্যাতীত কনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ সা: আল্লাহ্ প্রেরিত দূত । ওয়া আখেরদানা ওয়াল হামদুল্লিল্লা হিরব্বিল আলামিন ।

কুরান এবং আধুনিক বিজ্ঞান - 2

Category : 0

পদার্থ বিজ্ঞানে একটা theory আছে যার নাম ATOMISM পরমানু হলো কনো পদার্থের ক্ষুদ্রতম উপাদান যেটাকে আলাদা করা যায় না এই theory এর কথা প্রথম বলেছিলেন democritus greek (philosopher) ২ হাজার ৩শ্ বছর আগে , আর আরবদেরও এই জ্ঞানটা ছিল । আর পরমানুর আরবি শব্দ হলো জাররা , কিন্তু আজকের দিনে বিজ্ঞান উন্নত হওয়ার ফলে আমরা জানতে পেরেছি যদিও পরমানু হলো কনো পদার্থের ক্ষুদ্রতম উপাদান পদার্থের বৈশিষ্ঠ্যই এর মধ্যে থাকে তারপরও একে আলাদা করা যায় electron, proton ইত্যাদি অংশে তাই লোকে ভাবতে পারে কোরান সেকেলে হয়ে গেছে, পবিত্র কোরান জাররা সর্ম্পকে বলেছে আর বলেছে এটা একটা ক্ষুদ্রতম অংশ কিন্তু কোথাও একথা লেখা নেই একে অালাদা করা যায় না । পবিত্র কোরানে সুরা সাবা এর ৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে বলা হয়েছে যে – যখন কাফিরা বলে আমাদের নিকট কেয়ামত আসিবেনা তাহাদের বলো আসবেই সপথ আমার পতিপালকের নিশ্চয় তোমাদের নিকটও আসিবে , তিনি অর্দৃশ্য বিষয় সমূহ সর্ম্পকে সম্পূর্ন ভাবে জ্ঞাত, আকাশমন্ডলি ও পৃথিবীতে তাহার অগচর নয় অনু পরিমান কিছু কিম্বা তদ অপেক্ষা ক্ষুদ্র বা বৃহত কিছু ।
তাহলে কোরান বলছে অনুর চেয়ে ছোট বা বড়ো উপাদান আছে তাই কোরান আসলে সেকেলে নই এটা আসলে খুবি আধুনিক একি কথা আছে পবিত্র কোরানে সুরা ইউনুস এর ৬১-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে যে – তোমাদের পতিপালকের অগচর নহে কিছু অনু অপেক্ষা ক্ষুদ্র বা বৃহত কিছু ।

এবার ভূগল সর্ম্পকে বলি – আমরা এখন জানবো পানি চক্র সর্ম্পকে যেটা প্রথম বলেছিলেন Sir burner palace ১৫৮০ সালে তিনে ব্যাখ্যা করেছেন কি ভাবে সমুদ্র থেকে বাষ্প হয়ে যায় , কি ভাবে মেঘ তৈরী হয় , কি ভাবে মেঘ উপরে উঠে যায় , কি ভাবে সেখান থেকে বৃষ্টি হয় , বৃষ্টির পানি তারপর সমুদ্রে যায় এভাবে পানি চক্র সম্পূর্ন হয় । আগেকার দিনে মানুষ ভাবতো খূষ্ট-পূর ৭ম শতকে sage of maltese তিনি বলেছেন সমুদ্রর পানি বাতাসের সাথে মিশে যায় আর এই পানে পরবর্তীতে র্বষ্টি হয়ে পড়ে , মানুষ আগে বুঝতে পারতো না মাটির নিচের পানি আসলে কিভাবে আসে তাই তারা ভাবতো পানির ওপর বাতাসের প্রচন্ড চাপের কারনে , বাতাস যে প্রচন্ড চাপ দেয় এই কারনে উপরে বৃষ্টিপাত হতে পারে । এই পানি মাটির ওপর পড়ে তার পর সমুদ্রর দিকে যায় একটা লুকানো পথে যার নাম abyss আর Plato এর সময় এটাকে বলা হতো stares এই মতবাদে পৃথিবীর মানুষ বিশ্বাস করে এসেছে সপ্তদশ শতাব্দী পযন্ত আর Aristotle এর theory সহ বিভিন্ন দর্শন মেনে চলা হয়েছে উনবিংশ শতাব্দী পযন্ত যে মাটি থেকে পানি বাষ্প হয়ে উপরে উঠে এটা তারপর পাহাড়ের ওপর জমা হয় আর এই পাহাড় গুলোর ওপর তৈরি হয় র্রদ এখান থেকে মাটির নিচে পানি জমে , এখন আমরা জানি মাটির নিচে যে পানি সেটা চুয়ে চুয়ে মাটির নিচে চলে যায় পবিত্র কোরানে আছে সুরা জুমার এর ২১-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে – তোমরা কি দেখোনা যে আল্লাহ-তাঅালা আকাশ হইতে বারি বষন করেন অত:পর উহা ভূমিতে প্রবাহিত করেন নির্ঝর রুপে প্রবাহিত করেন এবং ত্বদদারা বিভিন্ন বর্নের ফসল উৎপন্ন করেন । এছাড়াও পবিত্র কোরানে সুরা রুম এর ২৪-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে – আল্লাহ আকাশ হইতে বারি বর্ষন করেন এবং ত্বদ্বারা ভূমিকে পূনরজীবিত করেন পবিত্র কোরানে সুরা মুমিনুন এর ৪৮-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে যে – আমি আকাশ হইতে বারি বর্ষন করি পরিমিত ভাবে অত:পর উহা মৃতিকায় সংরক্ষন করি উহাকে অপসারন করিতেও সক্ষম । পবিত্র কোরানে সুরা আল-হিজর এর ২২-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে যে – আমি বৃষ্টি গর্ভ বায়ু প্রেরন করি যে বায়ুতে বৃষ্টি থাকে অত:পর আকাশ হইতে বারি বর্ষন করি উহা তোমাদিগকে পান করিতে দিই । এখানে আরবি শব্দটা লাওয়াকি এটা হলো লাকি শব্দটার বহু বচন যার মূল শব্দ লাকাহা , যার অর্থ গর্ভে ধারন করা অথবা শরীরে ধারন করা । বাতাস চারিদিক হতে এশে মেঘ গুলোকে বৃষ্টি গর্ভে রুপান্তরিত করে , তারপরে বৃষ্টিপাত হয় । বাতাসের কারনে মেঘ গুলো একত্রিত হয় , প্রচন্ড চাপের সৃষ্টি হয় , বজ্রপাতের সৃষ্টি হয় তারপর মেঘ থেকে বৃষ্টিপাত হয় । পবিত্র কোরান সম্পূর্ন পানি চক্রের কথা বলেছে কিভাবে পানি বাষ্প হয় , কিভাবে মেঘ তৈরি হয়, কিভাবে ঘনীভূত হয়, কিভাবে বৃষ্টিপাত হয়, কিভাবে পানি সমুদ্রে ফেরে । অনেক জায়গায় বলা আছে সুরা নূর এর ৪৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা , সুরা নাবার ১২-১৩ -নং আয়াতে আর এছাড়াও সুরা রুম এর ৪৮-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে । পবিত্র কোরানে সুরা নূর এর ৪৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে আল্লাহ সঞ্চালিত করেন মেঘ মালাকে এটাকে কোরান কি বোঝাচ্ছে যে আল্লাহ সঞ্চালিত করেন মেঘ মালাকে এখন কার দিনে যারা এরোপ্লেনে চরে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন তারা বলতে পারবেন যখন এরোপ্লেন মেঘের ওপর দিয়ে চলে যায় তখন যদি মেঘের দিকে তাকান নিচে তিনি দেখতে পাবেন মেঘ গুলোকে দেখাচ্ছে একটা বিশাল ঢেউএর মতো কোরান একথা বলেছে ১৪০০ বছর আগে । ১৪০০ বছর আগে কোনো এরোপ্লেন ছিলো না । পবিত্র কোরান Hydrology এবং পানি চক্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিস্তারিত বর্ননা দিয়েছে পবিত্র কোরানে সুরা আরাফের ৫৭-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে , সুরা রদ এর ১৭-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে , সুরা ফুরকানের ৪৮ এবং ৪৯-নং আয়াতে , সুরা ফাতির ৯-নং আয়াতে একথা বলা হয়েছে, সুরা ইয়াসিনের ৩৪-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে, সুরা জাসিয়ার ৫-নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, সুরা কাফ ৯ এবং ১০-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে, সুরা ওয়াকিয়াহ্ এর ৬৮ নং আয়াত থেকে ৭০ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে । আর এছাড়াও কোরানে সুরা মূলক এর ৩০-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে । পবিত্র কোরান Hydrology এবং পানি চক্রের বিস্তারিত বর্ননা আছে ।

এবার আসুন আমরা ভূ-তত্ব বিদ্যা (Geology) সম্র্পকে দেখব । এখনকার দিনে ভূ-তত্ব বিদ তারা আমাদের বলেন আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি বাইরের ভূ-ত্বক এটা শক্ত ও কঠিন আর ভেতরের অংশ খুবি গরম ও তরল আর সেখানে কোনো প্রানীর পক্ষে বেচে থাকা সম্ভব না । ভূ-তত্ব বিদরা বলেন পৃথিবীর উপরের স্তরটি খুবি পাতলা , বেশি হলে ৮-১০ মাইল যেটা পৃথিবীর ব্যার্সাধের ১% এরও কম , পৃথিবীর ব্যার্সাধ ৩৭৫০ মাইল । এখন বাইরের স্তরটি খুব পাতলা তাই স্তরটি নড়াচড়া করার সম্ভাবনাও খুব বেশী । ভূ-তত্ব বিদরা বলেন যে এই স্তরটা ভাজ হয়ে যায় , সেজন্যই তৈরি হয় বিভিন্ন রকম পাহাড় পরবোত । এই পাহাড় গুলো এগুলোর কারনে পৃথিবী বেশি নড়াচড়া করে না এগুলো কিলোকের মতো কাজ করে খুটির মতো পবিত্র কোরানে সুরা নাভা এর ৬নং ও ৭নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে আমি এই ভূমিকে করিয়াছি সজ্জ্যা وَالْجِبَالَ أَوْتَادًا এবং পরবোত সমূহকে করিয়াছি কিলোক এখানে আরবি শব্দ আওতাদ অর্থ কিলোক অর্থ খুটি এটা আমরা সেদিন আবিষ্কার করেছি । পবিত্র কোরানে সুরা গাসিয়ার ১৯নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে , এছাড়াও পবিত্র কোরানে সুরা নাজিয়াতের ৩২নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে وَالْجِبَالَ أَرْسَاهَا পবত মালাকে স্থাপন করা হইয়াছে সুদৃড় ভাবে ।

Geography এর ওপর একটা বই আছে The Earth বইটা খুবি বিখ্যাত, আর পৃথিববীর অনেক university তে Geography এর জন্য বইটা পড়ানো হয়ে থাকে অনেক দেশে , এই বইটার লেখকদের মধ্যে একজন হলেন Frank ঢ়res আর তিনি এই বইটার ভেতরে পাহাড় পর্ববতের উপর বেশ কিছু ছবি দিয়েছিলেন এগুলো ছিলো নিচের দিকে সোচাঁলো, তার মতে পাহাড় পর্ববতের কাজ হলো পৃথিববীর উপরের স্তরকে স্বাভিক রাখা । কোরানেও এই একি কথা বলা আছে একি তথ্য দেওয়া আছে সুরা আম্বিয়ার ৩১নং আয়াতে একথা বলা হয়েছে, এছাড়াও সুরা লোকমানের ১০নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, এছাড়াও সুরা নাহাল এর ১৫নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে – পৃথিবীতে স্থাপন করিয়াছেন সুদৃড় পর্ববোত মালা যাহাতে পৃথিবী আন্দোলিত না হয় । পবিত্র কোরানে পাহাড় পর্ববতের কাজের কথা বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে । যেটা আমরা আবিষ্কার করলাম সেদিন । সমুদ্র সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পবিত্র কোরানে আছে সুরা ফুরকানের ৫৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে – আল্লাহ সুবাহানা তাআলা দুই দরিয়াকে মিলিত ভাবে প্রবাহিত করিয়াছেন । একটা মিষ্টি ও সুপেয় ও ওপরটি লোনা ও খর , এবং উভয়ের মধ্যে রাখিয়া দিয়াছেন এক বারজাক অন্তরায় যাহা অতিক্রম করা নিষিদ্ধ কোরানে আরোও বলা আছে সুরা রহমানের ১৯ এবং ২০ নং আয়াতে বলা হয়েছে যেبَيْنَهُمَا بَرْزَخٌ لَّا يَبْغِيَانِ । مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ يَلْتَقِيَانِ আল্লাহ তাআলা প্রবাহিত করেন দুই দরিয়া যাহারা পরষ্পর মিলিত হয় এবং উহাদের মধ্যে রহিয়াছে এক অন্তরায় যা তাহারা অতিক্রম করিতে পারেনা । এখানে আরবি শব্দ বারযাক অর্থ একটা অন্তরায় আর বলা হয়েছে مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ يَلْتَقِيَانِ অর্থাৎ দুই দরিয়ার প্রবাহিত পানি পরষ্পর মিলিত হয় । আগেকার দিনে বিশেষ্গরা তারা বুঝতে পারতেন না দুই দরিয়ার পানিকে নিয়ে এমন দুই কথা বলা হচ্ছে কেন । বলা হচ্ছে তারা পরষ্পর মিলিত হয় আবার বলা হচ্ছে তাদের মধ্যে অন্তরায় আছে । কোরান সর্ম্পকে বিশেষ্গরা আসলে বুঝতে পারতো না এখানে কি বোঝানো হচ্ছে । বর্তমানে আমরা আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্যে জানতে পেরেছি যে এদের মধ্যে একটা তিরযোক অন্তরায় অাছে , এই দুই দরিয়ার পানি, মিষ্টি পানি আর লোনা পানি এদের মধ্যে একটা অন্তরায় অাছে , আর যখোনি এই পানি এক সমুদ্র থেকে আরক সমুদ্রে প্রবাহিত হয় এই পানির চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্য তখন বদলে যায় আর তারপর সেই সমুদ্রের পানির সঙ্গে মিলিত হয়। অন্তরায় আছে এই অন্তরায়কে বলা হয় একটা transitional Homogenizing space বা area । দুই দরিয়ার পানি যদিও পরষ্পর মিলিত কিন্তু এদের বৈশিষ্ঠ্য তারপরও আলাদা থাকে , লোনা পানি তখোনো লোনা থাকে আর মিষ্টি পানি মিষ্টি থাকে । আর এই ধরনের ঘটনা দেখতে পাবেন kept point এ দক্ষিন আফ্রিকার kept town শহরে দক্ষিন উপকূলে যেখানে লোনা ও মিষ্টি পানি পরষ্পর মিলিত হয় , কিন্তু তারা আলাদাই থাকে পরষ্পর মেশে না । আর যখন পানি প্রবাহিত হয় এই পানির বৈশিষ্ঠ্য বদলে যায় । একি ঘটনা আপনারা দেখতে পাবেন মিশরে যেখানে নীল নদের পানি ভূ-মধ্য সাগরে গিয়ে পড়ে , একি ঘটনা দেখতে পাবেন উত্তর আমেরিকায় সেখানে Gulf of Mexico থেকে শুরু করে দুই দরিয়ার পানি হাজার মাইল একসাথে অতিক্রম হয়েছে , দুই ধরনের পানি মিষ্টি পানি ও লোনা পানি তারপরও তারা আলাদা থেকেছে । যদি এখানে নৌকায় করে যান আর আপনারা নৌকার এক পাশ হতে পানি তোলেন আর ওপর পাশ হতেও পানি তোলেন আপনি দেখবেন যে দুই পাশের পানিই আলাদা , এব পাশের পানি মিষ্টি আর অন্য পাশেরটা লোনা , এমনকি তাপমাত্রাও আলাদা থাকে এছাড়াও zibranka প্রনালীর কাছে এপাশে Atlantic অন্যপাশে ভূ-মধ্য সাগর এদের মধ্যে একটা অন্তরায় আছে , আর কোরানের এই কথাটার সত্যতা প্রমান করেছেন প্রফেসর Hey যিনি আমেরিকার একজন বিখ্যাত সমুদ্র বিজ্ঞানী ।

পবিত্র কোরান আমাদের প্রশ্ন করছে তোমরা তোমাদের প্রতি পালকের কোন অনুগ্রহ অস্বিকার করিবে । শুধু মাত্র আছে সূরা রহমানে ২৭নং পাড়ায় সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতি পালকের কোন অনুগ্রহকে অস্বিকার করিবে , একথাটা বলা হয়েছে সব মিলিয়ে ৩১ বার। এখানে আল্লাহ-তা’আলার নির্দশনের কথা বলা হচ্ছে , গাছের কথা, আকাশ মন্ডলীর কথা তার পর প্রশ্ন করা হচ্ছে তোমরা তোমাদের প্রতি পালকের কোন অনুগ্রহকে অস্বিকার করিবে , এখানে পানি চক্রের কথা বলা হচ্ছে তার পর মিষ্টি পানি আর নোনা পানির মধ্যে অন্তরায় এর কথা বলা হচ্ছে তারপর বলা হচ্ছে তোমাদের প্রতি পালকের কোন অনুগ্রহকে অস্বিকার করিবে । পবিত্র কোরান একটি সূরার মধ্যে পাঠকদের প্রশ্ন করা হচ্ছে তোমাদের প্রতি পালকের অর্থাৎ সরবো-শক্তীমানের কোন অনুগ্রহকে অস্বিকার করিবে । পাঠকদের প্রশ্ন করা হচ্ছে যে এই সব নির্দশন এগুলো কথা হতে এসেছে কোন অনুগ্রহকে অস্বিকার করিবে । এছাড়াও জীব বিদ্দ্যার ক্ষেত্রে পবিত্র কোরানে আছে সুরা আম্বিয়ার ৩০-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاء كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ আমি প্রানবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করিলাম পানি হতে তবুও কি তারা ইমান আনিবেনা । চিন্তা করেন সেই আরবের মরু ভূমিতে যেখানে পানি পাওয়াটা খুব কষ্টের আর কোরান বলছে সমস্ত জীব জন্তু পানি থেকে সৃষ্টি হয়েছে । কে এই কথা বিশ্বাস করবে কোরানে অন্য কোনো কিছু লেখা থাকলে হয়তো কেউ বিশ্বাস করতো , পানি যেখানে পানির অভাব সেখানে কোরান বলছে ১৪০০ বছর আগে সমস্ত জীব জন্তু সৃষ্টি হয়েছে পানি থেকে । এখন আমরা জানি যে সাইটোপ্লাজম হলো যে কোন প্রানী কোষের সবচেয়ে মৌলিক উপাদান এর ৮০% হলো পানি , প্রত্যেক জীব-জন্তুর শরীরে ৫০-৭০ ভাগ থাকে পানি ,আর পানি ছাড়া কোনো জীব-জন্তু বাঁচতে পারে না এটা হবেই । কোরান প্রশ্ন করছে وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاء كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ প্রানবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করিলাম পানি হতে তবুও কি তোমরা ইমান আনিবেনা । আল্লাহ বলছেন সব জীব-জন্তু পানি হতে তৈরি আর আমরা জানলাম সেদিন । কোরান একথা বলছে ১৪০০ বছর আগে তবু কি তোমরা ইমান আনিবেনা ? কোরান একটা প্রশ্ন করছে একটা উত্তর চাইছে । পবিত্র কোরানে আছে সুরা নূর এর ৪৫-নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে - আল্লাহ সমস্ত জীব সৃষ্টি করিয়াছেন পানি হতে । পবিত্র কোরানে আছে সুরা ফুকান এর ৫৪-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – আল্লাহ তা’আলা মানুষ জাতিকে সৃষ্টি করিয়াছেন পানি হতে । চিন্তা করেন ১৪০০ বছর আগে কোরানে একথা বলছে হয়েছে ।



উদ্ভিদ বিদ্যার ক্ষেত্রে আমরা এই কিছুদিন আগে জেনেছি যে গাছ-পালারো লিঙ্গ থাকে পুরুষ এবং স্ত্রী আমরা আগে এটা জানতাম না এমন কি উভলিঙ্গ গাছ , সেই গাছ গুলোর মধ্যে পুরুষ এবং স্ত্রী অংশ আলাদা থাকে । এছাড়াও পবিত্র কোরানে আছে সুরা তা’হার ৫৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা অাছে– আল্লাহ সুবাহানা তা’আলা আকাশ হতে বারি বর্ষন করেন এবং ইহা দ্বারা বিভিন্ন উদ্ভিদ উৎপন্ন করেন একটি আরেকটির তুলনায় পৃথক । তার মানে গাছ-পালারো লিঙ্গ আছে । পবিত্র কোরানে আছে সুরা রদের ৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে – তিনি প্রত্যেক প্রকারের ফল সৃষ্টি করিয়াছেন জোড়াই­- জোড়াই । সব জায়গায় জোড়া গাছ পালারো লিঙ্গ আছে পুরুষ এবং স্ত্রী

প্রানী বিদ্যার ক্ষেত্রে পবিত্র কোরানে আছে সুরা আনামের ৩৮-নং আয়াতে উল্লেখ করা অাছে যে – এই পৃথিবীর ওপরে বিচরনশীল এমন কনো জীর নেই অথবা নিজ ডানার সাহায্যে উড়ে এমন কনো পাখি নেই , যাহারা তোমাদের মতো একটি সম্প্রদায় । আজকের দিনে বিজ্ঞান জেনেছে এমন কি জীর-জন্তু ও পাখিরাও মানুষের মতো সমষ্টিগতো হয়ে বাস করে । পবিত্র কোরানে পাখির ওড়ার কথাও বলা হয়েছে সুরা নাহালের ৭৯-নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে – তাহারা কি বিহঙ্গের দিকে লক্ষ্য করে না যাহারা আকাশের শূন্য গর্ভে নিয়র্ন্ত্যনাধীন , অন্য কেহ তাহাদের স্থীর রাখে না শুধু মাত্র আল্লাহ তা’আলাই তাহাদের স্থীর রাখেন । এছাড়াও পবিত্র কোরানে সুরা মূলকের ১৯-নং আয়াতে উল্লেখ করা অাছে – উহারা কি লক্ষ করে না ঊর্ধ দেশে বিহঙ্গ কুলের প্রতি যাহারা তাহাদের বক্ষ বিস্তার করে ও সংকুচিত করে কেহই তাহাদের স্থীর রাখে না এক মাত্র আল্লাহ তা’আলাই তাহাদের স্থীর রাখেন এবং তিনি সকল বিষয়ে সম্পূর্ন অবগত । কোরানের এই কথার সাথে আধুনিক বিজ্ঞানের সামপ্রতিক আবিষ্কারের এক অভাবনীয় মিল পাওয়া গেছে যে পাখিদের মাথার মধ্যে উড়ে বেড়ানোর প্রগামিং করা আছে, নার্ভাস সিসটেম আছে আর এই কারনে ছোট ছোট পাখি আগে কনো রকম অভিঙ্গতা না থাকলেও হাজার হাজার মাইল উড়ে বেড়াতে পারে । কনো রকম গাইড ছাড়াই, তাড়া আগের জায়গায় ফিরেও আসতে পারে । আর এটার একটা সুন্দর উদাহারন দিয়েছেন প্রফেসর Ham Burger তার বই power and Tragedy তে প্রসান্ত-মহাসাগরে এক ধরনের পাখি আছে এই পাখিটা ১৫ হাজারেরও বেশি মাইল উড়ে , আর এর সময় লাগে ছয় মাস পাখিটা আবারো আগের জায়গায় ফিরে আসে , সময়ের হের ফের হয় খুব বেশি হলে এক সপ্তাহ । এটা কি ভাবে সম্ভব বিজ্ঞানীরা বলেন এই পাখিদের মধ্যে নিশ্চয় একটা প্রগামিং আছে , কে তাদের এই প্রগামিং করেছেন ? উত্তর পবিত্র কোরানে আছে আল্লাহ সুবাহানা তা’আলা তাহাদের স্থীর রাখেন । এখানে আরবি শব্দ আনসাকা অর্থাৎ থামিয়ে রাখা বা স্থীর রাখা । পবিত্র কোরানে সুরা নাহালের ৬৮এবং ৬৯-নং আয়াতে উল্লেখ করা অছে যে – তোমদের প্রতিপালক মৌমাছিকে নির্দেশ দিয়েছেন তোমাদের গৃহ নির্মান করো পাহাড়ে, বৃক্ষে ও মানুষের গৃহে এবং ইহার পর প্রত্যেক ফল হইতে কিছু কিছু আহার করো এবং তোমাদের প্রতি পালকের সহজ পথ অনুসরন করো তোমাদের সামথ্য দিয়ে । পবিত্র কোরান এখানে কি বোঝাচ্ছে যে আল্লাহ সুবাহানা তা’আলা মৌমাছিদের কেন বলেছেন যে তোমাদের প্রতি পালকের সহজ পথ অনুসরন করতে । Front Fres একজন বিজ্ঞানী যিনি ১৯৭৩ সালে নোবেল প্রাইজ পেয়ে ছিলেন , তিনি পশু-পাখির আচার ব্যাবহার নিয়ে গোবেষনা করেছিলেন বিশেষ করে মৌমাছির যোগা যোগ করার পদ্ধতি নিয়ে । আর এখন আমরা জানি যখনি কনো কর্মি মৌমাছি কনো নতুন ফুল খুজে পায় অথবা নতুন বাগান যেখান থেকে তারা মধু নিতে পারে সেই মৌমাছিটা তখন অন্য মৌমাছিদের গিয়ে বলে । সেই নতুন ফুল বা বাগানে যাওয়ার সঠিক যেই পথ বা ম্যাপ এটাকে বলা হয় the damps এই কিছু দিন আগে আমরা জানতে পেরেছি উন্নত মানের ফোটোগ্রাফির মাধ্যমে কিভাবে মৌমাছিরা যোগা যোগ করে । কোরানের এই আয়াতে মৌমাছির যে লিঙ্গের কথা বলা হয়েছে সুরা নাহালের ১৪নং পাড়ায় ৬৮ এবং ৬৯ নং আয়াতে সেটা হলো স্ত্রী মৌমাছি , كُلِِّ فَاسْلُكِي যার অর্থ একটা স্ত্রী মৌমাছি আগে আমরা জানতাম যে কর্মী মৌমাছি আসলে পুরুষ লিঙ্গের মৌমাছি আর সেজন্য সেক্র্সপিয়ার তার নাটক হেন্ড্রি দা ফোথ এ লিখেছেন যে – সৈনিক মৌমাছি , পুরুষ মৌমাছি তারা তাদের রাজার কাছে গেল । আজকে আমরা জানতে পেরেছি মৌমাছিদের কনো রাজা নেই তাদের আছে রানী , আর কর্মী মৌমাছি কনো পুরুষ মৌমাছি নই এরা আসলে স্ত্রী মৌমাছি । চিন্তা করেন পবিত্র কোরান মৌমাছির লিঙ্গ সর্ম্পকে বলেছে ১৪০০ বছর আগে যেটা আমরা আবিষ্কার করলাম মাত্র কয়েক দিন আগে । পবিত্র কোরানে আছে সুরা আনকাবুট এর ৪১-নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে – যাহারা আপরকে অভিভাবক রুপে গ্রহন করে আল্লাহ সুবাহানা তা’আলার পরিবর্তে তাহাদের দৃষ্টান্ত হলো সেই মাকরোসার মতো যাহারা নিজের জন্য ঘর বানাই এবং ঘরের মধ্যে মাকরোসার ঘর হলো ভঙ্গুর দুর্বলোতম । যদি কেউ আল্লাহ সুবাহানা তা’আলাকে ত্যাগ করে অন্য ইশ্বসরের উপাসনা করে , তাদের কে বোঝানোর জন্য মাকরোসার ঘরের কথা বলা হয়েছে ভঙ্গুর, দুর্বল, পাতলা । এখানে মাকরোসার জীবন ধারন সর্ম্পকেও কথা বলা হচ্ছে আমরা কিছু দিন আগে জানতে পেরেছি যে অনেক সময়ই স্ত্রী মাকড়োসা পুরুষ মাকড়োসাকে মেরে ফেলে । পবিত্র কোরানে আছে সুরা নামূল এর ১৭ এবং১৮ নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – সুলাইমানের সম্মুখে যখন জ্বিন , মানুষ ও বিহঙ্গ (মানে সুলাইমানের বাহিনি) যখন পিপিলিকা অর্ধূশিত এলাকায় এসে পৌছালো ,তখন এক পিপিলিকা বলিল তোমরা তোমাদরে গৃহে প্রবেশ করো , যেন সুলাইমান ও তাহার বাহিনি তাহাদের অগ্গতাসরে তোমাদের পদতলে পিষিয়া না ফেলে । লোকে হইতো ভাববে কোরানে এই সমস্ত রুপ কথার গল্প লেখা কেনো । এখানে এই পবিত্র কোরানে পিঁপড়ার কথা বলছে , পিঁপরারা নিজেদের মধ্যে কথা বলছে এটা একটা রুপ কথার বই । কিছু দিন আগে আমরা জানতে পেরেছি যে কনো প্রানী অথবা কনো কিট যার সাথে মানুষ জাতির সবচেয়ে বেশি মিল আছে তা হলো পিঁপরা , মানুষের মতো পিঁপরাও তাদের মৃত দেহ কবর দেয় , তাদের সমাজে সব ধরনের কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়, তাদের আছে ম্যানেজার ,সুপারভাইজার , শ্রমিক ইত্যাদি । তারা নিজেদের মধ্যে কথা বার্তাও বলে এমনকি তারা বেশ উন্নত উপায়ে যোগা-যোগ করে , তারা বাজারের মতো জায়গায় পন্য বিনিময় করে , শীত কালের জন্য শস্য মজুত করে আর এই শস্য দানায় যদি কুড়ি গজায় , পিঁপরারা এই কুঁড়ি গুলো কেটে ফেলে যেন তারা জানে যে এই কুঁড়ি গুলোর কারনে শস্য পঁচে যায়। আর গ্রীষ্ম কালে শস্য দানা গুলো ভিজে গেলে তারা শস্য দানা গুলো বাইরে রোদে এনে শুকাতে দেয় । অনেকে হইতো দেখছেন পিঁপরারা বাইরে রোদে আলোর কাছে শস্য দানা গুলো আনছে শুকানোর জন্য , যেন তারা জানে বাতাস আদ্র হলে শস্য দানা গুলো ভিজে যায় এতে করে শস্য দানা গুলো পঁচে যায় । তাহলে পবিত্র কোরান পিঁপরার উন্নত প্রকৃতি সর্ম্পকে বলেছে ১৪০০ বছর আগে ।
----------------------------------------------------------------------------------
এই লেখা ডক্টর জাকির নায়েক এর লেকচার থেকে নেওয়া হয়েছে

কুরান এবং আধুনিক বিজ্ঞান - পর্ব ১

Category : 0

কুরান এবং আধুনিক বিজ্ঞান বিরোধ না কি সাদৃশ্য পূন্য । পবিত্র কোরান হলো সবশষে আসমানী কিতাব, আল্লাহ তাআলার সর্বশেষ আসমানী কিতাব যে টা নাযিল হয়েছিল সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর ওপর । যদি দাবি করা হয় কোনো একটা বই সেটা আল্লাহ তাআলার আসমানী কিতাব , যদি দাবি করা হয় সেই বইয়ের কথা গুলো সর্ব শক্তীমান ইশ্বরের বইটাকে তাহলে সময়ের পরীক্ষায় পাশ করাতে হবে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যুগে এটা বার বার প্রমানিত হবে যে এটা আল্লাহ তাআলার বানী। আগেকার দিনে সময়টাকে বলা হতো অলৌকিক কাজের যুগ মোজেযা । অলৌকিক কাজ হলো কোনো অস্ভাবিক ঘটনা যার কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না । মোজেযা হলো কোনো অস্ভাবিক ঘটনা যার পেছনে রয়েছে কোনো অতি প্রাকিতিক শক্তী যেমন সর্ব শক্তীমান ইশ্বর । পবিত্র কোরান হলো সব চেয়ে শ্রেষ্ঠ অলৌকিক । কিন্তু আধুনিক কোনো মানুষ যদি অলৌকিক কিছু বিশ্বাস করতে চান তাহলে ভালো করে সেটা পরীক্ষ করে নেন । আল-হামদুলিল্লাহ্ পবিত্র কোরান বার বার প্রমান করেছে এটা ইশ্বরের বানী ১৪০০ বছর আগে এমন কি আজকের দিনেও আপনি এটা পরীক্ষ করে দেখতে পারেন , আর ভবিসতেও দেখতে পারেন । আর এটা সব সময় প্রমানীত হবে যে এটা আল্লাহ তাআলার বানী । কোরান সব সময়ের জন্য একটা অলৌকিক । ধরুন কোনো লোক যদি সে দাবী করে যে সে অলৌকিক কাজ করতে পারে , আপনাকে একটা ঘটনা বলি বাবা পাইলটের ঘটনা সে বলেছিল পানির নিচে একটা ট্যাঙ্কের ভেতর তিন দিন ছিলো আর যখোন খবরের কাগজের রিপোটাররা সেই ট্যাঙ্ক টা পরীক্ষা করতে চাইলো তখন সে বল্লো মায়ের জরায়ু তে আপারা কি কখোনো পরীক্ষা করেন । এখানে তো সন্তানের জন্ম হয় । আর তখোন সে ওই রিপোটারদের আর ট্যাঙ্ক টা পরীক্ষা করতে দেইনি । কনো আধুনিক মানুষ কি এমোন অলৌকিক কাজ মেনে নেবে । যদি পরীক্ষা করা এমোন অলৌকিক নিয়ে তাহলে আপনারাও একমত হবেন , যে “পিসি সরকার” যিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাদুকর দের মধ্যে একজন । তাহলে তাকেই বলা হতো এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আর জীবিত ইশ্বর ও মানোব ।পরবর্তীতে আসল সাহিত্য আর কবিতার যুগ । মুসলিম এবং অমুসলিম উভয়েই স্বীকার করতো যে পবিত্র কোরান হলো পৃথিবীতে আসা সব চেয়ে শ্রেষ্ঠ সাহিত্য গ্রহন্ত । আর পবিত্র কোরানেই challenge করা হয়েছে সূরা আল-বাকারায় ২৩ ও ২৪ নাম্বার আয়াতেই উল্লেখ করা আছে “ আমি আমার বান্দার যাহা নাযিল করেছি তাহাতে তোমাদের কোনো সন্দেহ থাকিলে তোমরা ইহার অনুরুপ কোনো সুরা আনয়ন করো এবং তোমরা যদি সত্যবাদী হও তাহলে আল্লাহ ব্যাতীত তোমার সকল সাহায্য কারীকে আহবান করো যদি তোমাদের সন্দেহ থাকে এবং সত্যবাদী হও যদি আনয়ন না কর এবং কখোনোই তা করিতে পারিবে না তবে সেই আগুনকে ভয় কর কাফিরদের জন্য যাহা প্রস্তুত করা রহিয়াছে মানুষ ও পাথর হইবে যাহার ইন্ধন“ যদি কনো লোক এই challenge টা গ্রহন করে চেষ্টা করে তবে একটা কথা যে সুরাটা লেখা হবে সেটা হবে আরবীতে । কিছু সুরা আছে যেটাতে আয়াতের সংখ্যা মাএ ৩টা অথবা মাএ ৩টা বাক্য । যে সুরাটা লেখা হবে সেটা হবে আরবীতে আর ভাষা হবে পবিত্র কোরানের মতোই পবিত্র , ভাষা হবে মহান পবিত্র কোরানের মতো । পবিত্র কোরানের ভাষা হলো একটা অলৌকিক , অনতিক্রম ব্যাখ্যার মতো । কোরানে রয়েছে সর্বোচ্চো অলংকার আর একি সাথে কোরানে একটা ছন্দ আছে । যখন আমরা কেউ অন্য কারো প্রশংসা করতে চায় তখন আমরা সত্য থেকে দুরে সরে যায় আর এ কথার সুন্দর একটা উদাহারন হলো আমরা যখোন হিন্দি সিনেমা গুলো দেখে থাকি তখোন নায়োক তার নায়িকার প্রশংসা করে তখন খুশি করে বলে আমি তোমার জন্য আকাশের চা‍দ নিয়ে আসব তারা নিয়ে আসবো। যতোই কনো মানুষের প্রশংসা করতে যাবেন ততই আপনি সত্য থেকে দূরে সরে যাবেন । আল-হামদুলিল্লাহ্ যদিও কোরানে প্রুচুর ছন্দ আছে কোরান কখোনো সত্যি থেকে দূরে সরে যায়নি । পৃথিবীর অনেক মানুষই কোরআনের সুরার মতো সুরা লেখতে চেয়েছিল কিন্তু তারা চরম ভাবে ব্যার্থ হয়েছে ।এখোন পর্যন্ত কেউ এটা করতে পারেনি আর ভবিষ্যতেও কেউ ইনশা-আল্লাহ পবিত্র কোরানের মতো কনো সূরা সচনা করতে পারবে না ।কিন্তু ধরুন আমি আপনাদের একটা ধর্ম গ্রহন্থের কথা যেখানে খুব ক্যাবিক ভাবে বলা আছে যে পৃথিবী হচ্ছে সমতল কোনো আধুনিক মানুষ কি সেটা বিশ্বাস করবে , না কি করবে না । কারন এখোন কার যুগ সাহিত্য ও ক্যাব্যের যুগ নই ।বর্তমানে পৃথিবীতে চলছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ । তাই আজকে আমরা দেখবো পবিত্র কোরান আর আধুনিক বিজ্ঞানের মধ্যে কোনো বিরোধ রয়েছে নাকি সাদৃশ্য । পবিত্র কোরান আর আধুনিক বিজ্ঞান এরা কি পরষ্পর বিরোধি নাকি সামন্জস্যপূন্য । একজোন বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী Albert IenStine যিনি নবেল পুরুষ্কার পেয়েছিলেন তিনি বলেছেন , “ ধর্ম ছারা যে বিজ্ঞান সেটা হলো পঙ্গু আর বিজ্ঞান ছারা যে ধর্ম সেটা হলো অন্ধ ” আমি কথাটা আবারো বলছি যে “ধর্ম ছারা যে বিজ্ঞান সেটা হলো পঙ্গু আর বিজ্ঞান ছারা যে ধর্ম সেটা হলো অন্ধ ” আপনাদের মনে করিয়ে দিই পবিত্র কোরান কনো সাইন্স এর বই না SCIENCE । এতে রয়েছে নির্দশন বা SIGNS । আর এ্র্রই বইয়ে রয়েছে আয়াত পবিত্র কোরানে আছে ৬০০০ হাজারেরও বেশি আয়াত বা ৬০০০ হাজারেরও বেশি নির্দশন ।এদের মধ্যে এক হাজারেরও বেশি আয়াতে বিজ্ঞানের কথা বলা হয়েছে । কিছু কিছু মানুষ আছে যারা বিশ্বাস করে মাএ কোরানের একটি আয়াত শুনেই , কিছু কিছু মানুষ হয়তো দশটা নির্দশন দেখে বিশ্বাস করে কারো লাগে হয়তো একশোটা আর কোনো কোনো মানুষকে হয়তো আপনি হাজারটা নির্দশন দেখাবেন তারপরও সে সেটা বিশ্বাস করবে না । আজকের কোরান ও বিজ্ঞান নিয়ে এই আলোচনা অনুষ্ঠানে আমি শুধু সেই বৈজ্ঞানিক তথ্য নিয়ে কথা বলবো য়েটা শুধু প্রতিষ্ঠিত সত্য । আমি এমোন কোনো বৈজ্ঞানিক theory নিয়ে কথা বলবো না য়েগুলোর ভিত্তি হলো অনুমান বা কল্পনা ।কারন আমরা ভালো করে জানি যে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক theory য়েগুলোর ভিত্তি হলো অনুমান বা কল্পনা সেগুলো তাদের সিদ্ধান্ত বদলায় । জোতির বিদ্যা সম্পর্কে আপনাদের বলি, যদি কোনো বিজ্ঞানিকে আপনি বলেন কি ভাবে বিশ্বস্ব জগৎ সৃষ্টি হয়েছে তিনি তখন বলবেন big bang এর theory কথা । প্রথমে এই বিশ্বস্ব জগতের সব উপাদান ছিলো একটা বিন্দুতে তারপরে সেখানে একটা বিস্ফোরন হলো এথেকেই তৈরি হলো ছায়া পথ যেটা আবারো খন্ড বিখন্ড হয়ে তৈরি হলো বিভিন্ন সৌর জগৎ সেখানে তৈরি হলো বিভিন্ন গ্রহ, সূর্য়, নক্ষত্র । আর আমরা যে গ্রহে বাস করি সটো হলো পৃথিবী, আমি অামার লেকচারের শুরুতেই পবিত্র কোরানের একটি আয়াতের উর্দ্থিতি দিয়ে ছিলাম সুরা আল-আম্বিয়ার ৩০-নং আয়াতে একথা উল্লেখ আছে যে



أَوَلَمْ يَرَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنَاهُمَا وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاء كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ أَفَلَا يُؤْمِنُونَ

30

অবিশ্বাসিরা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশিয়া ছিল অতপ্রত ভাবে, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?





পবিত্র কোরানের এই আয়াতে big bang এর theory কথা বলা হয়েছে খুব সঙ্খেপে, চিন্তা করেন আমরা যে কথাটা জানলাম মাত্র আজকে পবিত্র কোরানে এই কথাটা বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে ।



এছাড়াও পবিত্র কোরানে আছে সুরা ফসিলতের ১১-নং এআয়াতে একথা উল্লেখ করা আছে যে,

অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন যাহা ছিল ধুম্রকুঞ্জ বিশেষ, অনত্বর দিকে উহাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তাহারা বলিল, আমরা আসিলাম একান্ত অত্যনত্ব অনুগত হইয়া ।

যে আরবি শব্দ এখানে ব্যাবহারিত হয়েছে দুখান যার অর্থ ধোয়া কোনো বিজ্ঞানীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলবেন এই বিশ্বস্ব জগৎ এটা তৈরির আগে মহা বিশ্বেসের বিভিন্ন উপাদান ছিল বায়বীয়

অবস্থায় । আরবি শব্দ দুখান যার অর্থ ধোয়া এটাকে আরো সঠিক ভাবে বলল্লে বলা হবে বায়বীয় । বর্তমানের খুব বিখ্যাত বিজ্ঞানী “Stephens Hawkins” এর মতে তিনি বলেছেন মহাশূন্যের যে বিভিন্ন উপাদান আবিষ্কার করা গেছে সেটাই হলো গত শত্বাদীতে সবচেয়ে বড় আবিষ্কার । আর এগুলোর ওপর ভিত্তি করে আমরা নিশ্চিত ভাবে জানতে পেরেছি big bang এর theory সত্যতা আর এই বিশ্বস্ব জগৎ তৈরী হওয়ার রহস্য ।



আগে কার দিনে মানুষ মনে করতো আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি , সেটা সমতল আর তারা খুব বেশি দুর দৃরে যেতে ভয় পেত হঠাৎ করে যদি নিচে পড়ে যায় সে জন্য । এর পর ১৫৫৭ খৃষ্টাব্দে sir francis da জাহাজে করে গোটা পৃথিবী ঘুরে আসলেন, আর প্রমান করলেন পৃথিবী আসলে বর্তুলাকার । পবিত্র কোরানে সুরা লোকমানের ২৯-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে

أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَسَخَّرَ

আল্লাহ তাআলা রাত্রির ভিতর দিবকে অন্তভুক্ত করেন এবং রাত্রিকে দিবসের ভিতর অন্তভুক্ত করেন





অন্তভুক্ত করা একটি ধির গতির চলমান পক্রিয়া । রাত ধীরে ধীরে চলমান পক্রিয়া দিনে পরিনত হয় , আর দিন ধীরে ধীরে চলমান পক্রিয়া রাতে পরিনত হয় । এটা শুধু মাত্র তখোনি সম্ভব হবে যদি পৃথিবী বর্তুলাকার হয় । সমতল হলে এটা সম্ভব হবে না , পৃথিবী সমতল হলে দিন-রাত হঠাৎ করে বদলে যেত ।



পবিত্র কোরানে সুরা আল-জুমার ৫-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে



خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ يُكَوِّرُ اللَّيْلَ عَلَى النَّهَارِ وَيُكَوِّرُ النَّهَارَ عَلَى اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي لِأَجَلٍ مُسَمًّى أَلَا هُوَ الْعَزِيزُ الْغَفَّارُ

তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সুর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।







এখানে যে আরবি শব্দটি ব্যাবহার করা হয়েছে সেটা হলো কা-ওয়ারা যার অর্থ কনো কিছু আচ্ছাদন করা, যে ভাবে আমরা অামাদের মাথায় পাগড়ী পরি , আমরা যে ভাবে আমাদের মাথায় পাগড়ী পরি, এই মতবাদটা যে রাত দিনকে এবং দিন রাতকে আচ্ছাদন করছে এটা শুধু তখোনি সম্ভব হবে , যদি পৃথিবী বর্তুলাকার হয়, যদি পৃথিবী সমতল হয় তাহলে এটা সম্ভব হবে না । দিন-রাত তখন হঠাৎ করে বদলে যেত ।

এরপর পবিত্র কোরানে আছে সুরা নাযিয়াতে ৩০-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে -

وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهَا

এবং ইহার পর তিনি পৃথিবীকে করেছেন ডিম্বাকৃতির । এখানে আরবি শব্দ দা-হা-হা এটার মূল শব্দ দুইয়া, যার অর্ধ ডিম্বাকৃতির আর শব্দ দারা কোনো সাধারন ডিমকে বোঝানো হয় না, শব্দটা দিয়ে বিশেষ করে বোঝানো হয় উট পাখির ডিমকে । আর এখোন আমরা জানি আমাদের এই পৃথিবী পুরো পুরি ফুটবলের মতো গোল নই , এটা আসলে বর্তুলকার এটা উপরে ও নিচে কিছুটা চাপানো আর দুই পাশে কিছুটা ফোলানো এটা হলো বর্তুলকার । আর আপনারা যদি ভালো করে উঠ পাখির ড়িম দেখেন , এই ড়িমটাও বর্তুলকার, উপরে ও নিচে কিছুটা চাপানো আর দুই পাশে কিছুটা ফোলানো । তাহলে পবিত্র কোরানে পৃথিবীর আকার সঠিক ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে ।



আগে আমরা মনে করতাম চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো । কিছু দিন আগে আমরা জানতে পেরেছি চাঁদের আলো আসলে সূযের প্রতিফলিত আলো ।

পবিত্র কোরানে আছে সুরা ফুরকানের ৬১-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে –

কতো মহান তিনি যিনি নভোমন্ডলে সৃষ্টি করেছেন রাশি চক্র , এবং উহাতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ এবং চাঁদ যাহার রইয়াছে ঋন করা আলো ।



পবিত্র কোরানে আছে সুরা ইউনুস এর ৫-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে –

আল্লাহ সুবাহানা-তায়ালাই সূযকে করেছেন তেজষ্কর আর চন্দ্রকে করিয়াছেন প্রতিব্মিত আলো ।

একি কথা সুরা নূহ এর ১৫-১৬-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে –

সূযের আরবি শব্দ হলো শাম্‌স এটাকে সবসময় বলা হয়ে থাকে সিরাজ অর্থাৎ একটা প্রদিপ, নয়তো উহাজ একটা প্রজ্বলিত প্রদিপ, অথবা দিয়া উজ্জল দুতি । চাঁদের আরবি শব্দ হলো কামার এটাকে সব সময় মুনির অর্থাৎ ধার করা আলো্ অথবা নূর যেটা হলো প্রতিফলিত আলো , চাঁদ বোঝাতে গিয়ে এখানে কখোনো বলা হয়নি যে সিরাজ, ওহাজ অথবা দিয়া , এখানে বলা হয়েছে মুনির, নূর কোনো ধার করা আলো অথবা কোনো প্রতিফলিত আলো



পবিত্র কোরানে সুরা তারিক এর ৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে –

النَّجْمُ الثَّاقِبُ

এখানে নক্ষত্র এর আরবি হলো নাজাম এটাকে বলা হয়েছে সাকিব এর আলোকে বলা হয়েছে সাকিব এটা অন্ধকারকে ছিদ্র করে আর নিজের শক্তি গ্রহন করে । আগেকার দিনে ইউরোপিয়ানরা মনে করতো যে পৃথিবী এই বিশস্ব জগতের কেন্দ্রে একেবারে স্থীর হয়ে বসে আছে , আর সূয সহো অন্য সব গ্রহ নক্ষত্র পৃথিবীর চার পাশে প্রদক্ষীন করছে এই মতবাদ কে বলা হতো “Theory of GEOCENTRISM” এই মতবাদে বিশ্বাস করতেন Tolami খৃষ্ট-পূব দ্বিতীয় শতকে এবং তার পরবর্তীতে এই মতবাদে টিকে ছিল ষোঢ়শ শত্বাদী পযন্ত , যতদিন না copper nikas বলল্লেন পৃথিবীর সহ অন্যান্য গ্রহ সূযের চার পাশে প্রদক্ষীন করছে। আর পরবর্তীতে ১৬০৯ খৃষ্টাব্দে Youhanes Kaplar তিনি তার বই astronomy novae তে লিখেছেন যে এই সৌর-জগতে পৃথিবী আর অন্যান্য গ্রহ শুধু সূযের চার পাশে প্রদক্ষীন করে না , তারা নিজ অক্ষের সূযের চার পাশেও প্রদক্ষীন করে । আমি যখন স্কুলে ছিলাম তখন পড়ে ছিলাম , পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ নিজ অক্ষের পাশে প্রদক্ষীন করে । তখন আমি পড়ে ছিলাম যে সূয স্থীর থাকে , সূয তার নিজ অক্ষের পাশে প্রদক্ষীন করে না ।



কিন্তু পবিত্র কোরানে আছে সুরা আল-আম্বিয়ার এর ৩৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ আর অল্লাহ-তা’আলা সৃষ্টি করিয়াছেন রাত্রি এবং দিবস وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ আর সূযঁ ও চন্দ্র كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ প্রত্রেকেই নিজ নিজ কক্ষ পথে বিচরন করিতেছে তাহাদের নিজস্ব গতিতে । এখানে আরবি শব্দটা يَسْبَحُونَ এটা এসেছে মূল শব্দ সাবাহা থেকে যেটা দিয়ে চলন্ত কোনো কিছুর গতিকে বোঝানো হয় । যদি আমি বলি একজন মানুষ মাটির ওপর সাবাহা করছে তার মানে এই নই যে সে মাটিতে গড়া গড়ি করছে এর অর্থ সে হাটছে অথবা দৌড়াচ্ছে , যদি আমি বলি একজন মানুষ পানিতে সাবাহা করছে তার মানে এই নই যে সে ভেসে আছে এটার অর্থ সে সা‍তাঁর কাটছে একি ভাবে পবিত্র কোরানে যখন বলা হচ্ছে ইয়াসবাহুন যার মূল শব্দ সাবাহা গ্রহ নক্ষএ সম্র্পকে তখন এটা উড়ে যাওয়া বোঝায় না নিজ অক্ষের চারিদিকে প্রদক্ষীন করা বোঝায় । আর এখন বিজ্ঞানের কল্যানে উন্নত প্রযুক্তি ব্যাবহার করে সূযের ইমেজ ঘরে বসে পরীক্ষা করা যায় , দেখা যাবে বেশ কিছু কালো রংগের বিন্দু আছে , আর এই কালো বিন্দু গুলো আনুমানিক ২৫ দিনের মধ্যে একবার নিজ অক্ষকে প্রদক্ষীন করবে । যার অর্থ সূয আনুমানিক ২৫ দিনের মধ্যে নিজ অক্ষের চার পাশে প্রদক্ষীন করে । একবার চিন্তা করেন পবিত্র কোরানে সূযের গতি আর নিজ অক্ষের চার পাশে প্রদক্ষীনের কথা বলেছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে যেটা বিজ্ঞান অাবিষ্কার করেছে কিছু দিন আগে ।



পবিত্র কোরানে সুরা ইয়াসিন এর ৪০-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে –

সূযের পক্ষে সম্ভব নয় চন্দ্রের নাগাল পাওয়া এবং রজনী দিবসকে অতিক্রম করা وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ এবং প্রত্যকেই নিজ নিজ কক্ষ পথে সংকরন করে তাহাদের নিজস্ব গতিতে পবিত্র কোরানে এই কথাটা দারা কি বোঝানো হয়েছে যে সূযের পক্ষে সম্ভব নয় চন্দ্রের নাগাল পাওয়া , আগেকার দিনে মানুষ মনে করতো সূয এবং চন্দ্রের কক্ষ পথ একটাই

আর পবিত্র কোরানে বলছে না সূয আর চাঁদের কক্ষ পথ আলাদা তাই একটার পক্ষে আরেকটার নাগাল পাওয়া সম্ভব নয় । আর এরা দুটোই সূয এবং চাঁদ গতিশীল আর নিজ অক্ষেকে প্রদক্ষীন করে

পবিত্র কোরানে সুরা ইয়াসিন এর ৩৮-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে –

وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَا যে সূয ভ্রমন করে উহার নির্দিষ্ট পথে নির্দিষ্ট গর্ন্তব্যের দিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এখানে আরবি শব্দ مُسْتَقَرّ অর্থ একটি নির্দিষ্ট গর্ন্তব্য অথবা একটি নির্দিষ্ট সময়। আজকের দিনে বিজ্ঞান জানতে পেরেছে যে সূয এই সৌর জগতকে নিয়ে বিশ্ব জগতের দিকে একটি নির্দিষ্ট পয়েন্টে এগিয়ে যাচ্ছে যে পয়েন্টাকে বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন Solar Apex এই পয়েন্টের দিকে সূয যাচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ১২ মাইল গতিতে , আর এভাবে সূয যে পয়েন্টের দিকে এগুচ্ছে সেটার নাম consolation of Hercules এই একি কথা বলা হয়েছে পবিত্র কোরানে সুরা রদ এর ২-নং আয়াতে আর এছাড়াও সূরা ফাতির এর ১৩-নং আয়াতে, সূরা লোকমানের এর ২৯-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর অাছে এছাড়াও সূরা জুমার এর ৫-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে যে – সূয এবং চন্দ্র উহারা প্রত্যকেই পরিক্রম করে এক নির্দিষ্ট কাল পরযন্ত । পবিত্র কোরানে সুরা যারিয়াতি এর ৪৭-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে যে – একমাত্র আমি এই আকাশ নির্মান করিয়াছি আমার ক্ষমতা বলে এবং আমি অবশ্যই এই বিশ্বস্ব জগতকে করিয়াছি মহা সম্প্রসারনকারি আরবি শব্দ مُوسِعُونَ অর্থ সম্প্রসারনকারি মহা বিশ্বস্ব , বিশ্বস্ব জগতের অসীমতা । orvey naho একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছেন যে আর বলেছেন এই বিশ্বস্ব জগত সম্প্রসারিত হচ্ছে , Galaxy গুলো একটা আরেকটা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে যে কথাটা কোরান বলে গিয়েছে ১৪০০ বছর আগে । এটা এমন কনো ব্যাপার না যে কোরানে জ্যোতিষ বিদ্যা সর্ম্পকে বলা হয়েছে , কারন আরবরাসিরা তারা জ্যোতিষ বিদ্যার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরা বরি উন্নত ছিল, আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চায় পবিত্র কোরান নাযিল হওয়ার কয়েকশ বছর পরে আরবরা জ্যোতির বিদ্যায় বেশ উন্নত সাধন করে , তাই পবিত্র কোরান থেকেই আরবরা জ্যোতির বিদ্যা সম্পকে জেনেছিল এর উলটো টা হয়নি

Powered by Blogger.